Posts

মুস্তাজাবুদ দাওয়াত  যে দোয়ায় রুটিওয়ালার শেষ ইচ্ছাও পূরণ হলো যে দোয়ায় রুটিওয়ালার শেষ ইচ্ছাও পূরণ হলো ইসতেগফার এমন এক ইবাদত, যা মানুষকে আল্লাহর কাছে ‘মুঝতাঝাবুদ দাওয়াহ’ হিসেবে কবুল করে নেয়। ‘মুঝতাঝাবুদ দাওয়াহ’ হলো এমন ব্যক্তি, যে ব্যক্তি দোয়া করতে দেরি; সে দোয়া কবুল হতে মুহূর্ত দেরি হয় না। Advertisement আর ‘মুঝতাঝাবুদ দাওয়াহ’ হিসেবে নিজেকে তৈরির অন্যতম আমল হলো আঠার মতো ইসতেগফারের সঙ্গে লেগে থাকা। ওঠতে বসতে চলতে ফিরতে সদা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পার্থনার নিয়তে ‘আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ (اَسْتَغْفِرُ الله - اَسْتَغْفِرُ الله); পড়তে থাকা। এ ইসতেগফারের কারণেই ‘মুঝতাঝাবুদ দাওয়াহ’ সেই রুটিওয়ালার শেষ দোয়াটিও আল্লাহ তাআলা অভিনবভাবে কবুল করলেন এবং যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের সঙ্গে দেখা করালেন। রুটিওয়ালার সে ঘটনা মুমিন মুসলমানকে মুঝতাঝাবুদ দাওয়াহ হতে আগ্রহী করে তুলবে- যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস হজরত আহমাদ ইবনে হাম্বাল রহমাতুল্লাহি আলাইহির জীবনে রয়েছে এমন এক স্মরণীয় ঘটনা। ইসতেগফারের কারণে যেভাবে আল্লাহ তাআলা এক রুটি বিক্রেতাকে মুঝতাঝাবুদ দাওয়াহ’ হিসেবে কবুল করেছেন- Advertisement জ...
 300  সোনার মানুষ কে জানাজা সামনে আসলেই মৃত্যুর কথা স্মরণ হয় *  সোনার মানুষ বেহেস্তে যাবে জানুয়ার নয়। আমরা না জানি কে কে সোনার মানুষ হতে পেরেছি আল্লাহই ভাল জানেন, *  আমাদের বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভালো মানুষ নির্বাচন করি আখলাকের উপর ভিত্তি করে *  আল্লাহর দৃষ্টিতে ভালো মানুষ কারা -  اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللّٰهِاَتْقٰىكُمْ١ আর আল্লাহর দৃষ্টিতে  জানুয়ার কারা -  وَ لَقَدْ ذَرَاْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِیْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ١ۖ٘ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا یَفْقَهُوْنَ بِهَا١٘ وَ لَهُمْ اَعْیُنٌ لَّا یُبْصِرُوْنَ بِهَا١٘ وَ لَهُمْ اٰذَانٌ لَّا یَسْمَعُوْنَ بِهَا١ؕ اُولٰٓئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ١ؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ *  দিল্লির শাহী মসজিদ এর ইমাম শাহ মোহাম্মদ মোহাদ্দেসী দেহলবী র:   মানুষ হওয়া-ই চরম পাওয়া,, হাফেজ তৌসিফ হোসাইন  পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল রহঃ বলেন 'পশুর পেটে জন্ম নিলেই পশু হওয়া যায়।কিন্তু মানুষের পেটে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায়না,যদি না তার মাঝে মানুষের যাবতীয় গুণ না থাকে। ত্রিশ বছরের এক ...
 *  নামায পড়েও জাহান্নামে যাবে। ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪০, فِیْ جَنّٰتٍﰈ یَتَسَآءَلُوْنَۙ যারা জান্নাতে অবস্থান করবে। সেখানে তারা জিজ্ঞেস করতে থাকবে - ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪১, عَنِ الْمُجْرِمِیْنَۙ অপরাধীদের৩২ ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪২, مَا سَلَكَكُمْ فِیْ سَقَرَ কিসে তোমাদের দোযখে নিক্ষেপ করলো। ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪৩, قَالُوْا لَمْ نَكُ مِنَ الْمُصَلِّیْنَۙ তারা বলবেঃ আমরা নামায পড়তাম না।৩৩ ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪৪, وَ لَمْ نَكُ نُطْعِمُ الْمِسْكِیْنَۙ অভাবীদের খাবার দিতাম না। ৩৪ ৭৪: আল-মুদ্দাস্সির:৪৫, وَ كُنَّا نَخُوْضُ مَعَ الْخَآئِضِیْنَۙ সত্যের বিরুদ্ধে অপবাদ রটনাকারীদের সাথে মিলে আমরাও রটনা করতাম; * নামায পড়েও জাহান্নামে যাবে। এটা হচ্ছে উদাসীনতার নামায। সূরা মাউন ১০৭: আল-মাউন:আয়াত: ৪ فَوَیْلٌ لِّلْمُصَلِّیْنَۙ তারপর সেই নামাযীদের জন্য ধ্বংস, ১০৭: আল-মাউন:আয়াত: ৫ الَّذِیْنَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُوْنَۙ যারা নিজেদের নামাযের ব্যাপারে গাফলতি করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিন্তু মুন্টা নামাজের মধ্যে থাকে না ,মুন্টারে নামাজে ধরে রাখার চেষ্টা ও করে না।(এটা হলো দ্বিতীয় প্রকার নামাজীর ...
* মৃত্যু যেখানে সেখানেই হবে মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর, ব্যবহারিত যুদ্ধের পোশাক ও অস্ত্র। আসুন দিগ্বিজয়ী এই মহাবীর, খালেদ সাইফুল্লাহ (আল্লাহর তলোয়াল) সম্পর্কে কিছু জানি। মৃত্যুশয্যায় সাহাবী খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)। দূর্বল কন্ঠে তাঁর স্ত্রীকে বিছানায় পাশে বসতে বললেন। খুব প্রয়োজনীয় একটি প্রশ্নের উত্তর জানা যে বাকি রয়ে গেছে! এই সেই মহাবীর খালিদ যিনি সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপ্রধান। যার নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ১০০ টিরও বেশি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং কোনোটাতেই পরাজয় বরণ করেনি। তার রণকৌশল আজও বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের সময় পাঠ্য হিসাবে শিখানো হয়! তাঁর নামে মুসলিম দেশগুলোতে আজও অনেক ব্রিগেড, যুদ্ধবিমান ও নৌযানের নামকরণ করা হয়। এই সেই খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) যাকেঅঞ স্বয়ং রাসূল মুহাম্মদ (সা.) 'সাইফুল্লাহ' উপাধি দিয়েছিলেন, যার মানে আল্লাহর তরবারি। এই সেই খালিদ যিনি মুসলিম বাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে তুখোড় বিজয়ী আর ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় তৎকালীন খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নির্দেশে বিনা বাক্য ব্যয়ে সেনাপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাধারণ সৈনিক হিসেবে লড়াই করা ...
 নামাযের গুরুত্ব কতটুকু, নবীকে কাফেরগন কষ্ট দিয়েছে বদ দোয়া করেননি। কিন্তু নামায আল্লাহর হক ছুটে যাওয়ার কারণে বদ দোয়া করেছেন। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: আহযাব যুদ্ধ তথা খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ إِسْحَاقُ حَدَّثَنَا رَوْحٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ عَبِيْدَةَ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সলাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে। (২৯৩১) (আ.প্র. ৩৮০৫, ই.ফা. ৩৮০৮)    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪১১১ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
 * নামাযটা পড়তে হবে শুদ্ধ করে। নামায পড়ার পদ্ধতি আল্লাহর নবী উম্মত তথা সাহাবায়ে কেরামগনকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন,বুলুগুল মারাম,২৬৭ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا قُمْتَ إِلَى الصَّلَاةِ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ، ثُمَّ اسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، فَكَبِّرْ، ثُمَّ اقْرَأْ مَا تَيَسَّرَ مَعَكَ مِنَ الْقُرْآنِ، ثُمَّ ارْكَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ رَاكِعًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَعْتَدِلَ قَائِمًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ ارْفَعْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ جَالِسًا، ثُمَّ اسْجُدْ حَتَّى تَطْمَئِنَّ سَاجِدًا، ثُمَّ افْعَلْ ذَلِكَ فِي صَلَاتِكَ كُلِّهَا» أَخْرَجَهُ السَّبْعَةُ، وَاللَّفْظُ لِلْبُخَارِيِّ (1). وَلِابْنِ مَاجَهْ بِإِسْنَادِ مُسْلِمٍ: «حَتَّى تَطْمَئِنَّ قَائِمًا» আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ  যখন তুমি সলাতে দাড়ানোর ইচ্ছে করবে, তখন প্রথমে তুমি যথানিয়মে অযু করবে। তারপর কিলামুখী দাঁড়িয়ে তাকবীর বলবে। তারপর কুরআন থেকে যে অংশ তোমার পক্ষে সহজ হবে, তা তিল...
 * আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা: খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন,বুখারী ৪১১১, মান: সহিহ عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ يَوْمَ الْخَنْدَقِ مَلَا اللهُ عَلَيْهِمْ بُيُوْتَهُمْ وَقُبُوْرَهُمْ نَارًا كَمَا شَغَلُوْنَا عَنْ صَلَاةِ الْوُسْطَى حَتَّى غَابَتْ الشَّمْسُ অর্থ- নবী (ﷺ) হতে বর্ণিত যে, তিনি খন্দকের যুদ্ধের দিন বদদু’আ করে বলছিলেন, আল্লাহ তাদের ঘরবাড়ি ও কবর আগুন দ্বারা ভরে দিন। কারণ তারা আমাদেরকে মধ্যবর্তী সলাতের সময় ব্যস্ত করে রেখেছে, এমনকি সূর্য অস্তমিত হয়ে গেছে