300  সোনার মানুষ কে জানাজা সামনে আসলেই মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়

*  সোনার মানুষ বেহেস্তে যাবে জানুয়ার নয়। আমরা না জানি কে কে সোনার মানুষ হতে পেরেছি আল্লাহই ভাল জানেন,
*  আমাদের বাহ্যিক দৃষ্টিতে ভালো মানুষ নির্বাচন করি আখলাকের উপর ভিত্তি করে
*  আল্লাহর দৃষ্টিতে ভালো মানুষ কারা - 
اِنَّ اَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللّٰهِاَتْقٰىكُمْ١
আর আল্লাহর দৃষ্টিতে  জানুয়ার কারা - 
وَ لَقَدْ ذَرَاْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِیْرًا مِّنَ الْجِنِّ وَ الْاِنْسِ١ۖ٘ لَهُمْ قُلُوْبٌ لَّا یَفْقَهُوْنَ بِهَا١٘ وَ لَهُمْ اَعْیُنٌ لَّا یُبْصِرُوْنَ بِهَا١٘ وَ لَهُمْ اٰذَانٌ لَّا یَسْمَعُوْنَ بِهَا١ؕ اُولٰٓئِكَ كَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ١ؕ اُولٰٓئِكَ هُمُ الْغٰفِلُوْنَ

*  দিল্লির শাহী মসজিদ এর ইমাম শাহ মোহাম্মদ মোহাদ্দেসী দেহলবী র: 

 মানুষ হওয়া-ই চরম পাওয়া,,

হাফেজ তৌসিফ হোসাইন 

পাকিস্তানের জাতীয় কবি আল্লামা ইকবাল রহঃ বলেন 'পশুর পেটে জন্ম নিলেই পশু হওয়া যায়।কিন্তু মানুষের পেটে জন্ম নিলেই মানুষ হওয়া যায়না,যদি না তার মাঝে মানুষের যাবতীয় গুণ না থাকে।

ত্রিশ বছরের এক লোক।মন্দ স্বভাবের কারণে সবাই বলে ''অমুকের ছেলেটা মানুষ হলো না গো!

অথচ,তার হাত পা চোখ মুখ সবই তো মানুষের মত।তবুও মানুষ নয় কেন! কারণ তার বাহিরটা যদিও মানুষের মত,কিন্তু ভেতরটা নয়।

মানুষ হবার গুন সমূহ কী? 

জামালুল কুলুব নামক একটি বিখ্যাত কিতাব আছে।সেই কিতাবটি মোঘল আমলে লেখা। সেই কিতাবে একটি চমতকার ঘটনা উল্লেখ করেছেন লেখক।

দিল্লী শাহি জামে মসজিদের ইমাম প্রতিদিন আসরের নামাজ পড়ে,এক পান দোকানে গিয়ে পান খেতেন।একদিন দোকানী দোয়া চাইলে হুজুর দোয়া করলেন 'আল্লাহ ইস কো ইনসান বানা দো।

'আল্লাহ! লোকটাকে তুমি মানুষ বানিয়ে দাও,,

কোন কৃষক যদি তার ফসলের জন্য দোয়া চায়,আর দোয়াকারী যদি বলে 'অাল্লাহ তাকে মানুষ বানাও,,তবে ব্যাপারটা কেমন হবে?

কোন দোকানদার যদি দোয়া চায়, আর হুজুর যদি দোকানীর ব্যবসা কিংবা তার পরিবারের জন্য দোয়া না করে,বরং তাকে মানুষ বানানোর দোয়া করে,তবে তো ব্যাপারটা হাস্যকর।

প্রতিদিন দোকানী দোয়া চায়,আর হুজুর পান চিবুতে চিবুতে,মুচকি হেসে,অদ্ভুত ঢংয়ে মানুষ বানাবার দোয়া করেই যান!

আদবের সহিত একদিন দোকানী জানতে চাইলো এই দোয়ার রহস্য কী?

হুজুর, উনার মাথার পাগড়ী খুলে দোকানীর মাথায় পড়িয়ে বললেন 'চোখ বন্ধ করে বলো তো কী দেখতে পাও!

দোকানি চোখ বন্ধ করে চিতকার দিয়ে উঠে।কসম সেই সত্ত্বার,যার হাতে আমার প্রাণ! আমি এখন সমগ্র দুনিয়া দেখতে পাচ্ছি।পৃথিবী ভর্তি পশু আর পশু।বহু দূরে দূরে একজন দুজন মানুষ।কারো অর্ধেক শরীর মানুষের, বাকিটা পশু।কারো একটুখানী পশুর মত,বাকিটা মানুষের মত।

হুজুর! এখন বুঝতে পারলাম,এই অগণিত পশুর মাঝে আমিও একটা পশু মাত্র।

প্রতিটা মানুষের দুটো রুপ।একটি বাহ্যিক আরেকটি অাভ্যন্তরিক।বাহ্যিক তথা প্রকাশ্য রুপটি তো সবারই মানুষ।কিন্ত ভেতরের রুপটি মানুষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ মানুষ হওয়া অসাধ্য।

ত্রিশ বছরের এক লোক।মন্দ স্বভাবের কারণে সবাই বলে ''অমুকের ছেলেটা মানুষ হলো না গো!

অথচ,তার হাত পা চোখ মুখ সবই তো মানুষের মত।তবুও মানুষ নয় কেন! কারণ তার বাহিরটা যদিও মানুষের মত,কিন্তু ভেতরটা নয়।

মানুষ মাটি হতে সৃষ্ট।মাটির ধর্ম হলো সহনশীলতা। যেদিন মাটির সেই গুণটি, সহনশীলতা, ধৈর্য অর্জন করা যায়,সেদিন আপনিই মানুষ হবার বাকী গুণ গুলো চলে আসে।

মানুষ যখন রেগে যায়,তখন কেউ কুকুরের মত গর্জে উঠে।কেউ শুকরের মত গজগজিয়ে উঠে।রেগে গেলে যিনি যেই পশুর মত আচরণ করেন।তার ভেতরের রুপটা ঠিক সেই পশুর মত।

*  কবর জিবিতদের ডেকে বলে,জামে' আত-তিরমিজি-২৪৬০ খুবই দুর্বল

ُ أَنَا بَيْتُ الْغُرْبَةِ وَأَنَا بَيْتُ الْوَحْدَةِ وَأَنَا بَيْتُ التُّرَابِ وَأَنَا بَيْتُ الدُّودِ ‏.‏ فَإِذَا دُفِنَ الْعَبْدُ الْمُؤْمِنُ قَالَ لَهُ الْقَبْرُ مَرْحَبًا وَأَهْلاً أَمَا إِنْ كُنْتَ لأَحَبَّ مَنْ يَمْشِي عَلَى ظَهْرِي إِلَىَّ فَإِذْ وُلِّيتُكَ الْيَوْمَ وَصِرْتَ إِلَىَّ فَسَتَرَى صَنِيعِي بِكَ ‏.‏ قَالَ فَيَتَّسِعُ لَهُ مَدَّ بَصَرِهِ وَيُفْتَحُ لَهُ بَابٌ إِلَى الْجَنَّةِ ‏.‏ وَإِذَا دُفِنَ الْعَبْدُ الْفَاجِرُ أَوِ الْكَافِرُ قَالَ لَهُ الْقَبْرُ لاَ مَرْحَبًا وَلاَ أَهْلاً أَمَا إِنْ كُنْتَ لأَبْغَضَ مَنْ يَمْشِي عَلَى ظَهْرِي إِلَىَّ فَإِذْ وُلِّيتُكَ الْيَوْمَ وَصِرْتَ إِلَىَّ فَسَتَرَى صَنِيعِي بِكَ ‏.‏ قَالَ فَيَلْتَئِمُ عَلَيْهِ حَتَّى تَلْتَقِيَ عَلَيْهِ وَتَخْتَلِفَ أَضْلاَعُهُ ‏.‏ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَصَابِعِهِ فَأَدْخَلَ بَعْضَهَا فِي جَوْفِ بَعْضٍ قَالَ ‏"‏ وَيُقَيِّضُ اللَّهُ لَهُ سَبْعِينَ تِنِّينًا لَوْ أَنَّ وَاحِدًا مِنْهَا نَفَخَ فِي الأَرْضِ مَا أَنْبَتَتْ شَيْئًا مَا بَقِيَتِ الدُّنْيَا فَيَنْهَشْنَهُ وَيَخْدِشْنَهُ حَتَّى يُفْضَى بِهِ إِلَى الْحِسَابِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّمَا الْقَبْرُ رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ أَوْ حُفْرَةٌ مِنْ حُفَرِ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূল (সা:) নামাযে (জানাযার) এসে দেখেন যে, কিছু লোক হাসাহাসি করছে। তিনি বললেন, ওহে! তোমরা যদি জীবনের স্বাদ ছিন্নকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী মনে করতে তাহলে আমি তোমাদের যে অবস্থায় দেখছি অবশ্যই তা থেকে বিরত থাকতে। তোমরা জীবনের স্বাদ ছিন্নকারী মৃত্যুকে খুব বেশী স্মরণ কর। কেননা কবর প্রতিদিন দুনিয়াবাসীকে সম্বোধন করে বলতে থাকে, আমি প্রবাসী মুসাফিরের বাড়ী, আমি নির্জন কুটির, আমি মাটির ঘর, আমি পোকা-মাকড় ও কীট-পতঙ্গের আস্তানা। তারপর কোন ঈমানদারকে যখন দাফন করা হয় তখন কবর তাকে বলে, ‘মারহাবা, স্বাগতম’, আমার পিঠের উপর যত লোক চলাফেরা করেছে তাদের মধ্যে তুমিই ছিলে আমার নিকট সবচাইতে প্রিয়। আজ তোমাকেই আমার নিকট সমর্পণ করা হয়েছে, আর তুমি আমার কাছেই এসেছ। সুতরাং তুমি শীঘ্রই দেখবে যে, আমি তোমার সাথে কেমন সৌজন্যমূলক ব্যবহার করি। তারপর কবর তার জন্য দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত প্রশস্ত হয়ে যাবে এবং জান্নাতের দিকে তার একটি দরজা খুলে দেয়া হবে। আর অপরাধী পাপী কিংবা কাফিরকে যখন দাফন করা হয় তখন কবর তাকে বলে, তোমার আগমন অশুভ ও তোমার জন্য স্বাগতম নেই। কেননা আমার উপর যত লোক চলাফেরা করেছে তাদের মধ্যে তুমিই ছিলে আমার নিকট সবচাইতে ঘৃণিত ও অপ্রিয়। আজ তোমাকেই আমার নিকট সমর্পণ করা হয়েছে এবং তুমি আমার নিকট ফিরে এসেছ। সুতরাং শীঘ্রই দেখবে, আমি তোমার সাথে কেমন জঘন্য আচরণ করি। এই বলে সে সংকুচিত হয়ে যাবে এবং তার উপর একেবারে চেপে যাবে, ফলে তার পাঁজরের হাড়সমূহ পরষ্পরের মধ্যে ঢুকে যাবে। রাবী বলেন, এ সময় রাসূল (সা:) এক হাতের আংগুলসমূহ অপর হাতের আংগুলে ঢুকিয়ে বললেন, ‘এভাবে’। তিনি আরও বললেন, তার জন্য এরূপ সত্তরটি অজগর সাপ নিয়োগ করা হবে, তার মধ্যে একটি সাপও যদি যমিনে একবার ফুঁ দেয় তাহলে এতে কোন কিছুই উৎপন্ন হবে না। তারপর হিসাব-নিকাশ না হওয়া পর্যন্ত সে অজগরগুলো তাকে দংশন করতে থাকবে, খামচাতে থাকবে। রাবী (আবূ সাঈদ) বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, কবর হল জান্নাতের উদ্যানসমূহের একটি উদ্যান, অথবা জাহান্নামের গর্তসমূহের একটি গর্ত। 
স্বাদ কর্তনকারী অংশটুকু সহীহ, সহীহা (২৪০৯)

জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪৬০
হাদিসের মান: খুবই দুর্বল

*  আ: কাদের জিলানী র: কে দাওয়াত দিল,বেচারার একটা ছেলে, একটা ঘর, তিন হাজার টাকা আছে,

একজন কল্যাণকামী সৎ সাধকের চিন্তা - চেতনার নমুনা একদিন এক ব্যক্তি বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী ( রহ : ) কে দাওয়াত দিল যে , অমুক তারিখে আমার বাড়িতে আপনার খাবার দাওয়াত । হযরত তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে , তােমার সন্তান কয় জন ? সে বলল , শুধু এক ছেলে । আবার জিজ্ঞাসা করলেন , ঘর কয়টা ? সে বলল , একটা । আবারাে জিজ্ঞাসা করলেন , টাকা কত আছে ? বলল , মাত্র তিন হাজার টাকা আছে । তখন হযরত বললেন , যাও ! আমি সময় মত চলে আসব । হযরত সময় মত রওয়ানা হলেন , পথে এক ব্যক্তি বলল , হুজুর সে একজন মিথুক লােক , তার ঘরে দাওয়াত খাওয়া আপনার মত ব্যক্তির জন্য শােভা পায় না । তখন , হয়রত বললেন , ঠিক আছে ওয়াদা যেহেতু করেছি তাই যেতে হবে । কেননা , ওয়াদা রক্ষা করা ওয়াজিব । হ্যা , সেখানে যাওয়ার পর সে যদি মিথুক বলে প্রমাণিত হয় তাহলে না খেয়ে চলে আসব । একথা বলে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন । একটু এগুতেই একটি সুন্দর ফুটফুটে ছেলে দৌড়ে আসল এবং অত্যন্ত বিনয়ের সাথে হযরতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগল । হযরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি কে ? ছেলেটি বলল , যিনি আপনাকে দাওয়াত করেছেন আমি তারই ছেলে । অত : পর হযরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন , তােমরা কয় ভাই এবং তােমাদের কয়টি ঘর আছে ও টাকা - পয়সা কেমন আছে ? উত্তরে ছেলেটি বলল , আমরা আট ভাই আর এই পাড়ায় যত ঘর দেখছেন সবই আমাদের , আর টাকা পয়সার কোন হিসাব নাই , আমরা বহু টাকা পয়সার মালিক । হযরত ছেলেটির কথা শুনে মনে মনে অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন । অতঃপর ঘরে প্রবেশ করতেই লােকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি আমার সাথে প্রধানা করলে কেন এবং মিথ্যা বললে কেন ? তােমার আট ছেলে অথচ তুমি বলেছিলে এক ছেলে । তােমার অনেক ঘর - বাড়ী , অথচ তুমি বলে ছিলে একটি ঘর আছে । তােমার টাকা পয়সার হিসাব নাই , তুমি বহু টাকা - পয়সার মালিক , অথচ তুমি বলেছিলে মাত্র তিন হাজার টাকা আছে । হযরতের মুখে এসব কথা শুনতেই লােকটি অনুনয় করে বলল , হুজুর আমি আপনার সাথে মােটেই প্রবঞ্চনা করিনি যা বলেছি সব ঠিক ঠিক বলেছি । কেননা , আপনাদের মুখেই শুনেছি যে , নেক সন্তানই একমাত্র সন্তান এই হিসাব অনুযায়ী আট জনের মধ্যে এই একটিই আমার ছেলে । আর বাকী সাত জন তারা ছেলে নয় ‘ টেলে । এই একটি ছেলেই সর্বদা আমার পাশে থাকে এবং আমার যাবতীয় খেদমতের আঞ্জাম দেয় । নামাজের সময় হলে ওজুর পানি এনে দেয় , গোসলের সময় হলে নিজ হাতে আমাকে গােসল করিয়ে দেয় , খাওয়ার সময় হলে যথাযথ সময়ে খাবার ব্যবস্থা করে , ঘুমের সময় হলে বিছানা পরিস্কার করে দেয় এবং মাথায় তেল দিয়ে হাত পা টিপে দিয়ে আমার ঘুমের ব্যবস্থা করে এবং সেও সাথে গুমিয়ে যায় । আবাৱ শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সময় হলে আমার হাত পা নারিয়ে দেয় এবং বলে যে , আব্বু উঠেন , তাহাজ্জদের নামায পড়েন , যে আল্লাহ সবকিছু দিয়েছেন ও এত আরামের ঘুমের সুযােগ করে দিয়েছেন , তাকে স্মরণ করেন । এভাবে সে । নিজেও তাহাজ্জুদ পড়ে এবং আমাকেও তাহাজ্জুদ পড়ায় এবং আমার যাবতীয় খেদমত করে । আর বাকী সাত ছেলে নামায পড়ে না , কখনাে আমার খোঁজ খবৱ নেয় না , বরং আরাে জ্বালা - যন্ত্রনা দেয় । ওদের জন্য টাকা - পয়সা রাখা যায় । । বাজার থেকে কিছু আনলে হাতাহাতি করে খেয়ে সব শেষ করে দেয় । আমার জন্য কিছুই রাখে না । এছাড়াও ওদের গড়ার কারণে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে চাইতে আমার ইজ্জত - সমান সৰ শেষ । এ জন্যই আমি বলেছি , আমার সন্তান একজন । অতঃপর হযরত বললেন , তুমি যথাযথ ঠিক বলেছ । তারপর লােকটি বলল , হুজুর আমি ওলামায়ে কেরামদের মুখে শুনেছি যে , এই দুনিয়ার ঘরবাড়ী আসল গৱবাড়ী নয় । সব ছেড়ে একদিন সাড়ে তিন হাত মাটির ৫ নিচে কবরে যেতে হবে । অতএব কে সুন্দর কর ও বাড়ী বানাও হুজুর । সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইরশাদ করেন 

َعُدَّ نَفْسَكَ مِنْ أَهْلِ الْقُبُورِ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দেহ স্পর্শ করে বলেনঃ হে আবদুল্লাহ! দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস করো যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভুক্ত মনে করো। [৩৪৪৬]

তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) বাক্যটি ব্যতীত সহীহ। রাওদুন নাদীর ৫৭৪।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪১১৪
হাদিসের মান: অন্যান্য

অর্থাৎ তুমি তােমাকে কবরের অধিবাসী হিসেবে জান । কেননা , এটাই তােমার আসল বাড়ী । আর একটি মানুষের জন্য । একটিই কবর হয়ে থাকে । এই জন্য আমি বলেছি আমার ঘর বা বাড়ী একটি । হযরত বললেন , তুমি যথাযথ সত্য বলেছ । অতঃপর টাকা পয়সা সম্পর্কে লােকটি বলল , হুজুর ওলামায়ে কেরামের শুনেছি , হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন ,

يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي - قَالَ - وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ

মুতার্রিফ (রাযিঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি …… (সূরাহ্ আত্ তাকা-সুর) পাঠ করছিলেন। তিনি বললেন, আদাম সন্তানগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। বস্তুতঃ হে আদাম সন্তান! তোমার সম্পদ সেটা যা তুমি খেয়ে নিঃশেষ করে দিয়েছ, পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছ এবং দান করে খরচ করেছো। (ই.ফা. ৭১৫২, ই.সে. ৭২০৪)
  

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

 অর্থঃ বনী আদম বলে থাকে যে , আমার মাল , আমার মাল , অথচ দুনিয়ায় রেখে যাওয়া কোন মালই তার মাল নয় । হ্যা , যা সে খেয়ে নষ্ট করে দিয়েই । আর যা সে পরিধান করে পুরানাে করে দিয়েছে । আর যা সে সদকা করে আগ্লাহর রিজার্ভ ব্যাংকে জমা রেখেছে । এ ছাড়া সব তার হাত ছাড়া হয়ে যাবে । এবং পরিত্যাগ হয়ে থাকবে ।এ হাদীসের মর্মার্থ অনুযায়ী আমি হিসাব করে দেখেছি যে , আমি তিন হাজার টাকার মত সদকা করেছি তাই আমি আপনাকে বলেছি যে , আমি তিন হাজার টাকার মালিক । এবার বলুন , আমি ঠিক বলেছি কি না ? অত : পর হযরত বললেন , ঠিকই বলেছ এবং সত্য কথা বলেছ । পরিশেষে হযরত তার ঘরে খাওয়া দাওয়া করলেন । কল্যাণকামী , সত্যের সাধক , খােদাভীরু একজন সত্যিকার ঈমানদারের চিন্তা - চেতনা , ধ্যান - ধারণা এমনি হওয়া উচিত
—(মাওয়ায়েযে সিরাজী - ৫/৬৯ )

*  মৃত ব্যক্তিকে তার প্রতি অধিক কান্নাকাটি করার দরুন ক্ববরে ‘আযাব দেয়া হয়।

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ الْمَيِّتُ يُعَذَّبُ فِي قَبْرِهِ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ

‘উমর (রাঃ) সূত্রে নবী  (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তিকে তার জন্য কৃত বিলাপের বিষয়ের উপর কবরে শাস্তি দেয়া হয়।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১২৯২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

 *  বাদশা হারুনুর রশীদের আমলে ‘বাহলুল’ নামক বড় এক আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি ছিলেন। আল্লাহর মহব্বতে পাগল এ বুযুর্গের সাথে বাদশা হাস্য-কৌতুক করতেন। পাগল হলেও জ্ঞানী সুলভ কথা বলতেন। বাদশা তার প্রহরীকে বলে রেখেছিলেন, এ ব্যক্তিটি আমার সাক্ষাতে যখনই আসতে চায়, তখনই তাকে আসতে দিও। সুতরাং যখন খুশি তিনি রাজ দরবারে হাজির হতেন।

একদিন তিনি দরবারে প্রবেশ করে বাদশা হারুনুর রশীদের হাতে একটি ছড়ি দেখতে পেলেন। হারুনুর রশীদ কৌতুক করে বললেন, ‘বাহলুল সাহেব তোমার কাছে একটা অনুরোধ রাখব’। বাহলুল বললেন, কী অনুরোধ? হারুনুর রশীদ তাকে ছড়িটি দিয়ে বললেন, ‘এটা তোমাকে আমানত স্বরূপ দিচ্ছি’। পৃথিবীর বুকে তোমার চেয়ে বড় কোনো বেকুব যদি খুঁজে পাও তাকে আমার পক্ষ থেকে এটি উপহার দেবে।’ ‘আচ্ছা ঠিক আছে’ বলে ছড়িটি বাহলুল নিজের কাছে রেখে দিল। আসলে বাদশা ঠাট্টা করে বাহলুলকে এটাই বুঝাতে চাচ্ছিলেন যে, তোমার চেয়ে বড় নির্বোধ পৃথিবীতে আর কেউ নেই। যা হোক তখনকার মতো বাহলুল ছড়ি নিয়ে দরবার থেকে চলে গেল।

কয়েক বছর পরের ঘটনা। একদিন বাহলুল জানতে পারল, হারুনুর রশিদ খুব অসুস্থ, শয্যাশায়ী। তাঁর চিকিৎসা চলছে, কিন্তু কোনো ফল দিচ্ছে না। বাহলুল বাদশার শুশ্রুষার জন্য তাঁর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘আমিরুল মুমিনীন কেমন আছেন?’ বাদশা বললেন, ‘অবস্থা আর কি, সামনে সুদূর সফর উপস্থিত’।

– বাহলুল জিজ্ঞেস করল, ‘কোথাকার সফর?’

– আখেরাতের সফর! এখন দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি।

– কতদিন পর ফিরে আসবেন?

– আরে ভাই! এটাতো আখেরাতের সফর। এ সফরে গেলে কেউ আর ফিরে আসে না।

– আচ্ছা আপনি তো এ সফর থেকে আর ফিরবেন না, তাই সফরে আরাম ও সুবিধার জন্য কী কী ব্যবস্থা করেছেন?

– তুমি দেখি আবার নির্বোধের মত কথাবার্তা বলতে শুরু করেছ। আখেরাতের সফরে কেউ সঙ্গে যেতে পারে নাকি? এ সফরে বডিগার্ড, সৈন্য-লশকর কেউ সাথে যেতে পারে না। সঙ্গীহীন একাকী যেতে হয়। এ এক মহা সফর।

– এত দীর্ঘ সফর! সেখান থেকে আর ফিরবেন না, তবুও সৈন্য-সামন্ত কিছু পাঠালেন না? অথচ ইতোপূর্বে সব সফরেই এর যাবতীয় ব্যবস্থাপনার জন্য আগে থেকেই আসবাব-পত্র ও সৈন্য-সামন্ত প্রেরণ করতেন। এ সফরে কেন পাঠালেন না?

– এটা এমন সফর যে, এতে সৈন্য পাঠানো যায় না।

– জাঁহাপনা! বহুদিন হলো আপনার একটি আমানত আমার কাছে রয়ে গেছে। সেটি একটি ছড়ি। আমার চেয়ে বড় কোনো নির্বোধ পেলে এটা তাকে উপহার দিতে বলেছিলেন। আমি অনেক খুঁজেছি কিন্তু আপনার চেয়ে বড় নির্বোধ আর কাউকে পেলাম না। কারণ, আমি দেখেছি আপনি কোনো সংক্ষিপ্ত সফরে গেলেও মাস খানেক পূর্ব থেকেই তার প্রস্তুতি চলত। পানাহারের আসবাব, তাবু, সৈন্য, বডিগার্ড ইত্যাদি আগে থেকেই পাঠানো হতো। 
আর এখন এতো দীর্ঘ সফর, যেখান থেকে ফেরার সম্ভাবনাও নেই, অথচ এর জন্য কোনো প্রস্তুতি নেই। আপনার চেয়ে বড় বোকা জগতে আর কে আছে? অতএব আপনার আমানত আপনাকেই ফেরৎ দিচ্ছি। 
এসব শুনে বাদশা কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন এবং বিলাপ করে বলতে লাগলেন, বাহলুল! তুমি সঠিক বলেছো। আজীবন তোমাকে বোকা ভেবেছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো তুমি বুদ্ধিমান। তুমি প্রজ্ঞাপূর্ণ কথা বলেছ। বাস্তবেই আমি সারা জীবন বৃথা কাটিয়েছি। আখেরাতের কোনো প্রস্তুতি নেই নি।
*  বাদশা হারুনুর রশিদ এবং বাহলূল [৭৮৬-৮০৯ খ্রী:]

বাদশা হারুনুর রশীদের সময় এক পাগল ছিল, যার
নাম ছিল বাহলূল, তিনি অধিকাংশ সময় কবর
স্থানে কাটাতেন। এক দিন বাদশা হারুনুর রশিদ কোথায়
যাচ্ছিলেন, তো দেখলেন বাহলূল কবর স্থানের
একটি গাছের ডালে রয়েছেন।
বাদশা হারুন বল্লেনঃ বাহলূল! ওহে পাগল তোমার
কি কখনও জ্ঞান হবে না?
এ কথা শুনে বাহলূল উপরের ডালে উঠে
বল্লেনঃহারুন!ওহে পাগল তোমার কি কখনও
জ্ঞান ফিরবে না?
বাদশা হারুনঃ আমি কি ভাবে পাগল হলাম?
বাহলুল রাজপ্রাসাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে
বললেনঃ আমি জানি এই রঙ্গীলা দালান
ক্ষণিকের আবাসস্থল, এবং এটি(কবরস্থান)
স্থায়ী নিবাস; এজন্য আমি মরার পূর্বেই
এখানে বসবাস শুরু করেছি। অথচ তুমি গ্রহণ করেছ ঐ
রঙ্গশালাকে আর এই স্থায়ী নিবাসকে(কবর)
এড়িয়ে চলেছো। রাজপ্রসাদ থেকে এখানে
আসাকে অপছন্দ কর যদিও তুমি জান এটাই
তোমার শেষ গন্তব্য। এবার বল, আমাদের মধ্যে
কে পাগল ?
বাহলূলের মুখে এ কথা শোনার পর বাদশা হারুনুর রশিদের অন্তর
কেঁপে উঠল, তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁর
দাঁড়ি ভিজে গেল। তিনি বললেন: আল্লাহর
কসম ! তুমিই সত্যবাদী। আমাকে আরও কিছু উপদেশ
দাও!
বাহলূল: তোমার উপদেশের জন্য আল্লাহর
কিতাবই যথেষ্ট। তাকে যথার্থভাবে আকড়ে
ধর।
বাদশা হারুন: তোমার কোন কিছুর অভাব থাকলে
আমাকে বল,আমি তা পূরণ করব।
বাহলূল: হ্যা, আমার তিনটি অভাব আছে, এগুলো
যদি তুমি পূরণ করতে পার তবে
সারা জীবন তোমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করব।
বাদশা হারুন: তুমি নিঃসঙ্কচে চাইতে পার।
বাহলূল: মরণের সময় হলে আমার আয়ূ বৃদ্ধি করতে হবে।
বাদশা হারুন: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলূল: আমাকে মৃত্যুর ফেরেশতা থেকে রক্ষা
করতে হবে।
বাদশা হারুন: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলূল:আমাকে জান্নাতে স্থান করে দিতে
হবে এবং জাহান্নাম থেকে আমাকে দূরে
রাখতে হবে।
বাদশা হারুন: আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
বাহলূল: তবে জেন রাখ, তুমি বাদশাহ নও বরং
তুমিও অন্য কারো অধীনস্থ।
অতএব তোমার কাছে আমার কোন চাওয়া বা
প্রার্থনা নেই।
:সংগৃহীত পোষ্ট_
বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি যে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকে
*  মৃত্যু আসবেই,
মহাবীর আলেকজান্ডার এর অন্তিম তিন ইচ্ছা,মৃত্যু শয্যায় আলেকজান্ডার তাঁর সেনাপতিদের
ডেকে বলেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে।এতে যেন কোনো ব্যঘাত
না ঘটে।
* আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে,"শুধু আমার
চিকিৎসকেরা আমার কফিন বহন করবেন"।
* আমার দ্বিতীয় অভিপ্রায়,"আমারকফিন যে পথ
দিয়ে গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে,সেই পথে
আমার কোষাগারে
সংরক্ষিত সোনা,রুপা ও অন্যান্য মূল্যবান পাথর
ছড়িয়ে দিতে হবে"।
* আমার শেষ অভিপ্রায়,"আমারকফিন বহনের সময় আমার দুই হাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে"। তাঁর মৃত্যু শয্যায় উপস্থিত লোকজন মহাবীর
আলেকজান্ডারের এই অদ্ভুত অভিপ্রায়ে বিস্মিত
হন।কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁকে কিছু জিজ্ঞেস
করার সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ।তখন তাঁর একজন
প্রিয় সেনাপতি তাঁর হাতটা তুলে
ধরে চুম্বন করে বলেন,‘হে মহামান্য,অবশ্যই
আপনার
সব অভিপ্রায় পূর্ণ করা হবে;কিন্তু আপনি কেন এই
বিচিত্র
অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন?’দীর্ঘ একটা শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার
বললেন,‘আমি দুনিয়ার সামনে তিনটি শিক্ষা
রেখে যেতে চাই,আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে বলেছি এ
কারণে যে,যাতে লোকে অনুধাবন করতে পারে
চিকিৎসকেরা আসলে কোনো মানুষকে সারিয়ে
তুলতে
পারেন না।তাঁরা ক্ষমতাহীন আর মৃত্যুর থাবা
থেকে কাউকে রক্ষা করতে অক্ষম।’গোরস্থানের পথে সোনা-দানা ছড়িয়ে রাখতে
বলেছি মানুষকে এটা বোঝাতে যে ওই সোনা-
দানার একটা কণাও আমার সঙ্গে যাবে না।আমি
এগুলো পাওয়ার জন্য সারাটা জীবন ব্যয়
করেছি,কিন্তু নিজের সঙ্গে কিছুই নিয়ে যেতে
পারছি না।মানুষ বুঝুক ধন-সম্পদের পেছনে ছোটা
সময়ের
অপচয় মাত্র।কফিনের বাইরে আমার হাত ছড়িয়ে রাখতে
বলেছি মানুষকে এটা জানাতে যে,খালি হাতে
আমি এই পৃথিবীতে
এসেছিলাম,আবার খালি হাতেই পৃথিবী থেকে
চলে যাচ্ছি।

*    হযরত যাকারিয়া (আঃ) এক বুযুর্গের স্বপ্ন বর্ণনা করে বলেন। মাতরাফ ইবনে শুখাইর (র) সপ্নে দেখে কবর বাসী টোকাচ্ছে,,,পৃ- বেহেস্তী নারী -186
এক বুযুর্গ আল্লাহর ওলি স্বপ্নে দেখেন। একটি ফিরেস্তা কবরে আমল বন্টন করেতেছেন। সমস্ত কবর বাসি আমল নিতে লাইনে কাতার বদ্ধ ভাবে দারিয়ে আছেন। অন্যদিকে একটি মহিলা তার কবরে বসে আছেন। আল্লাহর ওলি বুযুর্গ বলেন, এই মহিলা সকলে আমল নেয়ার জন্য ছোঁটছে আপনি কেন বসে আছেন আমল নিবেন না।

মহিলা বলেন না আমি নিবো না।
কেন নিবেন না, কেন নিবেন না।

মহিলা বলেন, দোনিয়ায় আমার একটা নেক সন্তান আছে। সে নেক আমল করে, আর এই নেক আমলের নেক গোলা আমি মায়ের কবরে পৌঁছতে থাকে, আমার কবর নেকে নেকে বরপুর। তাই আমার ঐ আমলের দিকে চাহিদা কম।  আল্লাহর ওলি বলেন কি তার পরিচয়। কোথায় থাকে আপনার সন্তান। মহিলা বলেন ওমক এলাকায় দোকান্দারি করেন, নাম ওমক। বুযুর্গের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় তাহাজ্জুদ আদায় করে, ফজর পড়ে, সূর্যোউদয় হলে এশরাক নামায আদায় করে ঐ ছেলের সন্ধানে বের হলেন। ছেলেকে খোঁজে পেয়ে,  আল্লাহুআকবর দেখেন ঐ যুবক কোরআন তেলোয়াত করেন খরিদদ্বার এলে কিছু সময় তেলোয়াত বন্ধ করে আবার তেলোয়াতে মশগুল, আল্লাহর ওলি বলেন। ঐ কবরস্থানে কি তোমার মাকে দাফন করেছ, যুবক বলেন জি। তোমার নাম কি ওমক। যুবক বলেন জি। আল্লাহর ওলি দুইটা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলেন আয় বাবা আয় আমার বুকে আয় যে সন্তানের জন্য মা-বাবা ধন্য। এমন সন্তানে বুকটা আমার বুকের সাথে লাগাই আমার ইচ্ছে করে তুকে বুকে নিতে আয় বাবা আয় আমার বুকে আয়। আল্লাহর ওলি যুবক কে জড়িয়ে ধরে চোখের পনি নিয়ে বলে ওযুবক, তোমার এই আমল তোমার মায়ে কবরে যায়। তোমার মা অনেক সুখে আছে, তোমার মা খুব আনন্দে আছে। তুমি আমল ছেড়না বাবা তেমার মায়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। তোমার মা, তোমার আমলের নেক কবরে বসে বসে পায়, তুমি আমল করতে থাক, তোমার জন্য তোমার মা ধন্য। এমন নেক সন্তান দোনিয়ায় রেখে যেতে পারলে মা বাবা ধন্য। 

(#ওযুবক_যুবতি) আমাদের সমজে তো আজ (মুসলান) আমরা প্রহেলা বৈশাখ, থার্টি ফাস্ট নাইট, হলি ডে, মেরিষ্ট ডে, ইত্যাদি দিবস নিয়ে ব্যস্থ আফসোস আহ আফসোস ঐ জাতির জন্য।তোমাদের দিকে তোমাদের মা-বাবা আত্যিয় সজন তাকিয়ে আছেন, তোমরা আমল করো আমর করো।

আবার কিছুদিন পর আল্লাহর ওলি বুযুর্গ স্বপ্নে দেখেন ঐ মহিলা সকল লোকের ভিড়ে ঠেলে সামনে যাচ্ছেন নেক আমলের ফিরিস্তা থেকে নেক নিতে।  আল্লাহর ওলি বলেন, এই মহিলা কিছুদিন আগে তুমি নেক নেওনি এখন কেন নেকের জন্য এতো পিড়াপিড়ি করছো।  মহিলা বলেন, আমার নেক সন্তান টি কিছু দিন হয় মারা গেছেন এখন আর আমার কবরে নেক আসে না তাই আমি এখন নেকের পিছে দৌড়াই।

এদ্বারা এটাই বুঝায়,, দোনিয়াতে নেক সন্তানের নেক গুলা তার মা বাবার কবরে পৌঁছায়।
মা-বাবার কথা স্বরণ করে আমল করো মা-বাবার কবরে পৌঁছাবে মা-বাবার আত্যা শান্তি পাবে।

*  --ফ্যাক্টরি ভালো তো মাল ভালো-
শোনা কথা, সত্য-মিথ্যা জানিনা,
"শিক্ষনীয়" মনে করতেছি, তাই
সবার উপকার্থে পোষ্ট করলাম...!!
আমেরিকার একটি স্কুলে,
ছোট্ট বাচ্চাদের ক্লাস নিচ্ছেন
এক খৃস্টান ম্যাডাম।
ক্লাসের এক ফাঁকে ম্যাডাম
বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করলেনঃ-
তোমরা বড় হয়ে কে কি হতে চাও..?
সবাই এক এক করে বলতে লাগলো,
আমি পাইলট হবো,
চাঁদের দেশে যাবো।
কেউ কেউ বললো
ডাক্তার,বিজ্ঞানি, ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই।
ম্যাডাম লক্ষ্য করলেন
ছোট্ট একটি ছেলে সে কিছুই
বলছে না।
ছেলেটিকে প্রশ্ন করলেন
তুমি বড় হয়ে কি হতে চাও..??
ছেলেটি বলল, আমি বড় হয়ে
'সাহাবী' হতে চাই।

ম্যাডাম থমকে গেলেন! মনে মনে
ভাবলেন 'সাহাবী' আবার কি..??
ম্যাডাম ক্লাস শেষ করে সেই
ছেলেটির মায়ের কাছে ফোন
দিলেন।
ছেলেটির মাকে বললেন,
আপনার ছেলে বড় হয়ে 'সাহাবী'
হতে চায়, এখন আমি
জানতে চাই 'সাহাবী' মানে কি?

ছেলেটির মা বলল-ফোনে 'সাহাবী'
চিনানো যাবে না।
আপনি যদি বাসায় আসেন,
আমি বুঝিয়ে দিবো।

অমূল্য হেদায়াত যেন
সেই খৃস্টান ম্যাডামকে
হাতছানি দিয়ে ডাকতেছে...!!

পরদিন ম্যাডাম সেই ছেলেটির
বাসায় গেলেন। ছেলেটির মা
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)এর আগমনের
পূর্বে অন্ধকার যুগের চিত্র
তুলে ধরলেন।
নারীদের অবমাননা,
দূর্বলদের প্রতি সবলদের অত্যাচার,
মারামারি ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদির
কথা বললেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
ছোঁয়ায় পৃথিবী আলোকিত হওয়া,
নারীরা সম্মান পাওয়া,
ধনী গরীব সমান হওয়া ইত্যাদি
স্বর্ণালি যুগের কথা বললেন।
তুলে ধরলেন সাহাবীদের জীবন
চলার পাথেয়। বিশিষ্ট চার
সাহাবীর জীবন কাহিনী বললেন।

ম্যাডাম সাহাবীর পরিচয় জানতে
এসে, ইসলাম ধর্মের পরিচয় জানলেন।

ছেলেটির মাকে বললেন,
ইসলামি কিছু বই দেওয়ার জন্য।
ছেলেটির মা ইংরেজি অনুবাদের
একটি আল-কোরআন
আর কিছু ইসলামি বই দিলো।

বই গুলো পড়ে সেই ম্যাডাম
কিছু দিন পর ইসলামের
ছায়াতলে আশ্রয় নিলেন....!!

সুবহানাল্লাহ! একজন মুসলিম
'মা' তো এমনি হওয়া চাই।
নিজ সন্তানকে রুপকথার
রাজ্যের কাল্পনিক কাহিনী না বলে
ইসলামের কথা বললেন।
ফলে এই ছোট্ট শিশুটির মাধ্যমে
একজন খৃস্টান ম্যাডাম ইসলাম
গ্রহণ করলেন।

এটাতে শিক্ষনীয় বিষয় হলো,
পিতামাতার উচিত এরকম
ধার্মিক করে সন্তান গরে তোলা।
তা-নাহলে কিয়ামতে আপনার
শাস্তি সন্তানের চাইতেও দিগুন হবে।

আল্লাহ তায়ালা সবাইকে
সঠিক বুঝ দান করুক।-

‘আমির ইবনু রবী‘আহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তোমরা জানাযাহ্‌ নিয়ে যেতে দেখ তখন দাঁড়িয়ে যাও। যে পর্যন্ত তা তোমাদের পশ্চাতে ফেলে না যায় অথবা তা মাটিতে রেখে দেয়া না হয় (ততক্ষণ দাঁড়িয়ে থাক)। (ই.ফা. ২০৮৫, ই.সে. ২০৮৯)
  

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২১০৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

إِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِينِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيدٌ

(ক্বাফ - ১৭)
যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে।

مَّا يَلْفِظُ مِن قَوْلٍ إِلَّا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ

(ক্বাফ - ১৮)
সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তাই গ্রহণ করার জন্যে তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।

وَجَاءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ۖ ذَٰلِكَ مَا كُنتَ مِنْهُ تَحِيدُ
(ক্বাফ - ১৯)
মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেই তুমি টালবাহানা করতে।

*  
গুনার কাজে আনন্দ পেলে
 বুজে নিবে কালব অসুস্থ হয়ে গেছে 
সেদিন অসুস্থ কালবের কোন মূল্য থাকবেনা ,,,ইয়া আইয়াতুহান্নাফ,,
শোনার মানুষ হন,জানুয়ার বেহেস্তে যাবেনা ,মানুষের মধ্য জানুয়ার কারা, ,দিল্লির শাহী মসজিদের ইমাম শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দেসি দেহলবী মাথার টুপি,,,  সেজদার হালতে মরতে চাইবে ৷

*  একটা গুনাহ কলবে একটা দাঁগ পড়ে,
গুনার কাজে আনন্দ পেলে
 বুজে নিবে কালব অসুস্থ হয়ে গেছে 
সেদিন অসুস্থ কালবের কোন মূল্য থাকবেনা ,,,ইয়া আইয়াতুহান্নাফ,,
শোনার মানুষ হন,জানুয়ার বেহেস্তে যাবেনা ,মানুষের মধ্য জানুয়ার কারা, ,দিল্লির শাহী মসজিদের ইমাম শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দেসি দেহলবী মাথার টুপি,,,  সেজদার হালতে মরতে চাইবে ৷

فَمَا بَكَتْ عَلَيْهِمُ السَّمَاءُ وَالْأَرْضُ وَمَا كَانُوا مُنظَرِينَ
(আদ-দোখান - ২৯)
তাদের জন্যে ক্রন্দন করেনি আকাশ ও পৃথিবী এবং তারা অবকাশও পায়নি। এটার নাম সফলতার জীবন নয়,
* সফলতার জীবন হলো,মুমেনের মরনে আসমান কান্দে
* এমন জীবন কররে গঠন
এলাকার মানুষ কাদবে ,ওয়াজাবাত

*

(1983125) নেক সন্তান 

" পিতামাতা নেককার হলে সন্তান নেককার হওয়ার আশা থাকে but পিতামাতা বদকার হলে সন্তানও বদকার হয় "

* নেককার সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে অসাধারণ এক নিয়ামাত। আলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও অনেক সন্তান জাহিল হয়, অবাধ্য হয়, বেদ্বীন হয়। তাই আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে চাওয়া উচিত আল্লাহ যেন সুস্থ, সুন্দর, নেককার সন্তান দান করেন। কেননা সন্তান যদি নিয়ামাত না হয়ে আযাব হয় সেক্ষেত্রে মা বাবাকে সারাজীবন সাফার করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ দুইজন নবীর দুয়ার কথা উল্লেখ করেছেন, যাদের দুয়ার বরকতে আল্লাহ তাদেরকে এমন সন্তান দান করেছেন যাদেরকে দুনিয়ার মানুষ কিয়ামাত পর্যন্ত আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছে। সুবহানাল্লাহ!

ইবরাহীম(আ) সন্তানহীন ছিলেন, আল্লাহ উনাকে বৃদ্ধ বয়সে সন্তান দান করেছেন। উনি দুয়া করেছিলেন,
رَبِّ هَبْ لِى مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ 
রব্বি হাব্লী মিনাছ্ ছোয়া-লিহীন্।
অর্থ: "হে আমার রব, আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন।" (সূরা আস-সফফাত - ৩৭:১০০)

এই দুয়ার পর আল্লাহ উনাকে ইসমাইল(আ) কে দান করেন। ইসমাইল(আ) এর বংশেই আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন।

মহান আল্লাহ এর পরের আয়াতে বলেন, 
"সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।" (আস-সফফাত ৩৭:১০১)

যাকারিয়া(আ) অতিবৃদ্ধ ছিলেন এবং উনার স্ত্রীও ছিলেন বন্ধ্যা। কিন্তু উনি আল্লাহর কাছে দুয়া করেছিলেন এভাবে, 
 رَبِّ هَبْ لِى مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ 
রব্বি হাব্লী মিল্লাদুন্কা র্যুরিয়্যাতান্ ত্বোয়াইয়িবাতান্, ইন্নাকা সামী ‘উদ্ দু‘আ - য়্।

অর্থ: হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সূরা আলে ইমরান - ৩:৩৮)

*  মৃত্যুর পর কবরে নেক সন্তান উপকারে আসবে
#নেক_সন্তানের_মর্তবা।

#চোখেরজল_এসে_যায়। 

আপনি আপনার বন্ধুর কাছে যেমন আপনার গোপন কথা গুলা প্রকাশ করেদেন।

তেমনি আল্লাহ্ তা'য়ালা তার ওলিদের, ওতার বন্ধুর কাছে, তার গোপন ঘটনা গুলা স্বপ্নের যোগে দেখিয়ে দেন।  আল্লাহুআকবর।

মাতরাফ ইবনে শুখাইর (র) সপ্নে দেখে কবর বাসী টোকাচ্ছে,,,পৃ- বেহেস্তী নারী -186
*  সন্তানের নেক আমল পিতা-মাতার কবরে যায়,৪: আন-নিসা,:আয়াত: ৮৫
مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً حَسَنَةً یَّكُنْ لَّهٗ نَصِیْبٌ مِّنْهَا١ۚ وَ مَنْ یَّشْفَعْ شَفَاعَةً سَیِّئَةً یَّكُنْ لَّهٗ كِفْلٌ مِّنْهَا١ؕ وَ كَانَ اللّٰهُ عَلٰى كُلِّ شَیْءٍ مُّقِیْتًا

যে ব্যক্তি কল্যাণ ও সৎকাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকে অংশ পাবে এবং যে ব্যক্তি অকল্যাণ ও অসৎকাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকে অংশ পাবে। আর আল্লাহ‌ সব জিনিসের প্রতি নজর রাখেন।

*

টোকেন
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَلْتَنظُرْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ لِغَدٍ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ

(আল হাশ্‌র - ১৮)
মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহ তা’আলাকে ভয় কর। প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত, আগামী কালের জন্যে সে কি প্রেরণ করে, তা চিন্তা করা। আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করতে থাক। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা’আলা সে সম্পর্কে খবর রাখেন।

يَقُولُ يَا لَيْتَنِي قَدَّمْتُ لِحَيَاتِي

(আল ফাজ্‌র - ২৪)
সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম!

ﺇِﺫَﺍ ﻣَﺎﺕَ ﺍﻹِﻧْﺴَﺎﻥُ ﺍﻧْﻘَﻄَﻊَ ﻋَﻨْﻪُ ﻋَﻤَﻠُﻪُ ﺇِﻻَّ ﻣِﻦْ ﺛَﻼَﺛَﺔٍ ﺇِﻻَّ ﻣِﻦْ ﺻَﺪَﻗَﺔٍ ﺟَﺎﺭِﻳَﺔٍ ﺃَﻭْ ﻋِﻠْﻢٍ ﻳُﻨْﺘَﻔَﻊُ ﺑِﻪِ ﺃَﻭْ ﻭَﻟَﺪٍ ﺻَﺎﻟِﺢٍ ﻳَﺪْﻋُﻮ ﻟَﻪُ
(মুসলিম, তিরমিজি, মিশকাত)

*  নেক সন্তান নিয়ামত নতুবা আযাব

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا رَبَّنَا أَرِنَا اللَّذَيْنِ أَضَلَّانَا مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ نَجْعَلْهُمَا تَحْتَ أَقْدَامِنَا لِيَكُونَا مِنَ الْأَسْفَلِينَ

(হা-মীম সেজদাহ্ - ২৯)
কাফেররা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! যেসব জিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আমরা তাদেরকে পদদলিত করব, যাতে তারা যথেষ্ট অপমানিত হয়।

" পিতামাতা নেককার হলে সন্তান নেককার হওয়ার আশা থাকে but পিতামাতা বদকার হলে সন্তানও বদকার হয় "

* মাদরাসা একটা পরিবেশ,
ইহুদীর বারীর পার্শে বারি করিওনা,কুরআনের তাছির সেখানে থাকে

*  আমেরিকার একটি স্কুলে,
এক খৃস্টান ম্যাডাম। ছেলে কয়
সাহবী হতে চাই

ইবরাহীম(আ) সন্তানহীন ছিলেন,
رَبِّ هَبْ لِى مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ 

যাকারিয়া(আ) অতিবৃদ্ধ ছিলেন 
 رَبِّ هَبْ لِى مِن لَّدُنكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۖ إِنَّكَ سَمِيعُ ٱلدُّعَآءِ 
(সূরা আলে ইমরান - ৩:৩৮)

সুসন্তান লাভের জন্য আমরা আরো একটি বিখ্যাত ও চমৎকার দুয়া পবিত্র কুরআনে পাই।

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
(সূরা আল-ফুরকান - ২৫:৭৪)

*  মৃত্যুর পর কবরে নেক সন্তান উপকারে আসবে

নেক_সন্তানের_মর্তবা।

*  আমার বলতে কিছুই নাই-দান সদকা-2
* আসছি খালি হাতে যাব খালি হাতে সব কিছু মাঝখানে পরে থাকবে
*  শিশু বাচ্ছাকে বলেন এই ঘরটি কার?  সে বলবে আমার
*  আইছো একা যাইবা একা
*  মৃত্যুর সময় তিন বন্দু
—(মাওয়ায়েযে সিরাজী - ৫/৬৫ )
*  মৃত্যুর সময় তিন বন্ধুর সাথে কথােপকথন এ হাদীসখানাকে এভাবে বুঝা যেতে পারে যে , যখন মানুষের মৃত্যুর সময় । ঘনিয়ে আসে তখন সে তার তিনজন বন্ধু থেকে সবচেয়ে প্রিয়জনকে ডেকে জিজ্ঞেস করবে , বন্ধু আমার এই বিপদের সময় তুমি আমাকে কি সাহায্য করতে পার ? আমি তাে আমার মেধা , শ্রম ও সময় সবই তােমাকে অর্জন করার জন্য ব্যয় করেছিলাম । সে জবাবে বলবে , আমি সারাজীবন তোমার খেদমত করেছি , সুখে - দুঃখে তােমার হাতের শক্তি ও সঙ্গী ছিলাম । কিন্তু আজ তােমার মৃত্যুর এ কঠিন সময় আমার করনীয় কিছুই নেই । তােমার মৃত্যুর সাথে সাথেই আমি । অন্যের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবাে , এই আমার নীতি । মানুষ আমার জন্য সব করে এবং আপন বানাতে চায় । কিন্তু আমি আপন হওয়ার ভাব দেখাই তবে কারাে আপন হইনা , মানুষকে এভাবে ধোকা দেয়াই আমার কাজ । আমি অত্যন্ত নিঠুর ও নির্মম । অতঃপর সে দ্বিতীয় বন্ধুকে ডাকবে এবং বলবে এ মুহূর্তে বন্ধু তুমি আমার কি উপকার করতে পারাে ? সে বলবে তোমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার কোন ক্ষমতা আমার নেই , তবে মৃত্যুর পরে তোমাকে ভালভাবে গােছল দিয়ে , উত্তম কাফন পড়িয়ে , আতর গােলাপে সজ্জিত করে কবরে দিয়ে আসতে পারব এবং মাঝেমাঝে তােমার কবরে ফুল দিয়ে আসতে পারবাে । জানি না তা তােমার সে জগতে কতটুকু কাজে আসবে । তারপর সে তৃতীয় বন্ধুকে ডাকবে , সে উত্তরে বলবে বন্ধু । চিন্তা করাে না , আমি সারাজীবন বিশ্বস্থতার সাথে তােমার সঙ্গে রয়েছি , মৃত্যুর সময়ও থাকবাে , এমনকি কবরে হাশরে এবং হিসাব - নিকাশের কঠিন মুহূর্তগুলােতে তােমার সঙ্গী হয়ে থাকব । কিন্তু তুমি তাে আমাকে তৃতীয় পর্যায়ের বন্ধু মনে করতে , কখনাে । ভালবাসা দেখিয়েছে , কখনাে না । যাই হােক , তােমার এ কঠিন মুহূর্তে সর্বক্ষণ সাধ্যমত আমি তােমার সাহায্য করে যাব কিন্ত আমি খুবই দুর্বল । এরপর হজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন , জানাে মানুষের তিন বন্ধু কারা ? বললেন , যেনে রেখাে , প্রথম জন হল তার ধন - সম্পদ , দ্বিতীয় জন হল তার সন্তান - সন্ততি বা আত্মীয় - স্বজন , আর তৃতীয় জন হল তার নেক আমল । 

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم 

يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  বলেছেনঃ তিনটি বস্তু মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার ‘আমাল তার অনুসরণ করে। তার পরিবারবর্গ ও তার মাল ফিরে আসে, এবং তার ‘আমাল তার সঙ্গে থেকে যায়।[মুসলিম পর্ব ৫৩/হাঃ ২৯৬০, আহমাদ ১২০৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭০)
  

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫১৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

ভায়েরা আমার । এ হল দুনিয়ার নকশা । দুনিয়ায় থাকাকালীন প্রথম দুই প্রকার বন্ধুকেই আমরা প্রকৃত বন্ধু বলে মনে করে থাকি । অথচ এ দুটি জিনিস যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখনই মানুষ দুনিয়ার প্রতি ক্রমান্বয়ে আকৃষ্ট হতে থাকে ।
মাওয়ায়েযে সিরাজী-65
এবং তার পূর্ব অহংকার ও আখেরাত বিমুখতা বাড়তে থাকে এবং আখেরাতকে লতে শুরু করে । এই মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক আর সাবধান করে ইরশাদ করেন 
৬৩: আল-মুনাফিকুন:৯,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَ لَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِۚ وَ مَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ

হে১৭ সেই সব লোক যারা ঈমান এনেছো, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল করে না দেয়। ১৮ যারা এরূপ করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। 
হযরত হাসান বসরী ( রহঃ ) বলেন , আমি বিস্মিত হই ঐ সকল ব্যক্তিদের উপর যাদের আখেরাতের সফর অত্যন্ত নিকটবর্তী এবং সফরের সামান তৈরীর হকুমও করা হয়েছে , তথাপিও তারা দুনিয়ার খেল তামাশায় লিপ্ত । তিনি কোন মৃত ব্যক্তি দেখলে এত বেশী শােক প্রকাশ করতেন , যেন এই মাত্র তিনি স্বীয় মতাকে দাফন করে এসেছেন ।
* এই জীবনের জন্য আফসোস হবে যখন গলায় গেরগিরি ইষ্টার্ট
হবে

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُولَـٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

(আন নিসা - ১৭)
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।

وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَـٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

(আন নিসা - ১৮)
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ

(আল মুনাফিকূন - ৯)
মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।

*  মৃত্যু আসার আগেই দান করার নির্দেশ
وَأَنفِقُوا مِن مَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ الصَّالِحِينَ

(আল মুনাফিকূন - ১০)
আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসার আগেই ব্যয় কর। অন্যথায় সে বলবেঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিলে না কেন? তাহলে আমি সদকা করতাম এবং সৎকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।

*  মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) নামক প্রখ্যাত এক বুযুর্গ বলেন, আমি একদিন রাতে ঘুমে স্বপ্নে এক কবরস্থান দেখলাম। কবরবাসী কি যেন মাটি থেকে কুড়াচ্ছে। তবে এক বৃদ্ধলোক তাদের থেকে আলাদা। তিনি এদের থেকে একটু দূরে এক জায়গায় বসে আছেন, আমি তাঁর নিকট এগিয়ে গেলাম।
জিজ্ঞেস করলাম, এরা কি কুড়াচ্ছে?

বৃদ্ধ বললেন, পথচারীরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কুরআনের কিছু তেলাওয়াত করে বা দরূদ পাঠ করে—এর সওয়াব পৌঁছে দিয়ে যায়। এরা সেই সওয়াবই কুড়াচ্ছে ।

আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কেন ওদের সাথে সওয়াব কুড়াচ্ছেন না?

বৃদ্ধ বললেন—আমার এর কোন দরকার নেই। কেননা, প্রত্যেক দিন আমার নিকট বিশাল অংকের সওয়াব পৌঁছে যায়।

আমি বললাম, আপনার কেন দরকার নেই? আর প্রত্যেক দিন কতটুকু সওয়াব আপনার নিকট পৌঁছে? সেটা কিভাবে পৌঁছে?

বৃদ্ধ বললেন—আমার এক পুত্র হাফেযে কুরআন। সে অমুক বাজারে মিষ্টান্নের দোকানের মিষ্টির ব্যবসা করে। দিনভর সে বেচাকেনার সাথে সাথে পূর্ণাঙ্গ এক খতম কুরআন পাঠ করে তাঁর সওয়াব আমার নামে পৌঁছে দেয়। এজন্য আমার সওয়াব কুড়ানোর দরকার হয় না। আমার সঙ্গী কবরবাসীদের এই সওয়াবের প্রয়োজন রয়েছে। তাই ওরা এভাবে সওয়াব কুড়ায়। আর আমি এখানে বসে বসে সে দৃশ্য দেখি।

মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) বলেন, পরের দিন ভোরে ঘুম ভাঙ্গার পর ফজরের নামায আদায় করে বের হয়ে পড়লাম। সেই বাজারে চলে গেলাম। খুঁজতে খুঁজতে একটি মিষ্টির দোকানে পেয়ে গেলাম। দোকানে এক যুবক মিষ্টান্ন বিক্রি করছে। আর সাথে সাথে মৃদু আওয়াজে কুরআন মাজীদে তেলাওয়াত করছে।

আমি জিজ্ঞেস করলাম বেটা! তুমি কি পাঠ করছো?

যুবক বললো, জি জনাব! কুরআন পাঠ করছি।

প্রত্যেক দিন কতটুকু পড়ো? আমি জিজ্ঞেস করলাম।

প্রত্যেক দিন এক খতম করে তেলাওয়াত করি জনাব! যুবক বলল।

এক খতম করে প্রত্যেক দিন কেন পড়ো? জিজ্ঞেস করলাম।

যুবক বললো, আমার পিতা আমার প্রতি অনেক বড় এহসান করে গিয়েছেন। আমি এই এহসানের কিছুটা বদলা পরিশোধ করতে চাই। আমাকে তিনি পবিইত্র কুরআনের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। আমি এই পরম অনুগ্রহের বিনিময় দিতে চাই।

মাতরাফ ইবনে শুখাইর (রহঃ) অনেক বড় আলেম ছিলেন। ছিলেন যমানার খ্যাতিমান মুহাদ্দিস, মুফাসসির, এবং লেখকও। তিনি ঘটনা এ পর্যন্ত লিখে রাখলেন।

তিনি লিখেন—আরো কয়েক বছর কেটে গেলো। এক রাতে আবার সেই কবর স্থান স্বপ্নে দেখলাম। কবরবাসী পূর্বের মতোই সওয়াব কুড়াচ্ছে। সাথে সেই বৃদ্ধ লোকটিও রয়েছে। বৃদ্ধও সবার সাথে ব্যস্ত হয়ে সওয়াব কুড়াচ্ছেন।

আমার ঘুম ভাঙ্গতেই মনে হলো-আজ এই নগরে কোন কিছু হয়ে গেছে। ফজরের নামাযের পর সেই দোকানে গেলাম। আশে পাশের দোকানগুলো ততক্ষণে খুলে ফেলেছে। অথচ এই মিষ্টির দোকানটি বন্ধ। লোকজনকে জিজ্ঞেস করলাম, এই দোকানের সেই যুবক মালিক কোথায়?

লোকেরা বলল, জনাব! ছেলেটা গতকাল ইন্তেকাল করেছে।

আহা! সওয়াবের কি সুনিশ্চিত এক ধারা চলছিলো। সেটা বন্ধ হয়ে গেলো। আর সন্তানের পিতাও সওয়াব কুড়ানোদের দলে ভিড়ে গেলেন।

সূত্রঃ তাজা ঈমানের সত্য কাহিনী বই থেকে নেওয়া।

* কবরে সন্তান সবচেয়ে বর সম্পদ
মাতরাফ ইবনে শুখাইর (র) সপ্নে দেখে কবর বাসী টোকাচ্ছে,,,পৃ- বেহেস্তী নারী -186

-------------------------
49 /58   আমার বলতে কিছুই নাই-
*  শিশু বাচ্ছাকে বলেন এই ঘরটি কার?  সে বলবে আমার
*  আইছো একা যাইবা একা
*  মৃত্যুর সময় তিন বন্দু সাথে যায় ৷ সহিহ বুখারী,৬৫১৪(মাওয়ায়েযে সিরাজী-৫/৬৫
يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى
*  (আ:)কাদের জিলানী র: কে দাওয়াত দিল,বেচারার একটা ছেলে, একটা ঘর, তিন হাজার টাকা আছে
=  আমার একটা ছেলে আমি সত্য বলেছি,নেক সন্তান একমাত্র সন্তান
=  আমার একটা ঘর সত্য বলেছি,সুনানে ইবনে মাজাহ,৪১১৪
عُدَّ نَفْسَكَ مِنْ أَهْلِ الْقُبُور
=  আমার তিন হাজার টাকা সত্য বলেছি,সহিহ মুসলিম,৭৩১০
يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي - قَالَ - وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ
(মাওয়ায়েযে সিরাজী - ৫/৬৯ )
* কবরে সন্তান সবচেয়ে বর সম্পদ
মাতরাফ ইবনে শুখাইর (র) সপ্নে দেখে কবর বাসী টোকাচ্ছে,,,পৃ- বেহেস্তী নারী -186
*  মৃত্যু আসার আগেই দান করার নির্দেশ
وَأَنفِقُوا مِن مَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ الصَّالِحِينَ49 /58   আমার বলতে কিছুই নাই-
* আসছি খালি হাতে যাব খালি হাতে সব কিছু মাঝখানে পরে থাকবে
*  শিশু বাচ্ছাকে বলেন এই ঘরটি কার?  সে বলবে আমার
*  আইছো একা যাইবা একা
*  মৃত্যুর সময় তিন বন্দু
—(মাওয়ায়েযে সিরাজী - ৫/৬৫ )
*  মৃত্যুর সময় তিন বন্ধুর সাথে কথােপকথন এ হাদীসখানাকে এভাবে বুঝা যেতে পারে যে , যখন মানুষের মৃত্যুর সময় । ঘনিয়ে আসে তখন সে তার তিনজন বন্ধু থেকে সবচেয়ে প্রিয়জনকে ডেকে জিজ্ঞেস করবে , বন্ধু আমার এই বিপদের সময় তুমি আমাকে কি সাহায্য করতে পার ? আমি তাে আমার মেধা , শ্রম ও সময় সবই তােমাকে অর্জন করার জন্য ব্যয় করেছিলাম । সে জবাবে বলবে , আমি সারাজীবন তোমার খেদমত করেছি , সুখে - দুঃখে তােমার হাতের শক্তি ও সঙ্গী ছিলাম । কিন্তু আজ তােমার মৃত্যুর এ কঠিন সময় আমার করনীয় কিছুই নেই । তােমার মৃত্যুর সাথে সাথেই আমি । অন্যের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবাে , এই আমার নীতি । মানুষ আমার জন্য সব করে এবং আপন বানাতে চায় । কিন্তু আমি আপন হওয়ার ভাব দেখাই তবে কারাে আপন হইনা , মানুষকে এভাবে ধোকা দেয়াই আমার কাজ । আমি অত্যন্ত নিঠুর ও নির্মম । অতঃপর সে দ্বিতীয় বন্ধুকে ডাকবে এবং বলবে এ মুহূর্তে বন্ধু তুমি আমার কি উপকার করতে পারাে ? সে বলবে তোমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার কোন ক্ষমতা আমার নেই , তবে মৃত্যুর পরে তোমাকে ভালভাবে গােছল দিয়ে , উত্তম কাফন পড়িয়ে , আতর গােলাপে সজ্জিত করে কবরে দিয়ে আসতে পারব এবং মাঝেমাঝে তােমার কবরে ফুল দিয়ে আসতে পারবাে । জানি না তা তােমার সে জগতে কতটুকু কাজে আসবে । তারপর সে তৃতীয় বন্ধুকে ডাকবে , সে উত্তরে বলবে বন্ধু । চিন্তা করাে না , আমি সারাজীবন বিশ্বস্থতার সাথে তােমার সঙ্গে রয়েছি , মৃত্যুর সময়ও থাকবাে , এমনকি কবরে হাশরে এবং হিসাব - নিকাশের কঠিন মুহূর্তগুলােতে তােমার সঙ্গী হয়ে থাকব । কিন্তু তুমি তাে আমাকে তৃতীয় পর্যায়ের বন্ধু মনে করতে , কখনাে । ভালবাসা দেখিয়েছে , কখনাে না । যাই হােক , তােমার এ কঠিন মুহূর্তে সর্বক্ষণ সাধ্যমত আমি তােমার সাহায্য করে যাব কিন্ত আমি খুবই দুর্বল । এরপর হজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন , জানাে মানুষের তিন বন্ধু কারা ? বললেন , যেনে রেখাে , প্রথম জন হল তার ধন - সম্পদ , দ্বিতীয় জন হল তার সন্তান - সন্ততি বা আত্মীয় - স্বজন , আর তৃতীয় জন হল তার নেক আমল । 

الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم 

يَتْبَعُ الْمَيِّتَ ثَلاَثَةٌ فَيَرْجِعُ اثْنَانِ وَيَبْقَى مَعَهُ وَاحِدٌ يَتْبَعُهُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَعَمَلُهُ فَيَرْجِعُ أَهْلُهُ وَمَالُهُ وَيَبْقَى عَمَلُهُ

আনাস ইব্‌নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)  বলেছেনঃ তিনটি বস্তু মৃত ব্যক্তির অনুসরণ করে। দু’টি ফিরে আসে, আর একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। তার পরিবারবর্গ, তার মাল ও তার ‘আমাল তার অনুসরণ করে। তার পরিবারবর্গ ও তার মাল ফিরে আসে, এবং তার ‘আমাল তার সঙ্গে থেকে যায়।[মুসলিম পর্ব ৫৩/হাঃ ২৯৬০, আহমাদ ১২০৮১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৭০)
  

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫১৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

ভায়েরা আমার । এ হল দুনিয়ার নকশা । দুনিয়ায় থাকাকালীন প্রথম দুই প্রকার বন্ধুকেই আমরা প্রকৃত বন্ধু বলে মনে করে থাকি । অথচ এ দুটি জিনিস যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখনই মানুষ দুনিয়ার প্রতি ক্রমান্বয়ে আকৃষ্ট হতে থাকে ।
মাওয়ায়েযে সিরাজী-65
এবং তার পূর্ব অহংকার ও আখেরাত বিমুখতা বাড়তে থাকে এবং আখেরাতকে লতে শুরু করে । এই মহান আল্লাহ আমাদেরকে সতর্ক আর সাবধান করে ইরশাদ করেন 
৬৩: আল-মুনাফিকুন:৯,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُلْهِكُمْ اَمْوَالُكُمْ وَ لَاۤ اَوْلَادُكُمْ عَنْ ذِكْرِ اللّٰهِۚ وَ مَنْ یَّفْعَلْ ذٰلِكَ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الْخٰسِرُوْنَ

হে১৭ সেই সব লোক যারা ঈমান এনেছো, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল করে না দেয়। ১৮ যারা এরূপ করবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকবে। 
হযরত হাসান বসরী ( রহঃ ) বলেন , আমি বিস্মিত হই ঐ সকল ব্যক্তিদের উপর যাদের আখেরাতের সফর অত্যন্ত নিকটবর্তী এবং সফরের সামান তৈরীর হকুমও করা হয়েছে , তথাপিও তারা দুনিয়ার খেল তামাশায় লিপ্ত । তিনি কোন মৃত ব্যক্তি দেখলে এত বেশী শােক প্রকাশ করতেন , যেন এই মাত্র তিনি স্বীয় মতাকে দাফন করে এসেছেন ।

*  আ: কাদের জিলানী র: কে দাওয়াত দিল,বেচারার একটা ছেলে, একটা ঘর, তিন হাজার টাকা আছে,

একজন কল্যাণকামী সৎ সাধকের চিন্তা - চেতনার নমুনা একদিন এক ব্যক্তি বড় পীর আব্দুল কাদির জিলানী ( রহ : ) কে দাওয়াত দিল যে , অমুক তারিখে আমার বাড়িতে আপনার খাবার দাওয়াত । হযরত তখন তাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে , তােমার সন্তান কয় জন ? সে বলল , শুধু এক ছেলে । আবার জিজ্ঞাসা করলেন , ঘর কয়টা ? সে বলল , একটা । আবারাে জিজ্ঞাসা করলেন , টাকা কত আছে ? বলল , মাত্র তিন হাজার টাকা আছে । তখন হযরত বললেন , যাও ! আমি সময় মত চলে আসব । হযরত সময় মত রওয়ানা হলেন , পথে এক ব্যক্তি বলল , হুজুর সে একজন মিথুক লােক , তার ঘরে দাওয়াত খাওয়া আপনার মত ব্যক্তির জন্য শােভা পায় না । তখন , হয়রত বললেন , ঠিক আছে ওয়াদা যেহেতু করেছি তাই যেতে হবে । কেননা , ওয়াদা রক্ষা করা ওয়াজিব । হ্যা , সেখানে যাওয়ার পর সে যদি মিথুক বলে প্রমাণিত হয় তাহলে না খেয়ে চলে আসব । একথা বলে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন । একটু এগুতেই একটি সুন্দর ফুটফুটে ছেলে দৌড়ে আসল এবং অত্যন্ত বিনয়ের সাথে হযরতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে লাগল । হযরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি কে ? ছেলেটি বলল , যিনি আপনাকে দাওয়াত করেছেন আমি তারই ছেলে । অত : পর হযরত তাকে জিজ্ঞাসা করলেন , তােমরা কয় ভাই এবং তােমাদের কয়টি ঘর আছে ও টাকা - পয়সা কেমন আছে ? উত্তরে ছেলেটি বলল , আমরা আট ভাই আর এই পাড়ায় যত ঘর দেখছেন সবই আমাদের , আর টাকা পয়সার কোন হিসাব নাই , আমরা বহু টাকা পয়সার মালিক । হযরত ছেলেটির কথা শুনে মনে মনে অত্যন্ত রাগান্বিত হলেন । অতঃপর ঘরে প্রবেশ করতেই লােকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন , তুমি আমার সাথে প্রধানা করলে কেন এবং মিথ্যা বললে কেন ? তােমার আট ছেলে অথচ তুমি বলেছিলে এক ছেলে । তােমার অনেক ঘর - বাড়ী , অথচ তুমি বলে ছিলে একটি ঘর আছে । তােমার টাকা পয়সার হিসাব নাই , তুমি বহু টাকা - পয়সার মালিক , অথচ তুমি বলেছিলে মাত্র তিন হাজার টাকা আছে । হযরতের মুখে এসব কথা শুনতেই লােকটি অনুনয় করে বলল , হুজুর আমি আপনার সাথে মােটেই প্রবঞ্চনা করিনি যা বলেছি সব ঠিক ঠিক বলেছি । কেননা , আপনাদের মুখেই শুনেছি যে , নেক সন্তানই একমাত্র সন্তান এই হিসাব অনুযায়ী আট জনের মধ্যে এই একটিই আমার ছেলে । আর বাকী সাত জন তারা ছেলে নয় ‘ টেলে । এই একটি ছেলেই সর্বদা আমার পাশে থাকে এবং আমার যাবতীয় খেদমতের আঞ্জাম দেয় । নামাজের সময় হলে ওজুর পানি এনে দেয় , গোসলের সময় হলে নিজ হাতে আমাকে গােসল করিয়ে দেয় , খাওয়ার সময় হলে যথাযথ সময়ে খাবার ব্যবস্থা করে , ঘুমের সময় হলে বিছানা পরিস্কার করে দেয় এবং মাথায় তেল দিয়ে হাত পা টিপে দিয়ে আমার ঘুমের ব্যবস্থা করে এবং সেও সাথে গুমিয়ে যায় । আবাৱ শেষ রাতে তাহাজ্জুদের সময় হলে আমার হাত পা নারিয়ে দেয় এবং বলে যে , আব্বু উঠেন , তাহাজ্জদের নামায পড়েন , যে আল্লাহ সবকিছু দিয়েছেন ও এত আরামের ঘুমের সুযােগ করে দিয়েছেন , তাকে স্মরণ করেন । এভাবে সে । নিজেও তাহাজ্জুদ পড়ে এবং আমাকেও তাহাজ্জুদ পড়ায় এবং আমার যাবতীয় খেদমত করে । আর বাকী সাত ছেলে নামায পড়ে না , কখনাে আমার খোঁজ খবৱ নেয় না , বরং আরাে জ্বালা - যন্ত্রনা দেয় । ওদের জন্য টাকা - পয়সা রাখা যায় । । বাজার থেকে কিছু আনলে হাতাহাতি করে খেয়ে সব শেষ করে দেয় । আমার জন্য কিছুই রাখে না । এছাড়াও ওদের গড়ার কারণে মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে চাইতে আমার ইজ্জত - সমান সৰ শেষ । এ জন্যই আমি বলেছি , আমার সন্তান একজন । অতঃপর হযরত বললেন , তুমি যথাযথ ঠিক বলেছ । তারপর লােকটি বলল , হুজুর আমি ওলামায়ে কেরামদের মুখে শুনেছি যে , এই দুনিয়ার ঘরবাড়ী আসল গৱবাড়ী নয় । সব ছেড়ে একদিন সাড়ে তিন হাত মাটির ৫ নিচে কবরে যেতে হবে । অতএব কে সুন্দর কর ও বাড়ী বানাও হুজুর । সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ইরশাদ করেন ,

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ لَيْثٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ بِبَعْضِ جَسَدِي فَقَالَ ‏ "‏ يَا عَبْدَ اللَّهِ كُنْ فِي الدُّنْيَا كَأَنَّكَ غَرِيبٌ أَوْ كَأَنَّكَ عَابِرُ سَبِيلٍ و

َعُدَّ نَفْسَكَ مِنْ أَهْلِ الْقُبُورِ ‏"‏ ‏.‏

ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার দেহ স্পর্শ করে বলেনঃ হে আবদুল্লাহ! দুনিয়াতে এমনভাবে বসবাস করো যেন তুমি একজন প্রবাসী অথবা পথচারী মুসাফির। তুমি নিজেকে কবরবাসীদের অন্তর্ভুক্ত মনে করো। [৩৪৪৬]

তাহকীক আলবানীঃ (আরবি) বাক্যটি ব্যতীত সহীহ। রাওদুন নাদীর ৫৭৪।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪১১৪
হাদিসের মান: অন্যান্য

অর্থাৎ তুমি তােমাকে কবরের অধিবাসী হিসেবে জান । কেননা , এটাই তােমার আসল বাড়ী । আর একটি মানুষের জন্য । একটিই কবর হয়ে থাকে । এই জন্য আমি বলেছি আমার ঘর বা বাড়ী একটি । হযরত বললেন , তুমি যথাযথ সত্য বলেছ । অতঃপর টাকা পয়সা সম্পর্কে লােকটি বলল , হুজুর ওলামায়ে কেরামের শুনেছি , হাদীস শরীফে এসেছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন ,

حَدَّثَنَا هَدَّابُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَقْرَأُ ‏{‏ أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ‏}‏ قَالَ ‏ "‏ 

يَقُولُ ابْنُ آدَمَ مَالِي مَالِي - قَالَ - وَهَلْ لَكَ يَا ابْنَ آدَمَ مِنْ مَالِكَ إِلاَّ مَا أَكَلْتَ فَأَفْنَيْتَ أَوْ لَبِسْتَ فَأَبْلَيْتَ أَوْ تَصَدَّقْتَ فَأَمْضَيْتَ

মুতার্রিফ (রাযিঃ)-এর পিতা থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি …… (সূরাহ্ আত্ তাকা-সুর) পাঠ করছিলেন। তিনি বললেন, আদাম সন্তানগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। বস্তুতঃ হে আদাম সন্তান! তোমার সম্পদ সেটা যা তুমি খেয়ে নিঃশেষ করে দিয়েছ, পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছ এবং দান করে খরচ করেছো। (ই.ফা. ৭১৫২, ই.সে. ৭২০৪)
  

সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৭৩১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

 অর্থঃ বনী আদম বলে থাকে যে , আমার মাল , আমার মাল , অথচ দুনিয়ায় রেখে যাওয়া কোন মালই তার মাল নয় । হ্যা , যা সে খেয়ে নষ্ট করে দিয়েই । আর যা সে পরিধান করে পুরানাে করে দিয়েছে । আর যা সে সদকা করে আগ্লাহর রিজার্ভ ব্যাংকে জমা রেখেছে । এ ছাড়া সব তার হাত ছাড়া হয়ে যাবে । এবং পরিত্যাগ হয়ে থাকবে ।এ হাদীসের মর্মার্থ অনুযায়ী আমি হিসাব করে দেখেছি যে , আমি তিন হাজার টাকার মত সদকা করেছি তাই আমি আপনাকে বলেছি যে , আমি তিন হাজার টাকার মালিক । এবার বলুন , আমি ঠিক বলেছি কি না ? অত : পর হযরত বললেন , ঠিকই বলেছ এবং সত্য কথা বলেছ । পরিশেষে হযরত তার ঘরে খাওয়া দাওয়া করলেন । কল্যাণকামী , সত্যের সাধক , খােদাভীরু একজন সত্যিকার ঈমানদারের চিন্তা - চেতনা , ধ্যান - ধারণা এমনি হওয়া উচিত
—(মাওয়ায়েযে সিরাজী - ৫/৬৯ )

* এই জীবনের জন্য আফসোস হবে যখন গলায় গেরগিরি ইষ্টার্ট
হবে

إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٍ فَأُولَـٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا

(আন নিসা - ১৭)
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।

وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَـٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا

(আন নিসা - ১৮)
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُلْهِكُمْ أَمْوَالُكُمْ وَلَا أَوْلَادُكُمْ عَن ذِكْرِ اللَّهِ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَأُولَـٰئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ

(আল মুনাফিকূন - ৯)
মুমিনগণ! তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি যেন তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত।

*  মৃত্যু আসার আগেই দান করার নির্দেশ
وَأَنفِقُوا مِن مَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ فَيَقُولَ رَبِّ لَوْلَا أَخَّرْتَنِي إِلَىٰ أَجَلٍ قَرِيبٍ فَأَصَّدَّقَ وَأَكُن مِّنَ الصَّالِحِينَ

(আল মুনাফিকূন - ১০)
আমি তোমাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে মৃত্যু আসা?

Comments

Popular posts from this blog