হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. এর বাল্যকাল
--পাঞ্জাবি ওয়ালা
বখতিয়ার কাকী রহ. কে তার মা সবক পড়ানোর জন্যে মাদরাসায় নিয়ে গেছেন, উস্তাদ তাকে পড়াতে লাগলেন, অালিফ, বা, তা, ছা,। সে পড়তে লাগলো -
এবং একাধারে পনের পারা শুনিয়ে দিলো।
শিক্ষক বললেন,অারে বাবা,তোমার মা অামার সাথে মস্করা করলেন! ঘড়ে ফিরে এসে মাকে বললো, মা! তোমার ছেলে তো অামাকে পনের পারা শুনিয়ে দিয়েছে। সে পনের পারার হাফেজ। সে পনের পারা কিভাবে হেফজ করলো। অথচ অাপনি তাকে অালিফ বা তা ছা পড়ার জন্যে পাঠিয়েছেন। বখতিয়ার কাকী রহ. -এর মা বললেন, অামি যখন তাকে দুধ পান করাতাম কুরঅান শরীফ পড়ে পড়ে পান করাতাম। তা শুনে শুনেই সে পনের পারার হাফেজ হয়ে গেছে। সুবহানআল্লাহ
অামরা জানি শিশুদের স্মৃতিশক্তি খুবই পরিচ্ছন্ন হয়। মা দুধ দিয়েছেন, সাথে কুরঅানে কারীমের অায়াত দিয়েছেন।
দুধের সাথে সাথে অন্তরে কুরঅানে কারীমের অায়াতও অংকিত হয়ে গেছে।
পক্ষান্তরে শিশু দুধ পান করছে। ঘরে চলছে গান। এখানে এই শিশুর কাছে অামরা ভবিষ্যতে কী প্রত্যাশা করবো? প্রথম দিন থেকেই তো তার কানে বিষ ঢালা হচ্ছে। হযরত লোকমান অা. তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়েছেন, অাল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করো না '। সুতরাং মায়ের কাজ হবে সন্তানকে সর্বপ্রথম এ কথা শেখানো, অাল্লাহর কোন শরীক নেই। সবকিছু একমাত্র অাল্লাহই করেন।
একজন মা শুধু একজন সাধারন নারী নয়, তারা এক এক জন এক একটি অাদর্শ জাতি গড়ার কারিগর।
অাল্লাহ সকলকে ইবরত হাসিল করার তৌফিক দান করুন। অামীন
টোকেন%
الم
ذَٰلِكَ الْكِتَابُ لَا رَيْبَ ۛ فِيهِ ۛ هُدًى لِّلْمُتَّقِينَ
পরলেই সাওয়াব এক হরফে দশটি নেক
কুরআন তেলোয়াত কর উপরে উঠতে থাক
( নুরুল কুরআন ১/ ৫৪)
নিজে পরেন,ভাল হোন সন্তান ভাল হবে
তেতুল ভুনে মিষ্টি আমের আশা করা যাবেনা,
* হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. পনের পারার হাফেয
* কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাস ঠাস,শিশু সন্তান যে দিকে চালাবেন সে চলবে
অংক মাষ্টার 1000 আরবি ডিমান কম,আল্লাহর কাছে অনেক বেশি
" خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَه
* রবের সাক্ষারের আশা কর আল্লাহর আহলকে সম্মান কর
( নুরুল কুরআন ১/ ৫২)
* চেয়ারম্যানের ছেলে আসসালামু আলাইকুম
* আলেমের পিতার মাতায় নুরের তাজ পরানো হবে,
৩. ইলম মানুষের অন্তরে আল্লাহ ভয় সৃষ্টি করে :
﴿ إِنَّمَا يَخۡشَى ٱللَّهَ مِنۡ عِبَادِهِ ٱلۡعُلَمَٰٓؤُاْۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ غَفُورٌ ٢٨ ﴾ [فاطر: ٢٨]
ওমর (রা:) বাতি নিভিয়ে দিলেন,
রাষ্ট্রীয় সম্পদ লোপাট এবং
দুটি ঘটনা ▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
হযরত ওমর(রা) খেলাফতকালের ঘটনা। এক রাতে তিনি দফতরে কাজ করছিলেন।এমন সময় হযরত আলী (রা) উপস্থিত হলেন কথা বলার জন্য। হযরত ওমর (রা) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন- আপনি কি ব্যক্তিগত কথা বলবেন, নাকি জাতীয় বিষয়ে। হযরত আলী বললেন, ব্যক্তিগত। হযরত ওমর তখন জ্বলন্ত বাতিটি নিভিয়ে দিলেন। হযরত আলী জানতে চাইলেন, এমনটি করার কারণ কি? হযরত ওমর (রা) বললেন, ব্যক্তিগত আলাপ সরকারি বাতি জ্বালিয়ে করা যায় না।
আরেকটি ঘটনা । হযরত ওমর ইবনে আবদুল আজীজ (র) তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়। ইয়ামেন থেকে সরকারি তহবিলের অর্থ সম্পদ তাঁর সামনে হাজির করা হল। এর মধ্যে কিছু কস্তুরীও ছিল। তা দেখে তিনি নাকে কাপড় দিয়ে রাখলেন। উপস্থিত লোকজন নাক বন্ধ করার কারণ জানতে চাইলেন। ওমর ইবনে আবদুল আজিজ বললেন- কস্তুরী থেকে উপকৃত হওয়া যায় তার সুগন্ধি গ্রহণ করে। সরকারি তহবিলের কস্তুরীর সুগন্ধ গ্রহণ করা আমার জন্য বৈধ নয়। সে কারণে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলাম। নইলে কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে।
( নুরুল কুরআন ১/ ৪৪)
Comments
Post a Comment