কারামাতে গাউছে পাক:

পবিত্র বাগদাদ নগরীতে এক প্রসিন্ধ চোর ছিল। কোনদিন সে ধরা পড়েনি। সে বহু আমির ওমরাহের বাসায় চুরি করেছে। কিন্তু কেউ ধরতে পারেনি। সে একদিন গভীর রাতে গাউসে পাকের ঘরে ঢুকলো তখন গাউসে পাক ঘরের এক পার্শ্বে ইবাদত ও মুরাকাবায় মশগুল ছিলেন। চোর ঘরে তন্ন তন্ন করে তালাশ করলো কিন্তু কিছুই পেলনা। অবশেষে নিরাশ হয়ে ঘর হতে চলে যেতে চাইলো। কিন্তু চোখে দেখতে পাচ্ছে না। হতাশ হয়ে ঘরের এক কোণে চুপ করে বসে রইলো। আশা ভোরের আলোতে চলে যেতে সক্ষম হবে। সে ঘরে বসে কোন রকমে রাত পোহাচ্ছে। এমতাবস্থায় হযরত খিজির (আ.)ঘরে প্রবেশ করে হযরত বড়পীরকে বললেন ---আজ ইরানের নেহাওন্দ শহরের কুতুব ইনতিকাল করেছেন। আজ রাতের মধ্যে একজন কুতুব নিয়োগ করে ঐ শহরে পাঠিয়ে দিন। হযরত বড়পীর খাদেমকে ডেকে বললেন, আমার ঘরের কোনে একজন লোক চুপ করে বসে আছে তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো। খাদেম লোকটিকে ধরে নিয়ে আসলো। চোর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলো। চোর অত্যন্ত কাকুতি মিনতি করে বলতে লাগলো,হুজুর আমি কোন দিন ধরা পড়িনি আজ আপনার কাছে ধরা পড়লাম। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন। আর কেন দিন চুরি করবো না।

দয়ার সাগর গাউছুল আযম বললেন--তুমি আমার ঘরে বড় আশা করে ঢুকেছো। তোমাকে খালী হাতে বিদায় দিতে আমার লজ্জা লাগছে। কাউকে খালী হাতে বিদায় দেয়া আমার স্বাভাব নয়। এসো! কাছে এসো। আজ তোমাকে এমন দৌলত দেবো, যা তোমাকে দুনিয়া ও আখিরাতের বাদশাহ্ বানিয়ে দেবে। অতঃপর গাউছুল আযম চোরকে তওবা করায়ে এমন জামালী ফয়েজের দৃষ্টি দিলেন যে, এক মুহুর্তে সে যাবতীয় মারেফাত তত্ত্ব ও গুপ্ত রহস্যের অধিকারী হয়ে কুতুবে পরিণত হয়ে ইরানের নেহাওন্দ শহরে চলে গেলো।।

Comments

Popular posts from this blog