এই বুযুর্গেরই আর একটা ঘটনা । একটাকুকুরের গায়ে খোস পাচড়া । সমস্ত মানুষ কুকুরটাকে ঘৃণা করছে । কিন্তু তিনি ঐ কুকুরটাকে ধরে নিয়ে এসেছেন । ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করিয়েছেন । চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর আপনজনদেরকে বলেছেন , তোমরা এই কুকুরটার দায়িত্ব নিয়ে নাও । কেউ তার দায়িত্ব নেয়নি । অবশেষে তিনি নিজের দায়িত্বে রেখেছেন । পরবর্তীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর কাছে এলহাম হয়েছে যে , তোমার যত মারেফাতের জ্ঞান , যত বুযুর্গী , তা ঐ কুকুরের খেদমত করার ওছীলায় । তিনি বলতেন । এই কুকুরটা আল্লাহর এক মাখলুক , আল্লাহর কাছে আমার যদি নাজাত না হয় , তাহলে আমার চেয়ে এই কুকুরটা বেশী দামী । দেখা গেল কোন মানুষকে নয় , একটা তুচ্ছ প্রাণী কুকুরকেও তিনি তুচ্ছ জানেননি । বুযুর্গানে দ্বীন বলেনঃ কোন মানুষকে তুচ্ছ মনে করার অবকাশ নেই । এমনকি আল্লাহর কোন প্রাণীকেও তুচ্ছ মনে করতে নেই । আল্লাহর কাছে কে দামী , তা আল্লাহ পাকই জানেন । কাজেই আমি আল্লাহর কোন মাঘলুক থেকে নিজেকে বড় মনে করতে পারি না
বাহজাতুন — নুফূস ’ কিতাবে আছে , এক অত্যাচারী বাদশাহের জন্য জাহাজ ভর্তি করিয়া শরাব আনা হইতেছিল । এক বুযুর্গ ব্যক্তি সেই জাহাজের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন । তিনি শরাবের মটকাগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন । কিন্তু একটি মটকা না ভাঙ্গিয়া ছাড়িয়া দিলেন । তাহাকে বাধা দেওয়ার মত সাহস কাহারও হয় নাই । কিন্তু সকলেই অবাক হইল যে , এই লোক কি করিয়া এমন অত্যাচারী বাদশার মোকাবেলা করার সাহস করিল ! বাদশাহকে জানানো হইল । বাদশাও অবাক হইল যে , একজন সাধারণ লোক এমন সাহস কিভাবে করিল ! আবার সবগুলি মটকা ভাঙ্গিয়া একটিকে ছাড়িয়া দিল কেন ? বাদশাহ তাহাকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিল , কেন তুমি ইহা করিলে ? তিনি উত্তরে বলিলেন , আমার দিলে ইহার প্রবল ইচ্ছা সৃষ্টি হইয়াছে , তাই এইরূপ করিয়াছি । তোমার মনে যাহা চায় আমাকে শাস্তি দিতে পার । বাদশাহ জিজ্ঞাসা করিল , একটি মটকা কেন রাখিয়া দিলে ? তিনি বলিলেন , প্রথমে আমি ইসলামী জোশের কারণে ভাঙ্গিয়াছি । কিন্তু শেষ মটকাটি ভাঙ্গিবার সময় আমার মনে একধরনের খুশী আসিল যে , আমি একটি নাজায়েয কাজকে খতম করিয়া দিয়াছি । তখন আমার মনে খটকা হইল যে , হয়ত আমার মনের খুশীর জন্য ইহা ভাঙ্গিতেছি । কাজ...
Comments
Post a Comment