হযরত মুসা (আঃ) একদা চুল, দাড়ি পেকে সাদা হয়ে যাওয়া অতি বৃদ্ধ ব্যক্তির দেখা পেলেন যিনি দিনভর নফল রোজা রাখেন ও দীর্ঘ সময় নফল নামাযে অতিবাহিত করে আল্লাহর নিকট হাত তুলে দোয়া মোনাজাতে এত বেশি কাঁদছিলেন যে তার চোখের পানিতে গাল ও দাড়ি ভিজে ফোটায় ফোটায় জমিনে পড়ছিল। বৃদ্ধের ইবাদত সাধনা ও কান্না দেখে মুসা (আঃ)-এর খুব মায়া হলো। তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলতে গিয়ে আল্লাহকে ঐ বৃদ্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তার নাম অলি দফতরে আছে কি না। আল্লাহ জবাবে বললেন, অলি হওয়ার দূরের কথা ঐ বৃদ্ধের কোন দোয়া ও ইবাদত কবুল হচ্ছে না। আল্লাহর জবাব শুনে মুসা (আঃ) খুব ব্যথিত হয়ে চুপ করে রইলেন। তখন আল্লাহ বললেন, কিভাবে তার দোয়া ও ইবাদত কবুল হবে তার দেহে হারাম খাদ্যে সৃষ্ট গোশত বিদ্যমান।
বাহজাতুন — নুফূস ’ কিতাবে আছে , এক অত্যাচারী বাদশাহের জন্য জাহাজ ভর্তি করিয়া শরাব আনা হইতেছিল । এক বুযুর্গ ব্যক্তি সেই জাহাজের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন । তিনি শরাবের মটকাগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন । কিন্তু একটি মটকা না ভাঙ্গিয়া ছাড়িয়া দিলেন । তাহাকে বাধা দেওয়ার মত সাহস কাহারও হয় নাই । কিন্তু সকলেই অবাক হইল যে , এই লোক কি করিয়া এমন অত্যাচারী বাদশার মোকাবেলা করার সাহস করিল ! বাদশাহকে জানানো হইল । বাদশাও অবাক হইল যে , একজন সাধারণ লোক এমন সাহস কিভাবে করিল ! আবার সবগুলি মটকা ভাঙ্গিয়া একটিকে ছাড়িয়া দিল কেন ? বাদশাহ তাহাকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিল , কেন তুমি ইহা করিলে ? তিনি উত্তরে বলিলেন , আমার দিলে ইহার প্রবল ইচ্ছা সৃষ্টি হইয়াছে , তাই এইরূপ করিয়াছি । তোমার মনে যাহা চায় আমাকে শাস্তি দিতে পার । বাদশাহ জিজ্ঞাসা করিল , একটি মটকা কেন রাখিয়া দিলে ? তিনি বলিলেন , প্রথমে আমি ইসলামী জোশের কারণে ভাঙ্গিয়াছি । কিন্তু শেষ মটকাটি ভাঙ্গিবার সময় আমার মনে একধরনের খুশী আসিল যে , আমি একটি নাজায়েয কাজকে খতম করিয়া দিয়াছি । তখন আমার মনে খটকা হইল যে , হয়ত আমার মনের খুশীর জন্য ইহা ভাঙ্গিতেছি । কাজ...
Comments
Post a Comment