জনৈক মুসলমান ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে চুপি চুপি দ্বিতীয় বিবাহ করেন।
অনেকদিন যাবত গোপনেই সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে দেখাসাক্ষাত করতে থাকেন।
স্বামীর আচারনের প্রতি লক্ষ করে প্রথম স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে।
প্রথম স্ত্রী একদিন আতি গোপনে তার একজন বিশ্বস্থ খাদেমাকে তার স্বামীর ব্যপারে খোজ-খবর নিতে বললেন।
খাদেমা গোপনে খোজ নিয়ে জানালেন যে সে দ্বিতীয় একটি বিবাহ করেছে।
প্রথমা স্ত্রী এ খবর শুনে অত্যান্ত মর্মাহত হলেন, কিন্তু স্বামীকে তিনি কিছুই বুঝতে দিলেন না যে সে তার দ্বিতীয় বিবাহের খবর জানেন।
ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরেই স্বামি বেচারা ইন্তেকাল করেন।
ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা তার সহায়-সম্পত্তি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল।
এমন সময় প্রথম স্ত্রী তার সন্তানদের ডেকে বললেন যে তোমাদের পিতার একজন দ্বিতীয়া স্ত্রী ছিলেন, অতএব তার অংশ যেন আলাদা করে রাখা হয়। একথা শুনে সকলেই বিশ্ময় প্রকাশ করলেন।
কিন্তু মায়ের আদেশ শিরধার্য করে দ্বিতিয় স্ত্রীর জন্য তার অংশ আলাদাভাবে রেখে দিলেন।
প্রথম স্ত্রী তার একজন খাদেমাকে এই বলে তার সতিনের কাছে পাঠালেন যে, আপনার স্বামীর সম্পত্তির যেটুকু অংশ আপনি পাবেন। তা আলাদা করে রাখা হয়েছে এবং সেটুকু যেন সে নিয়ে নেন।
এই খবর শুনে দ্বিতীয়া স্ত্রী এই বলে খবর পাঠালেন যে, তার স্বামী ইন্তেকালের কিছুদিন পুর্বে তাকে তালাক দিয়েছিলেন।
অতএব এই সম্পদে আমার কোনো অধিকার নেই।
লক্ষণীয় : দ্বিতীয় বিবাহের কথা যেহেতু প্রথম স্ত্রী ছাড়া আর কেউ জানেন না তাই তিনি ইচ্ছা করলেই বিষয়টা গোপন রেখে স্বামীর সম্পদের অংশ তার স্বতিনের জন্য না পাঠিয়ে নিজেই ভোগ করতে পারতেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রীও তার তালাকের কথা গোপন রেখে সেই সম্পদ ভোগ করতে পারতেন। কিন্তু তারা কেউই তা করেন নি।
একেই বলে তাকওয়া। শুধুমাত্র আখেরাতে নাজাতের চিন্তাই এই দুই মহিলা পার্থিব সম্পদের আকাংখাকে কোরবানি দিয়েছেন। অথচ ইচ্ছা করলেই তারা সে সম্পত্তি গ্রহন করতে পারতেন।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে তাকওয়া
এবং পরহেজগারের সাথে জীবন জাপন করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।
Comments
Post a Comment