শ্রেষ্টতম আমানতদার ছিলেন মুহাম্মদ সা, হিজরতের সময় নবীজি আমানতের মাল হযরত আলী রা,কে বুঝিয়ে দিয়েছেন,আমানত রক্ষা করা,কাফিরগণ যখন আমাদের নূর নবীর উপর অকথ্য অত্যাচার উৎপীড়নে তৎপর, এমন কি শত্রুগণ যখন তাঁহাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখন সতরজন বিশিষ্ট পাহলোয়ান তরবারি হস্তে তাঁহার গৃহ পরিবেষ্টন করিয়া রাখিয়াছিল। আল্লাহর অপার মহিমা! ঐ রাত্রেই আল্লাহ তায়ালার হুকুম হইল- মক্কা হইতে মদীনায় হিজরত করিতে। তিনি আল্লাহর হুকুম পালনে বিলম্ব করিলেন না, করিতেও পারেন না। কাফিরদের অনেক টাকা-পয়সা তাঁহার নিকট আমানত ছিল। তিনি বালক আলীকে বলিলেন, প্রিয় বৎস! এই রাত্রে আমার বিছানায় শুইয়া থাকিবে। প্রাতে যাহার যে আমানত আছে, তাহা তাঁহাকে দিয়া দিবে। পারিবে তো? হযরত আলী নির্ভীক চিত্তে বলিলেন, আল্লাহ চাহেন ত পারিব।
হযরত আলী (রাঃ) হযরতের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়া শুইয়া পড়িলেন। এইদিকে হযরত (সাঃ) শত্রুর বেড়াজাল ভেদ করিয়া গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। তাঁহারা বিন্দুমাত্রও টের পাইল না। প্রত্যুষে কাফির দল গৃহে প্রবেশ করিয়া ফেলে। তাহারা চাদর আবৃত আলী (রাঃ) কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মনে করিয়া কেহ কেহ বলিল, এক কোপেই শেষ করিয়া ফেল। কেহ কেহ বাধা দিয়া বলিল, না না, নিদ্রাবস্থায় হত্যা করা কাপুরুষতার পরিচায়ক। এরূপ বলাবলি করিতে করিতে একজন চাদর টান দিয়া দেখিল, এ তো তাহাদের শিকার (হযরত) মুহাম্মদ (সাঃ) নয়, এ যে আলী শুইয়া আছে! তাঁহারা বিস্মিত হইল। হযরত আলী দেখাইলেন, গচ্ছিত দ্রব্যসমূহ ফেরত দিবার জন্য, আমানতের হেফাযতের জন্য তিনি প্রাণ দিতেও প্রস্তুত। ইহাকেই বলে আমানতদারী, ইহার নাম বিশ্বস্ততা।
উৎসঃ বেহেস্তি যেওর, মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ)
Comments
Post a Comment