সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলোঃ حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " سَيِّدُ الاِسْتِغْفَارِ اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ. إِذَا قَالَ حِينَ يُمْسِي فَمَاتَ دَخَلَ الْجَنَّةَ ـ أَوْ كَانَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ ـ وَإِذَا قَالَ حِينَ يُصْبِحُ فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ ". مِثْلَهُ. শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার হলোঃ "হে আল্লাহ! আপনিই আমার রব্ব। আপনি ব্যতীত আর কোন মাবূদ নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আর আমি আপনারই গোলাম। আর আমি আমার সাধ্য মত আপনার সঙ্গে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ...
Posts
Showing posts from December, 2021
- Get link
- X
- Other Apps
৭৬-দাহর (76:1) هَلْ اَتٰى عَلَى الْاِنْسَانِ حِیْنٌ مِّنَ الدَّهْرِ لَمْ یَكُنْ شَیْئًا مَّذْكُوْرًا শব্দার্থ: هَلْ = কি, أَتَىٰ = এসেছে, عَلَى = উপর , الْإِنْسَانِ = মানুষের , حِينٌ = একসময়, مِنَ = থেকে, الدَّهْرِ = সীমাহীনকালের, لَمْ = না, يَكُنْ = সেছিল, شَيْئًا = কিছুই, مَذْكُورًا = উল্লেখযোগ্য, অনুবাদ: মানুষের ওপরে কি অন্তহীন মহাকালের এমন একটি সময়ও অতিবাহিত হয়েছে যখন সে উল্লেখযোগ্য কোন জিনিসই ছিল না? (76:2) اِنَّا خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ مِنْ نُّطْفَةٍ اَمْشَاجٍ١ۖۗ نَّبْتَلِیْهِ فَجَعَلْنٰهُ سَمِیْعًۢا بَصِیْرًا শব্দার্থ: إِنَّا = আমরা নিশ্চয়ই , خَلَقْنَا = আমরা সৃষ্টি করেছি, الْإِنْسَ...
- Get link
- X
- Other Apps
হে মানুষ! যে কল্যাণই তুমি লাভ করে থাকো তা আল্লাহর দান এবং যে বিপদ তোমার ওপর এসে পড়ে তা তোমার নিজের উপার্জন ও কাজের বদৌলতেই আসে।নিসা- 4:79 مَاۤ اَصَابَكَ مِنْ حَسَنَةٍ فَمِنَ اللّٰهِ١٘ وَ مَاۤ اَصَابَكَ مِنْ سَیِّئَةٍ فَمِنْ نَّفْسِكَ١ؕ আল্লাহ কখনো মানুষের ওপর জুলুম করেন না বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে। ইউনুস : ৪৪) اِنَّ اللهَ لاَيَظْلِمُ النَّاسَ شَيْئاً وَّلَكِنَّ النَّاسَ اَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُوْنَ * যদিও আল্লাহ তাআলা মানুষের তকদির নির্ধারণ করেছেন, ঈমান আনার ব্যাপারে মানুষ স্বাধীন, কাহাফ:২৯ وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَبِّكُمْ ۖ فَمَنْ شَاءَ فَلْيُؤْمِنْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَكْفُرْ ۚ * ইমান আনার ব্যাপারে কোনো জোরজবরদস্তি করা যাবেনা, ইউনুস:৯৯ وَلَوْ شَاءَ رَبُّكَ لَآمَنَ مَنْ فِي الْأَرْضِ كُلُّهُمْ جَمِيعًا ۚ أَفَأَنْتَ تُكْرِهُ النَّاسَ حَتَّىٰ يَكُونُوا مُؤْمِنِينَ * ভাল মন্দ পথ গ্রহনে মানুষ স্বাধীন,শুধুমাত্র বুদ্ধি ও চিন্তার শক্তিদান করে তাকে নিজের পথ নিজে খুঁজে নেবার জন্য ছেড়ে দেইনি। বরং তাকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি। তার সামনে ভালো ও মন্দ এই দুইটার মধ্যে থেকে নিজ দায়িত্বে যে পথটি...
- Get link
- X
- Other Apps
মহিলাটি যখন বাজারে পৌঁছে তখন ইমাম আবু হানিফা (মৃ : ১৫০হি.) দোকানে বসা। বেশিরভাগ সময় তার সঙ্গীই দোকান দেখাশোনা করে। তবে প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় তিনিও বসেন। মহিলা ইমামকে দোকানে দেখে সোজা তার কাছে চলে যায়। তার হাতে একটি রেশমি কাপড়। এটি তিনি বিক্রি করবেন। ইমাম আবু হানিফাকে গিয়ে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমি কাপড়টি বিক্রি করতে চাই। আপনি কি কিনতে ইচ্ছুক? ইমাম জিজ্ঞেস করলেন, দাম কত? মহিলাটি বলল, ১০০। ইমাম আবু হানিফা ব্যবসায়ী মানুষ। কাপড়ের দাম তার ভালোই জানা আছে। এই কাপড়ের দাম এত কম হবে না কিছু্তেই। মহিলা না জানার কারণে কম বলছে। তাই তিনি বললেন, কাপড়ের দাম তো আরও বেশি হবে। মহিলা বলল, তাহলে ২০০ দেন। ইমাম বললেন, আরও বেশি। এভাবে মহিলা ১০০ করে বাড়াতে বাড়াতে ৪০০ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছল। কিন্তু তিনি তাতেও নেবেন না। বললেন, এটার মূল্য আরও বেশি। মহিলার এবার খানিক সন্দেহ হলো। হুজুর কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন? মনের কথা তিনি মনে চেপে রাখলেন না, বলেই ফেললেন—আপনি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন? ইমাম বললেন, ঠিক আছে। আপনি কাপড়-চোপড়ের দাম জানে এমন কাউকে নিয়ে আসুন। মহিলা ঝানু এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসল। সে কাপড় ধরে ব...
- Get link
- X
- Other Apps
হযরত মুসা (আঃ) একদা চুল, দাড়ি পেকে সাদা হয়ে যাওয়া অতি বৃদ্ধ ব্যক্তির দেখা পেলেন যিনি দিনভর নফল রোজা রাখেন ও দীর্ঘ সময় নফল নামাযে অতিবাহিত করে আল্লাহর নিকট হাত তুলে দোয়া মোনাজাতে এত বেশি কাঁদছিলেন যে তার চোখের পানিতে গাল ও দাড়ি ভিজে ফোটায় ফোটায় জমিনে পড়ছিল। বৃদ্ধের ইবাদত সাধনা ও কান্না দেখে মুসা (আঃ)-এর খুব মায়া হলো। তুর পাহাড়ে আল্লাহর সাথে কথা বলতে গিয়ে আল্লাহকে ঐ বৃদ্ধের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন যে, তার নাম অলি দফতরে আছে কি না। আল্লাহ জবাবে বললেন, অলি হওয়ার দূরের কথা ঐ বৃদ্ধের কোন দোয়া ও ইবাদত কবুল হচ্ছে না। আল্লাহর জবাব শুনে মুসা (আঃ) খুব ব্যথিত হয়ে চুপ করে রইলেন। তখন আল্লাহ বললেন, কিভাবে তার দোয়া ও ইবাদত কবুল হবে তার দেহে হারাম খাদ্যে সৃষ্ট গোশত বিদ্যমান।
- Get link
- X
- Other Apps
ইমাম আবু হানিফা রহ মৃত্যু: খলিফা মনসুর তাকে প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি জালেম শাসকের সমর্থনের দায় এড়ানোর জন্য এ পদ গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান। এতে অপমানে ক্ষুব্ধ হয়ে খলিফা ইমাম আবু হানিফাকে কারাগারে বন্দী করেন। প্রতিদিন তাকে কারাগার থেকে বের করে প্রকাশ্যে দশটি করে চাবুক মারা হতো। চাবুকের আঘাতে তার শরীর থেকে রক্ত বের হতো। সে রক্তে কুফার মাটি রঞ্জিত হতো। পানাহারের কষ্টসহ বিভিন্নভাবে সত্তর বছর বয়সের বৃদ্ধ ইমামকে নির্যাতন করা হয়। অবশেষে জোর করে বিষ পান করানো হয়। ৭৬৭ সালের ১৪ জুন মোতাবেক ১৫০ হিজরিতে তিনি ইন্তেকাল করেন। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া। ২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
- Get link
- X
- Other Apps
যে ব্যক্তি রমাযান মাসের সওম রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি সওম রাখলো, সে যেন সারা বছর সওম রাখলো।সুনানে আবু দাউদ,২৪৩৩ সহিহ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، صَاحِبِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ فَكَأَنَّمَا صَامَ الدَّهْرَ ২৪৩৩। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী আবূ আইয়ূব (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমাযান মাসের সওম রাখার পর শাওয়াল মাসের ছয়টি সওম রাখলো, সে যেন সারা বছর সওম রাখলো। মুসলিম, তিরমিযী, দারিমী। ইমাম তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদিসের মানঃ সহিহ গ্রন্থঃ সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত) অধ্যায়ঃ ৮/ সওম (রোযা) (كتاب الصوم) হাদিস নম্বরঃ ২৪৩৩
- Get link
- X
- Other Apps
জান্নাতে হুরগন সুরেলা কন্ঠে গান গাইবে حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَأَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَمُجْتَمَعًا لِلْحُورِ الْعِينِ يُرَفِّعْنَ بِأَصْوَاتٍ لَمْ يَسْمَعِ الْخَلاَئِقُ مِثْلَهَا قَالَ يَقُلْنَ نَحْنُ الْخَالِدَاتُ فَلاَ نَبِيدُ وَنَحْنُ النَّاعِمَاتُ فَلاَ نَبْأَسُ وَنَحْنُ الرَّاضِيَاتُ فَلاَ نَسْخَطُ طُوبَى لِمَنْ كَانَ لَنَا وَكُنَّا لَهُ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَنَسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَلِيٍّ حَدِيثٌ غَرِيبٌ . আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ জান্নাতে আয়াতলোচনা হুরদের সমবেত হওয়ার একটি জায়গা রয়েছে। তারা সেখানে এমন সুরেলা আওয়াজে গান গাইবে, যেমন আওয়াজ কোন মাখলূক ইতিপূর্বে কখনো শুনেনি। তারা এই বলে গান গাইবেঃ আমরা তো চিরঙ্গিনী, আমাদের ধ্বংস নেই। আমরা...
- Get link
- X
- Other Apps
★ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি? তখন তিনি আল্লাহর একত্ববাদের উপর শয়তানের মোকাবেলায় মোট ৩৬০টি দলিল উপস্থাপন করলেন, শয়তানের কাছে তার সব দলিলই হেরে গেল। আর একটি দলিমাত্র বাকী। শয়তান যদি এটাকেও হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহির মত আলেমকে ইহজগত থেকে ঈমান হারা হয়ে বিদায় নিতে হবে।এদিকে তার পীর হযরত নজমুদ্দীন কোবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি সে সময় নামাযের জন্য ওযু করছিলেন। পরিশেষে ইমাম রাযীর এ দুরবস্তা দেখে তাঁর নিকট জালালীয়াত এসে গেল। তখন তিনি ওযু রত ছিলেন, এতাবস্থায় তিনি ওযুর বদ্না শয়তানের দিকে নিক্ষেপ করে উচ্চস্বরে বলে উঠলেন,হে ইমাম রাযী! তুমি শয়তানকে বলে দাও, আমি অন্তর দিয়ে আল্লাহকে এক স্বীকার করছি। আমার নিকট দলিলের কোন প্রয়োজন নেই। “বিনা দলিলে আল্লাহ্ এক”। আল্লাহর অলীর ক্ষমতার মাধ্যমে,নিক্ষিপ্ত ঐ বদ্না তাঁর আস্তানা থেকে কয়েক’শ মাইল দূরে ইমাম রাযীর মৃত্যু শয্যায় তাঁর মাথার পাশে গিয়ে পড়ল। তিনি স্বীয় মোর্শেদের...
- Get link
- X
- Other Apps
* ওয়াদা ভঙ্গ করা শয়তানের কাজ,১৪: ইবরাহীম:২২, وَ قَالَ الشَّیْطٰنُ لَمَّا قُضِیَ الْاَمْرُ اِنَّ اللّٰهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ الْحَقِّ وَ وَعَدْتُّكُمْ فَاَخْلَفْتُكُمْؕ وَ مَا كَانَ لِیَ عَلَیْكُمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ اِلَّاۤ اَنْ دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِیْۚ فَلَا تَلُوْمُوْنِیْ وَ لُوْمُوْۤا اَنْفُسَكُمْؕ مَاۤ اَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَ مَاۤ اَنْتُمْ بِمُصْرِخِیَّؕ اِنِّیْ كَفَرْتُ بِمَاۤ اَشْرَكْتُمُوْنِ مِنْ قَبْلُؕ اِنَّ الظّٰلِمِیْنَ لَهُمْ عَذَابٌ اَلِیْمٌ আর যখন সবকিছুর মীমাংসা হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে, “সত্যি বলতে কি আল্লাহ তোমাদের সাথে যে ওয়াদা করে ছিলেন তা সব সত্যি ছিল এবং আমি যেসব ওয়াদা করেছিলাম তার মধ্য থেকে একটিও পুরা করিনি। তোমাদের ওপর আমার তো কোন জোর ছিল না, আমি তোমাদের আমার পথের দিকে আহ্বান জানানো ছাড়া আর কিছুই করিনি এবং তোমরা আমার আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলে। এখন আমার নিন্দাবাদ করো না, নিজেরাই নিজেদের নিন্দাবাদ করো। এখানে না আমি তোমাদের অভিযোগের প্রতিকার করতে পারি আর না তোমরা আমার। ইতিপূর্বে তোমরা যে আমাকে আল্লাহর সার্বভৌম ক্ষমতা ও কতৃত্বের শরীক করেছিলে তার সাথে আমা...
- Get link
- X
- Other Apps
আল্লাহভীতির সমস্ত কাজে সবার সাথে সহযোগিতা করো এবং গুনাহ ও সীমালংঘনের কাজে কাউকে সহযোগিতা করো না। ৫: আল-মায়িদাহ,:আয়াত: ২, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا تُحِلُّوْا شَعَآئِرَ اللّٰهِ وَ لَا الشَّهْرَ الْحَرَامَ وَ لَا الْهَدْیَ وَ لَا الْقَلَآئِدَ وَ لَاۤ مِّیْنَ الْبَیْتَ الْحَرَامَ یَبْتَغُوْنَ فَضْلًا مِّنْ رَّبِّهِمْ وَ رِضْوَانًاؕ وَ اِذَا حَلَلْتُمْ فَاصْطَادُوْاؕ وَ لَا یَجْرِمَنَّكُمْ شَنَاٰنُ قَوْمٍ اَنْ صَدُّوْكُمْ عَنِ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ اَنْ تَعْتَدُوْاۘ وَ تَعَاوَنُوْا عَلَى الْبِرِّ وَ التَّقْوٰى ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوْا عَلَى الْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ۪ وَ اتَّقُوا اللّٰهَؕ اِنَّ اللّٰهَ شَدِیْدُ الْعِقَابِ হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য ও ভক্তির নিদর্শনগুলোর অমর্যাদা করো না। হারাম মাসগুলোর কোনটিকে হালাল করে নিয়ো না। কুরবানীর পশুগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ করো না। যেসব পশুর গলায় আল্লাহর জন্য উৎসর্গীত হবার আলামত স্বরূপ পট্টি বাঁধা থাকে তাদের ওপরও হস্তক্ষেপ করো না। আর যারা নিজেদের রবের অনুগ্রহ ও তাঁর সন্তুষ্টির সন্ধানে সম্মানিত গৃহের (কাবা) দিকে যাচ্ছে তাদেরকেও...
- Get link
- X
- Other Apps
* নেক লোকের শাহচর্য থাকার ফলে ইমান নিয়ে মৃত্যু হওয়া নসীব হলো,ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি?তার পীর হযরত নজমুদ্দীন কোবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি সে সময় নামাযের জন্য ওযু করছিলেন। ★ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন বিশ্ববিখ্যাত মুফাচ্ছির, দার্শনিক ও বিখ্যাত আলেম। তাঁর মৃত্যুর বিছানায় শয়নকালীন সময়ে শয়তান এসে তাকে জিজ্ঞাস করল, ‘আল্লাহ’ যে এক তার প্রমাণ কি? তখন তিনি আল্লাহর একত্ববাদের উপর শয়তানের মোকাবেলায় মোট ৩৬০টি দলিল উপস্থাপন করলেন, শয়তানের কাছে তার সব দলিলই হেরে গেল। আর একটি দলিমাত্র বাকী। শয়তান যদি এটাকেও হারিয়ে দিতে পারে, তাহলে ইমাম রাযী রহমতুল্লাহি আলাইহির মত আলেমকে ইহজগত থেকে ঈমান হারা হয়ে বিদায় নিতে হবে।এদিকে তার পীর হযরত নজমুদ্দীন কোবরা রহমতুল্লাহি আলাইহি সে সময় নামাযের জন্য ওযু করছিলেন। পরিশেষে ইমাম রাযীর এ দুরবস্তা দেখে তাঁর নিকট জালালীয়াত এসে গেল। তখন তিনি ওযু রত ছিলেন, এতাবস্থায় তিনি ওযুর বদ্না শয়তানের দি...
- Get link
- X
- Other Apps
ঈমানের একটি দাবি হল, সৎসঙ্গী গ্রহণ করা। যারা অসৎ, যারা আল্লাহ-বিদ্বেষী, রাসূল বিদ্বেষী, ইসলাম বিদ্বেষী তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করা।৫৮: আল-মুজাদিলাহ,:আয়াত: ২২, لَا تَجِدُ قَوْمًا یُّؤْمِنُوْنَ بِاللّٰهِ وَ الْیَوْمِ الْاٰخِرِ یُوَآدُّوْنَ مَنْ حَآدَّ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ وَ لَوْ كَانُوْۤا اٰبَآءَهُمْ اَوْ اَبْنَآءَهُمْ اَوْ اِخْوَانَهُمْ اَوْ عَشِیْرَتَهُمْؕ أُولَٰئِكَ كَتَبَ فِیْ قُلُوْبِهِمُ الْاِیْمَانَ وَ اَیَّدَهُمْ بِرُوْحٍ مِّنْهُؕ وَ یُدْخِلُهُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ خٰلِدِیْنَ فِیْهَاؕ رَضِیَ اللّٰهُ عَنْهُمْ وَ رَضُوْا عَنْهُؕ أُولَٰئِكَ حِزْبُ اللّٰهِؕ اَلَاۤ اِنَّ حِزْبَ اللّٰهِ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ۠ তোমরা কখনো এমন দেখতে পাবে না যে, যারা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান পোষণ করে তারা এমন লোকদের ভালবাসছে যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরোধিতা করেছে। তারা তাদের পিতা, অথবা পুত্র অথবা ভাই অথবা গোষ্ঠীভুক্ত হলেও তাতে কিছু এসে যায় না। আল্লাহ এসব লোকদের হৃদয়-মনে ঈমান বদ্ধমূল করে দিয়েছেন এবং নিজের পক্ষ থেকে একটি ‘রূহ’ দান করে তাদের শক্তি যুগিয়েছেন। ...
- Get link
- X
- Other Apps
নিজের অন্তরকে তাদের সঙ্গলাভে নিশ্চিন্ত করো যারা নিজেদের রবের সন্তুষ্টির সন্ধানে সকাল-সাঁঝে তাঁকে ডাকে এবং কখনো তাদের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরাবে না,১৮: আল-কাহাফ,:আয়াত: ২৮, وَ اصْبِرْ نَفْسَكَ مَعَ الَّذِیْنَ یَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ بِالْغَدٰوةِ وَ الْعَشِیِّ یُرِیْدُوْنَ وَجْهَهٗ وَ لَا تَعْدُ عَیْنٰكَ عَنْهُمْۚ تُرِیْدُ زِیْنَةَ الْحَیٰوةِ الدُّنْیَاۚ وَ لَا تُطِعْ مَنْ اَغْفَلْنَا قَلْبَهٗ عَنْ ذِكْرِنَا وَ اتَّبَعَ هَوٰىهُ وَ كَانَ اَمْرُهٗ فُرُطًا আর নিজের অন্তরকে তাদের সঙ্গলাভে নিশ্চিন্ত করো যারা নিজেদের রবের সন্তুষ্টির সন্ধানে সকাল-সাঁঝে তাঁকে ডাকে এবং কখনো তাদের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরাবে না। তুমি কি পার্থিব সৌন্দর্য পছন্দ করো? এমন কোন লোকের আনুগত্য করো না যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ থেকে গাফেল করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তির কামনা-বাসনার অনুসরণ করেছে এবং যার কর্মপদ্ধতি কখনো উগ্র, কখনো উদাসীন।
- Get link
- X
- Other Apps
* প্রত্যেকটা জিনিসের (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের জন্য) একটা ব্রাশ বা মাজন আছে,মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ২২৮৬ وَعَنْ عَبْدِ اللّٰهِ بْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِىِّ ﷺ أَنَّه كَانَ يَقُولُ: لِكُلِّ شَىْءٍ صِقَالَةٌ وَصِقَالَةُ الْقُلُوبِ ذِكْرُ اللّٰهِ : وَمَا مِنْ شَىْءٍ أَنْجٰى مِنْ عَذَابِ اللّٰهِ مِنْ ذِكْرِ اللّٰهِ : قَالُوا: وَلَا الْجِهَادُ فِىْ سَبِيلِ اللّٰهِ؟ قَالَ: وَلَا أَنْ يَضْرِبَ بِسَيْفِه حَتّٰى يَنْقَطِعَ . رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِى الدَّعَوَاتِ الْكَبِيرِ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রত্যেকটা জিনিসের (পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের জন্য) একটা ব্রাশ বা মাজন আছে। আর কলব বা মন পরিষ্কার করার জন্য ব্রাশ বা মাজন হলো আল্লাহর জিকির। আল্লাহর ‘আযাব হতে মুক্তি দেয়ার জন্য আল্লাহর যিকিরের চেয়ে অধিক কার্যকর আর কোন জিনিসই নেই। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করাও কি নয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সে মুজাহিদ আল্লাহর পথে প্রচন্ড বেগে তরবারির আঘাতে তা (যদ...
- Get link
- X
- Other Apps
ফেরাউনকে আল্লাহ কত যে ক্ষমতা দিয়েছিলেন وَنَادَىٰ فِرْعَوْنُ فِي قَوْمِهِ قَالَ يَا قَوْمِ أَلَيْسَ لِي مُلْكُ مِصْرَ وَهَـٰذِهِ الْأَنْهَارُ تَجْرِي مِن تَحْتِي ۖ أَفَلَا تُبْصِرُونَ (আয্-যুখরুফ - ৫১) ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না? تَحْتِي--আমার অধীনে,, আমার নিম্নদেশে
- Get link
- X
- Other Apps
জালেমরা সেদিন নিজেদের হাত কামড়াতে থাকবে এবং বলতে থাকবে ২৫-ফুরকান (25:27) وَ یَوْمَ یَعَضُّ الظَّالِمُ عَلٰى یَدَیْهِ یَقُوْلُ یٰلَیْتَنِی اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُوْلِ سَبِیْلًا শব্দার্থ: وَيَوْمَ = এবং সেদিন, يَعَضُّ = কামড়াবে, الظَّالِمُ = সীমা লঙ্ঘনকারী, عَلَىٰ = উপর , يَدَيْهِ = তারদুহাতের, يَقُولُ = বলবে, يَالَيْتَنِي = হায়! আমার দুর্ভোগ, اتَّخَذْتُ = আমি ধরতাম (যদি) , مَعَ = সাথে , الرَّسُولِ = রাসূলের, سَبِيلًا = পথ, অনুবাদ: জালেমরা সেদিন নিজেদের হাত কামড়াতে থাকবে এবং বলতে থাকবে, “হায়! যদি আমি রসুলের সহযোগী হতাম। (25:28) یٰوَیْلَتٰى لَیْتَنِیْ لَمْ اَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِیْلًا শব্দার্থ: يَاوَيْلَتَىٰ = হায়! আমার দুর্ভাগ্য, ...
- Get link
- X
- Other Apps
বিপদ আল্লাহ যখন দুর করে দেন একদল স্বীয় পালনকর্তার সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে থাকে। নাহল 16-54 ثُمَّ إِذَا كَشَفَ الضُّرَّ عَنكُمْ إِذَا فَرِيقٌ مِّنكُم بِرَبِّهِمْ يُشْرِكُونَ শব্দার্থ: ثُمَّ = এরপর, إِذَا = যখন , كَشَفَ = দূরকরেদেন, الضُّرَّ = দুঃখ-দৈন্য, عَنْكُمْ = থেকে তোমাদের , إِذَا = তখন , فَرِيقٌ = একদল, مِنْكُمْ = তোমাদের মধ্য হতে , بِرَبِّهِمْ = সাথে তাদের রবের , يُشْرِكُونَ = (অন্যদেরকে) শরীককরে, অর্থ- এরপর যখন আল্লাহ তোমাদের কষ্ট দুরীভূত করে দেন, তখনই তোমাদের একদল স্বীয় পালনকর্তার সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে থাকে। ৩০: আর-রূম,:আয়াত: ৩৩, وَ اِذَا مَسَّ النَّاسَ ضُرٌّ دَعَوْا رَبَّهُمْ مُّنِیْبِیْنَ اِلَیْهِ ثُمَّ اِذَاۤ اَذَاقَهُمْ مِّنْهُ رَحْمَةً اِذَا فَرِیْقٌ مِّنْهُمْ بِرَبِّهِمْ یُشْرِكُوْنَۙ লোকদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, যখন তারা কোন কষ্ট পায় তখন নিজেদের রবের দিকে ফিরে তাকে ডাকতে থাকে তারপর যখন তিনি নিজের দয়ার কিছু স্বাদ তাদেরকে আস্বাদন করান তখন সহসা তাদের মধ্য থেকে কিছু লোক শিরকে লিপ্ত হয়ে যায়,
- Get link
- X
- Other Apps
নম্র ভাষার মাধ্যমে শত্রু বন্ধুতে পরিণত হতে পারে ৷ আল্লাহ তায়ালা কোরআন পাকে ইরশাদ করেন وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ۚ ادْفَعْ بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ فَإِذَا الَّذِي بَيْنَكَ وَبَيْنَهُ عَدَاوَةٌ كَأَنَّهُ وَلِيٌّ حَمِيمٌ (হা-মীম সেজদাহ্ - ৩৪) সমান নয় ভাল ও মন্দ। জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে, সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু।
- Get link
- X
- Other Apps
পদচারণায় মধ্যমপন্থা অবলম্বন এবং কন্ঠস্বর নীচু করা আল্লাহ পাকের নির্দেশ وَلَا تُصَعِّرْ خَدَّكَ لِلنَّاسِ وَلَا تَمْشِ فِي الْأَرْضِ مَرَحًا ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ مُخْتَالٍ فَخُورٍ (লোকমান - ১৮) অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। وَاقْصِدْ فِي مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِن صَوْتِكَ ۚ إِنَّ أَنكَرَ الْأَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيرِ (লোকমান - ১৯) পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কন্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর।
- Get link
- X
- Other Apps
মানুষের প্রত্যেকটি দলকে তার নেতা সহকারে ডাকা হবে।১৭: বনী ইসরাঈল:৭১ یَوْمَ نَدْعُوْا كُلَّ اُنَاسٍۭ بِاِمَامِهِمْۚ فَمَنْ اُوْتِیَ كِتٰبَهٗ بِیَمِیْنِهٖ فَأُولَٰئِكَ یَقْرَءُوْنَ كِتٰبَهُمْ وَ لَا یُظْلَمُوْنَ فَتِیْلًا তারপর সেই দিনের কথা মনে করো যেদিন আমি মানুষের প্রত্যেকটি দলকে তার নেতা সহকারে ডাকবো। সেদিন যাদের আমলনামা তাদের ডান হাতে দেয়া হবে তারা নিজেদের কার্যকলাপ পাঠ করবে এবং তাদের ওপর সামান্যতমও জুলুম করা হবে না
- Get link
- X
- Other Apps
ভাল কথা বলা ও ক্ষমা প্রদর্শন করা সদকা ۞ قَوْلٌ مَّعْرُوفٌ وَمَغْفِرَةٌ خَيْرٌ مِّن صَدَقَةٍ يَتْبَعُهَا أَذًى ۗ وَاللَّهُ غَنِيٌّ حَلِيمٌ (আল বাকারা - ২৬৩) নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ তা’আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু। مَّعْرُوفٌ-- ভাল يَتْبَعُهَا-- যার পেছনে আসে, যার পরে দেয়া হয়। أَذًى-- কষ্ট নম্র কন্ঠে কথা সকলেরই প্রিয় আল্লাহ তার বার্তাবাহক নবী রাসুলদের কে নম্র বাসায় কথা বলার আদব শিখিয়েছেন ৷ হযরত মুসাও হারুন আলাই সাল্লাম কে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন اذْهَبَا إِلَىٰ فِرْعَوْنَ إِنَّهُ طَغَىٰ (ত্বোয়াহ - ৪৩) তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে খুব উদ্ধত হয়ে গেছে। فَقُولَا لَهُ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهُ يَتَذَكَّرُ أَوْ يَخْشَىٰ (ত্বোয়াহ - ৪৪) অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে। لَّيِّنًا--নম্র ভাবে,, يَتَذَكَّرُ-- উপদেশ গ্রহন করবে يَخْشَىٰ-ভয় করবে, لّ...
- Get link
- X
- Other Apps
হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর নাম মোবারক দেখত তখন সেটা ততবার চুম্বন করে চোখের উপর রাখত এবং তার প্রতি দুরূদ পাঠ করত। এজন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সত্তর জন হুর স্ত্রী স্বরূপ তাকে দান করেছি।’’ হযরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বাহ (রা:) বলেন, বনী ইসরাঈলের মধ্যে এক ব্যক্তি ছিল অত্যন্ত পাপী, যে ২০০ বছর পর্যন্ত আল্লাহর নাফরমানী করেছে। যখন সে মৃত্যুবরণ করে মানুষেরা তাকে এমন স্থানে নিক্ষেপ করল, যেখানে আবর্জনা ফেলা হতো। তখন হযরত মুসা (আ:) এর প্রতি ওহী এলো যে, লোকটিকে ওখান থেকে তুলে যেন তার ভালভাবে জানাযার নামায পড়ে তাঁকে দাফন করা হয়। হযরত মুসা (আ:) আরজ করলেন, হে আল্লাহ! বনী ইসরাঈল সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, লোকটি ২০০ বছর পর্যন্ত তোমার নাফরমানী করেছিল। ইরশাদ হলো, হ্যাঁ, তবে তার একটি ভাল অভ্যাস ছিল। যখন সে তাওরাত শরীফ তেলাওয়াত করতো, যতবার আমার হাবীব হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) এর নাম মোবারক দেখত তখন সেটা ততবার চুম্বন করে চোখের উপর রাখত এবং তার প্রতি দুরূদ পাঠ করত। এজন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি এবং সত্তর জন হুর স্ত্রী স্বরূপ তাকে দান করেছি।’’ উক্ত হাদী...
- Get link
- X
- Other Apps
জনৈক মুসলমান ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে চুপি চুপি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। অনেকদিন যাবত গোপনেই সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে দেখাসাক্ষাত করতে থাকেন। স্বামীর আচারনের প্রতি লক্ষ করে প্রথম স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে। প্রথম স্ত্রী একদিন আতি গোপনে তার একজন বিশ্বস্থ খাদেমাকে তার স্বামীর ব্যপারে খোজ-খবর নিতে বললেন। খাদেমা গোপনে খোজ নিয়ে জানালেন যে সে দ্বিতীয় একটি বিবাহ করেছে। প্রথমা স্ত্রী এ খবর শুনে অত্যান্ত মর্মাহত হলেন, কিন্তু স্বামীকে তিনি কিছুই বুঝতে দিলেন না যে সে তার দ্বিতীয় বিবাহের খবর জানেন। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরেই স্বামি বেচারা ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা তার সহায়-সম্পত্তি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। এমন সময় প্রথম স্ত্রী তার সন্তানদের ডেকে বললেন যে তোমাদের পিতার একজন দ্বিতীয়া স্ত্রী ছিলেন, অতএব তার অংশ যেন আলাদা করে রাখা হয়। একথা শুনে সকলেই বিশ্ময় প্রকাশ করলেন। কিন্তু মায়ের আদেশ শিরধার্য করে দ্বিতিয় স্ত্রীর জন্য তার অংশ আলাদাভাবে রেখে দিলেন। প্রথম স...
- Get link
- X
- Other Apps
এই বিশাল বড় দুনিয়াটাও এক ফোটা মধুর মত! ১ফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে! পাশ দিয়ে ছোট্র একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল! মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল! ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই! তারপর না হয় সামনে যাবো! এক চুমুক খেলো! বাহ্! খুব মজা তো! আর একটু খেয়ে নেই! আরেক চুমুক খেলো! তারপর সামনে চলতে লাগলো! হাটতে হাটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে চেটে খাচ্ছিল! ভাবলো,এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়? আবার পিছনে ফিরলো! পূর্বে মধুর একপাশ থেকে খেয়েছিল! এবার চিন্তা করলো ভিতরে মনে হয় আরও মজা! এবার আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধু ফোঁটার উপরে উঠে গেল! বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছে! খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেল! ঐ দিকে আস্তে আস্তে পা দুটো মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে! তখনই হঠ্যাৎ টনক নড়লো তার! কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে! মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে! কিন্তু নাহ্! মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা! অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না! নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগল! অবশেষে.. পিপীলিকাটি মধুর ভিতরে আটকে পড়েই মৃত্যু বরণ করল!! হে দুনিয়া লোভি ব্যক্...
- Get link
- X
- Other Apps
হযরত বখতিয়ার কাকী রহ. এর বাল্যকাল --পাঞ্জাবি ওয়ালা বখতিয়ার কাকী রহ. কে তার মা সবক পড়ানোর জন্যে মাদরাসায় নিয়ে গেছেন, উস্তাদ তাকে পড়াতে লাগলেন, অালিফ, বা, তা, ছা,। সে পড়তে লাগলো - এবং একাধারে পনের পারা শুনিয়ে দিলো। শিক্ষক বললেন,অারে বাবা,তোমার মা অামার সাথে মস্করা করলেন! ঘড়ে ফিরে এসে মাকে বললো, মা! তোমার ছেলে তো অামাকে পনের পারা শুনিয়ে দিয়েছে। সে পনের পারার হাফেজ। সে পনের পারা কিভাবে হেফজ করলো। অথচ অাপনি তাকে অালিফ বা তা ছা পড়ার জন্যে পাঠিয়েছেন। বখতিয়ার কাকী রহ. -এর মা বললেন, অামি যখন তাকে দুধ পান করাতাম কুরঅান শরীফ পড়ে পড়ে পান করাতাম। তা শুনে শুনেই সে পনের পারার হাফেজ হয়ে গেছে। সুবহানআল্লাহ অামরা জানি শিশুদের স্মৃতিশক্তি খুবই পরিচ্ছন্ন হয়। মা দুধ দিয়েছেন, সাথে কুরঅানে কারীমের অায়াত দিয়েছেন। দুধের সাথে সাথে অন্তরে কুরঅানে কারীমের অায়াতও অংকিত হয়ে গেছে। পক্ষান্তরে শিশু দুধ পান করছে। ঘরে চলছে গান। এখানে এই শিশুর কাছে অামরা ভবিষ্যতে কী প্রত্যাশা করবো? প্রথম দিন থেকেই তো তার কানে বিষ ঢালা হচ্ছে। হযরত লোকমান অা. তাঁর ছেলেকে উপদেশ দিয়েছেন, অাল্লাহর সাথে কাওকে শরীক করো না '। সুতরাং...
- Get link
- X
- Other Apps
নিঃস্বার্থ ভাবে আল্লাহকে ডাকতে হবে ২২-হাজ্জ (22:11) وَ مِنَ النَّاسِ مَنْ یَّعْبُدُ اللّٰهَ عَلٰى حَرْفٍ١ۚ فَاِنْ اَصَابَهٗ خَیْرُ اِ۟طْمَاَنَّ بِهٖ١ۚ وَ اِنْ اَصَابَتْهُ فِتْنَةُ اِ۟نْقَلَبَ عَلٰى وَجْهِهٖ١ۚ۫ خَسِرَ الدُّنْیَا وَ الْاٰخِرَةَ١ؕ ذٰلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِیْنُ শব্দার্থ: وَمِنَ = এবং কেউকেউ ( মধ্য হতে ) , النَّاسِ = লোকদের, مَنْ = যে, يَعْبُدُ = ইবাদাতকরে, اللَّهَ = আল্লাহর, عَلَىٰ = উপর , حَرْفٍ = একপ্রান্তে (দাঁড়িয়ে) , فَإِنْ = অতঃপর যদি, أَصَابَهُ = তার ( উপর ) পৌঁছে, خَيْرٌ = কোনকল্যাণ, اطْمَأَنَّ = সেপ্রশান্তহয়, بِهِ = তার মাধ্যমে , وَإِنْ = আরযদি, أَصَابَتْهُ = তার ( উপর ) পৌঁছে,...
- Get link
- X
- Other Apps
জনৈক মুসলমান ব্যক্তি তার প্রথম স্ত্রীর অজ্ঞাতসারে চুপি চুপি দ্বিতীয় বিবাহ করেন। অনেকদিন যাবত গোপনেই সে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে দেখাসাক্ষাত করতে থাকেন। স্বামীর আচারনের প্রতি লক্ষ করে প্রথম স্ত্রীর মনে সন্দেহ দানা বাধতে শুরু করে। প্রথম স্ত্রী একদিন আতি গোপনে তার একজন বিশ্বস্থ খাদেমাকে তার স্বামীর ব্যপারে খোজ-খবর নিতে বললেন। খাদেমা গোপনে খোজ নিয়ে জানালেন যে সে দ্বিতীয় একটি বিবাহ করেছে। প্রথমা স্ত্রী এ খবর শুনে অত্যান্ত মর্মাহত হলেন, কিন্তু স্বামীকে তিনি কিছুই বুঝতে দিলেন না যে সে তার দ্বিতীয় বিবাহের খবর জানেন। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরেই স্বামি বেচারা ইন্তেকাল করেন। ইন্তেকালের পর তার সন্তানেরা তার সহায়-সম্পত্তি ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করছিল। এমন সময় প্রথম স্ত্রী তার সন্তানদের ডেকে বললেন যে তোমাদের পিতার একজন দ্বিতীয়া স্ত্রী ছিলেন, অতএব তার অংশ যেন আলাদা করে রাখা হয়। একথা শুনে সকলেই বিশ্ময় প্রকাশ করলেন। কিন্তু মায়ের আদেশ শিরধার্য করে দ্বিতিয় স্ত্রীর জন্য তার অংশ আলাদাভাবে রেখে দিলেন। প্রথম স্ত্রী ...
- Get link
- X
- Other Apps
তাবলীগ করতে হবে কোরআন দিয়ে (5:67) یٰۤاَیُّهَا الرَّسُوْلُ بَلِّغْ مَاۤ اُنْزِلَ اِلَیْكَ مِنْ رَّبِّكَ١ؕ وَ اِنْ لَّمْ تَفْعَلْ فَمَا بَلَّغْتَ رِسَالَتَهٗ١ؕ وَ اللّٰهُ یَعْصِمُكَ مِنَ النَّاسِ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِی الْقَوْمَ الْكٰفِرِیْنَ শব্দার্থ: يَاأَيُّهَا = হে, الرَّسُولُ = রাসূল, بَلِّغْ = প্রচারকরো, مَا = যা, أُنْزِلَ = অবতীর্ণ করাহয়েছে, إِلَيْكَ = প্রতিতোমার, مِنْ = পক্ষ হতে , رَبِّكَ = তোমার রবের, وَإِنْ = এবং যদি, لَمْ = না, تَفْعَلْ = তুমি করো, فَمَا = তবেনা, بَلَّغْتَ = তুমি প্রচারকরলে, رِسَالَتَهُ = বার্তাতাঁর, وَاللَّهُ = এবং আল্লাহ, ...
- Get link
- X
- Other Apps
জান্নাত: — জান্নাতে সর্ব প্রথম গান শোনাবেন হুরেরা, তাতে কেটে যাবে ৭০ বছর,জান্নাতি বাতাসে গাছের পাতার সাথে মিলিয়ে অপূর্ব এক বাজনা সৃষ্টি করবে,আর জান্নাতের হুরদের সাথে সুর মিলাবে! সুরের মুর্ছনায় গোটা জান্নাত মুখরিত হয়ে যাবে!! আল্লাহ্ তখন জান্নাত বাসীদের কাছে জানতে চাইবেন,"কেমন লাগলো? "সকলেই জবাব দিবে, খুব ভাল,"আল্লাহ্ বলবেন," এর চেয়েও ভাল শোন?জান্নাত বাসী বলবে"হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কি? তখন আল্লাহ্ হযরত দাউদ (আঃ)কে ডাক দিয়ে বলবেন, "হে দাউদ এবার তুমি শুনাও"!! "দাউদ (আঃ) বলবেন,"হে আল্লাহ্ আমার কন্ঠ তো দুনিয়াতে ছিল যবুর শরীফে, আল্লাহ্ বলবেন,তোমার কন্ঠ ফিরিয়ে দিলাম কোরআন শরীফ শোনাও!হযরত দাউদ(আঃ) কোরআনের সুরা আর রহমান শোনাবেন! জান্নাত বাসী মুগ্ধ হয়ে যাবে!! আল্লাহ্ আবার বলবেন, "কেমন লাগলো?"জান্নাতিরা বলবে, মারহাবা, খুব ভাল লাগলো! আল্লাহ্ বলবেন, এর চেয়ে ভাল শোন জান্নাত বাসীরা, বলবে হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কি হতে পারে??আল্লাহ্ পাক রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে বলবেন, "হে আমার প্রিয় হাবিব এবার আপনি ওদের শোনান!রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কোরআনের হৃদয় সুরা ...
- Get link
- X
- Other Apps
* নবী বংশের মহান ইমাম হযরত জাফর সাদিক (আঃ) বলেছেন, একজন মুসলমানের জন্য এটা কখনই ঠিক নয় যে, সে একজন গুনাহগারের সাথে বন্ধুত্ব করবে।কারো মধ্যে ভালো গুণ দেখে বন্ধুত্ব করার পরও যদি তার মধ্যে খারাপ গুণ দেখা যায় তাহলে কি করতে হবে ? এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু সে যদি নিজেকে সংশোধন করতে রাজি না হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে বন্ধুর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। যেমনটি করেছিলেন, আহলে বাইতের ষষ্ঠ ইমাম হযরত জাফর সাদেক (রহঃ)।‘ইমাম জাফর সাদেকের এক বন্ধু ছিলো ; যে সব সময় ইমামের সাথে ঘোরাফেরা করতো। একদিন ইমাম বাজারে গেলেন। সঙ্গে সেই বন্ধু ও তার কাজের ছেলেটি ছিলো। বাজারে ঘুরতে ঘুরতে কাজের ছেলেটি কৌতুহল বশতঃ এটা ওটা দেখছিলো এবং মাঝে মাঝে পরিচিত লোকদের সাথে কথা বলছিলো। এতে সে তার মনিবের কাছ থেকে একটু পিছিয়ে পড়লো। আর এদিকে ইমাম ও তার বন্ধুটি বাজারের মাঝখানে চলে গেল। হঠাৎ পেছনের দিকে তাকিয়ে কাজের ছেলেকে না দেখে ইমামের বন্ধুর মেজাজ বিগড়ে গেল। কিছুন পর ছেলেটি ফিরে এলে মনিব তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। ইমামের সামনেই সে কাজের ছেলেটির বাপ-মা তুলে গালি দিলো। লোকটির অশ্লীল কথাবার্তা শ...
- Get link
- X
- Other Apps
কারামাতে গাউছে পাক: পবিত্র বাগদাদ নগরীতে এক প্রসিন্ধ চোর ছিল। কোনদিন সে ধরা পড়েনি। সে বহু আমির ওমরাহের বাসায় চুরি করেছে। কিন্তু কেউ ধরতে পারেনি। সে একদিন গভীর রাতে গাউসে পাকের ঘরে ঢুকলো তখন গাউসে পাক ঘরের এক পার্শ্বে ইবাদত ও মুরাকাবায় মশগুল ছিলেন। চোর ঘরে তন্ন তন্ন করে তালাশ করলো কিন্তু কিছুই পেলনা। অবশেষে নিরাশ হয়ে ঘর হতে চলে যেতে চাইলো। কিন্তু চোখে দেখতে পাচ্ছে না। হতাশ হয়ে ঘরের এক কোণে চুপ করে বসে রইলো। আশা ভোরের আলোতে চলে যেতে সক্ষম হবে। সে ঘরে বসে কোন রকমে রাত পোহাচ্ছে। এমতাবস্থায় হযরত খিজির (আ.)ঘরে প্রবেশ করে হযরত বড়পীরকে বললেন ---আজ ইরানের নেহাওন্দ শহরের কুতুব ইনতিকাল করেছেন। আজ রাতের মধ্যে একজন কুতুব নিয়োগ করে ঐ শহরে পাঠিয়ে দিন। হযরত বড়পীর খাদেমকে ডেকে বললেন, আমার ঘরের কোনে একজন লোক চুপ করে বসে আছে তাকে আমার নিকট নিয়ে এসো। খাদেম লোকটিকে ধরে নিয়ে আসলো। চোর ভয়ে থর থর করে কাঁপতে লাগলো। চোর অত্যন্ত কাকুতি মিনতি করে বলতে লাগলো,হুজুর আমি কোন দিন ধরা পড়িনি আজ আপনার কাছে ধরা পড়লাম। আমাকে দয়া করে ক্ষমা করুন। আর কেন দিন চুরি করবো না। দয়ার সাগর গাউছুল আযম বললেন--তুমি আমার ঘরে বড় আশা ...
- Get link
- X
- Other Apps
একদা এক চরিত্রহীনা কুলটা পরম ভ্রষ্টা সুন্দরী রমণী কোথাও হতে বুস্তান শহরে এসে লোকদেরকে কুকর্মে লিপ্ত করতে লাগলো ৷ প্রত্যেকবার দেহ ভোগের বিনিময়ে তাকে 200 দেরহাম দিতে হতো ৷ তার রূপ ও সৌন্দর্য এতই মোহনীয় ও আকর্ষণীয় ছিল যে, এই বিরাট অংক করতে ধনী গ্রাহকরা মোটেই কুণ্ঠিত হতো না ৷ এক মাসকাল শহরের বুকে তারে হারাম ব্যবসার চলতে থাকার কুফল এই দাঁড়ালো যে, অনেক সমৃদ্ধশালী পরিবার সর্বস্বহারা এবং অনেক লোক চরিত্রের দিক থেকে ধংস হয়ে গেল ৷ সমাজের শুভাকাঙ্ক্ষী চিন্তাশীল লোকেরা তৎকালের মশহুর অলি হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমতুল্লাহি এর নিকট উপস্থিত হয়ে এই বিষয়ে তাকে বিস্তারিত জানান ৷ লোকেরা তার নিকট আরজ করল হুজুর শহরের বুক হতে এ পাপ নিবারণের কোন সুব্যবস্থা করুন ৷ নতুবা অল্পদিনের মধ্যেই শহর ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ লোকদের মুখে এ ঘটনা শোনার পর একদা মাগরিবের নামাজ শেষে হযরত বায়েজিদ বোস্তামী রহমাতুল্লাহি দুইশত দিরহাম সাথে নিয়ে ওই রমনীর বাড়ির দিকে যাত্রা করলেন এবং তার ঘরের দরজার সামনে পৌঁছে সেখানেই বসে রইলেন ৷ যথাসময়ে যথারীতি গ্রাহকদের আগমন শুরু হল ৷ কিন্তু গৃহদ্বারে হযরত বায়েজিদকে বসা দেখে সকলেই ফিরে গেল...
- Get link
- X
- Other Apps
মুনাফিক সর্দার) ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উবাই حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ عَبْدَ، اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ لَمَّا تُوُفِّيَ جَاءَ ابْنُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَعْطِنِي قَمِيصَكَ أُكَفِّنْهُ فِيهِ، وَصَلِّ عَلَيْهِ وَاسْتَغْفِرْ لَهُ، فَأَعْطَاهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَمِيصَهُ فَقَالَ " آذِنِّي أُصَلِّي عَلَيْهِ ". فَآذَنَهُ، فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَيْهِ جَذَبَهُ عُمَرُ ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ أَلَيْسَ اللَّهُ نَهَاكَ أَنْ تُصَلِّيَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ فَقَالَ " أَنَا بَيْنَ خِيرَتَيْنِ قَالَ {اسْتَغْفِرْ لَهُمْ أَوْ لاَ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ إِنْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ سَبْعِينَ مَرَّةً فَلَنْ يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ} ". فَصَلَّى عَلَيْهِ فَنَزَلَتْ {وَلاَ تُصَلِّ عَلَى أَحَدٍ مِنْهُمْ مَاتَ أَبَدًا} ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: ‘আবদুল্লাহ্ ইব্নু ‘উবা...
- Get link
- X
- Other Apps
* হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয় * হাসান বসরী র: অসুস্হ অগ্নি পুজক শামউনকে দেখতে যায়,কালেমার বিনিময়ে জান্নাতের গেরান্টি পত্র দেয় এক প্রতিবেশী। নাম শামাউন। অগ্নির উপাসক। দীর্ঘায়ু লোক। বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। আক্রান্ত হলেন এক কঠিন অসুখে। জীবনের আশা অতি ক্ষীণ, ক্ষীণতম। তাঁর আসন্ন মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। হযরত হাসান (র)-এর কানেও এল কথাটা। তিনি প্রতিবেশীর অন্তিম শয্যার পাশে গিয়ে বসলেন। দেখলেন, শামাউনের সারা শরীরে কালো কালো দাগ। তিনি বললেন, আগুন আর ধোয়া নিয়েই তো কাল কাটালে, এখন একবার আল্লাহকে মেনে নাও। ইসলাম কবুল কর। হয়তো আল্লাহর রহমত নেমে আসবে তোমার ওপর। শামাউনের চোখে তাচ্ছিল্যের আভাস। বললেন, দু'টি কারনে তোমাদের ধর্মের প্রতি আমার বিতৃষ্ণা আছে। প্রথম কারনটি হল- ইসলাম ধর্মালম্বীরা দিনরাত দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত থাকে। আর দ্বিতীয় কারন- তারা মুখে মৃত্যুর কথা বলে বটে তবে এমন সব কাজ কারবার করে, যা মৃত্যু-ভীতদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কেননা, ঐ সকল কাজে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। হযরত হা...
- Get link
- X
- Other Apps
67 মিথ্যা বলা * সত্য কথা বলার নির্দেশ,৩৩: আল-আহযাব:৭০-৭১ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ قُوْلُوْا قَوْلًا سَدِیْدًاۙ یُّصْلِحْ لَكُمْ اَعْمَالَكُمْ وَ یَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْؕ وَ مَنْ یُّطِعِ اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِیْمًا * হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সহযোগি হও,অন্তর্ভুক্ত হও,৯: আত-তওবা:১১৯ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ وَ كُوْنُوْا مَعَ الصّٰدِقِیْنَ * Nobody believes a liar. (মিথ্যাবাদীকে কেউ বিশ্বাস করে না * সত্য মিথ্যা। দুটি শব্দই দুই অক্ষরের। কিন্তু দুই শব্দের মাঝে ব্যবধান রাত দিনের, আলো আঁধারের * অন্যাত্রে বলেন,সীমালংঘনকারী মিথ্যাবাদী লোককে হিদায়াত দান করেন না।,৪০: আল-মু’মিন:২৮, اِنَّ اللّٰهَ لَا یَهْدِیْ مَنْ هُوَ مُسْرِفٌ كَذَّابٌ * মিথ্যা বলা মুনাফিকের আলামতের অন্তর্ভুক্ত,সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১১৪ آيَةُ الْمُنَافِقِ ثَلاَثٌ إِذَا حَدَّثَ كَذَبَ وَإِذَا وَعَدَ أَخْلَفَ وَإِذَا ائْتُمِنَ خَانَ * কোন বান্দা যখন মিথ্যা কথা বলে তখন তার মিথ্যা ...
- Get link
- X
- Other Apps
ওয়াদা ঠিক রাখা-না রাখা উভয় বিষয়ের লাভ ও ক্ষতির বিষয়টি সুস্পষ্টভাষায় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ﺑَﻠَﻰ ﻣَﻦْ ﺃَﻭْﻓَﻰ ﺑِﻌَﻬْﺪِﻩِ ﻭَﺍﺗَّﻘَﻰ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ - ﺇِﻥَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻳَﺸْﺘَﺮُﻭﻥَ ﺑِﻌَﻬْﺪِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﺃَﻳْﻤَﺎﻧِﻬِﻢْ ﺛَﻤَﻨًﺎ ﻗَﻠِﻴﻼً ﺃُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻻَ ﺧَﻼَﻕَ ﻟَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ﻭَﻻَ ﻳُﻜَﻠِّﻤُﻬُﻢُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻻَ ﻳَﻨﻈُﺮُ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﺍﻟْﻘِﻴَﺎﻣَﺔِ ﻭَﻻَ ﻳُﺰَﻛِّﻴﻬِﻢْ ﻭَﻟَﻬُﻢْ ﻋَﺬَﺍﺏٌ ﺃَﻟِﻴﻢٌ ‘যে লোক নিজ (ওয়াদা) প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করবে এবং পরহেজগার হবে, অবশ্যই আল্লাহ পরহেজগারদেরকে ভালবাসেন। যারা আল্লাহর নামে কৃত অঙ্গীকার এবং প্রতিজ্ঞা সামান্য বিনিময়ে বিক্রয় করে, আখেরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। আর তাদের সঙ্গে কেয়ামতের দিন আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি (করুণার) দৃষ্টিও দেবেন না। আর তাদের পরিশুদ্ধও করবেন না। বস্তুত তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব। (সুরা ইমরান : আয়াত ৭৬-৭৭) আয়াতের সার সংক্ষেপ আল্লাহ তাআলা এ দুই আয়াতের একটিতে ওয়াদা ঠিক রাখার ফজিলত এবং অন্যটিতে ভঙ্গ করার নিন্দা ও শাস্তির বিবরণ বর্ণনা করেছেন। আগের কিছু আয়াতে ইয়াহুদিদের প্রতারণা ও মিথ্যা দাবির কিছু বিষয় ...
- Get link
- X
- Other Apps
হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা নিজেরা করো না?،৬১: আস-সফ,:আয়াত: ২, یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لِمَ تَقُوْلُوْنَ مَا لَا تَفْعَلُوْنَ তাফহীমুল কুরআন: হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা নিজেরা করো না? ফী যিলালিল কুরআন: হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, তোমরা এমন সব কথা বলে কেন যা তােমরা (নিজেরা) করো না। ৬১: আস-সফ,:আয়াত: ৩, كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللّٰهِ اَنْ تَقُوْلُوْا مَا لَا تَفْعَلُوْنَ তাফহীমুল কুরআন: আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ যে, তোমরা এমন কথা বলো যা করো না। ফী যিলালিল কুরআন: আল্লাহর কাছে এটা অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ যে, তােমরা এমন সব কথা বলে বেড়াবে যা তােমরা করবে না!
- Get link
- X
- Other Apps
175-35-তাহারা ছিল দয়ার সাগর-১ তাহারা ছিল দয়ার সাগর * একদিন মদিনার দুই ব্যাক্তি একজন যুবক কে টেনে হিছরে অর্ধপৃথিবীর শাসক, খলিফা, হযরত ওমর রা. এর দরবারে হাজির করল। এবং বিচার দাখিল করলো, যে,এই যুবক আমাদের পিতাকে হত্যা করলো, আমরা এর ন্যায় বিচার চাই। তখন খলিফা (প্রধানমন্ত্রী) হযরত ওমর রা. সে যুবক কে প্রশ্ন করলো, তার বিপক্ষে করা দাবি সম্পকে........? তখন সেই যুবক বলেন, তাদের দাবি সম্পুর্ণ সত্য। আমি ক্লান্তির কারণে বিশ্রামারেন জন্য একটি খেজুর গাছের ছায়া বসলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম গাছের নিছে। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার পছন্দের একমাত্র বাহন আমার উট টি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূরে গিয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ওদের বাবা ছিল। যে আমার সেই উট কে তাদের বাগানে প্রবেশের অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। আমিও রাগান্বিত হয়ে তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে এক পর্যায়ে তাদের বাবা কে আমি পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেইখানে মারা যায়....। সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে হয়ে গেছে। যার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। বাদিরা ব...