৬১-সফ (61:1) سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ١ۚ وَ هُوَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ শব্দার্থ: سَبَّحَ = তসবীহকরে, لِلَّهِ = আল্লাহর, مَا = যা কিছু , فِي = মধ্যে, السَّمَاوَاتِ = আসমান সমূহের, وَمَا = ওযা, فِي = মধ্যে, الْأَرْضِ = পৃথিবীর, وَهُوَ = এবং তিনি ই, الْعَزِيزُ = পরাক্রমশালী, الْحَكِيمُ = প্রজ্ঞাময়, অনুবাদ: আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী। (61:2) یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لِمَ تَقُوْلُوْنَ مَا لَا تَفْعَلُوْنَ শব্দার্থ: يَاأَيُّهَا = ওহে, الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছো, لِمَ = কেন, تَقُولُونَ = তোমরা বলো, مَا = যা, لَا = না, تَفْعَلُونَ = তোমরা করো , অনুবাদ: হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা নিজেরা করো না? (61:3) كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللّٰهِ اَنْ تَقُوْلُوْا مَا لَا تَفْعَلُوْنَ শব্দার্থ: كَبُرَ = অতিশয়, مَقْتًا = ক্রোধজনক, عِنْدَ = কাছে , اللَّ...
Posts
Showing posts from September, 2022
- Get link
- X
- Other Apps
ফাত্তাবিওনি হলো নবীর চলা ফেরা উঠা বসা লেনদেন হুবহুব মেনে চলা। অংগ ভংগির দিক খেয়াল করে অর্থাৎ নবীর তিষট্রি বছরের জীবনে ফলো করা । বাক্বারা : (2:85) اَفَتُؤْمِنُوْنَ بِبَعْضِ الْكِتٰبِ وَ تَكْفُرُوْنَ بِبَعْضٍ١ۚ فَمَا جَزَآءُ مَنْ یَّفْعَلُ ذٰلِكَ مِنْكُمْ اِلَّا خِزْیٌ فِی الْحَیٰوةِ الدُّنْیَا١ۚ وَ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ یُرَدُّوْنَ اِلٰۤى اَشَدِّ الْعَذَابِ١ؕ وَ مَا اللّٰهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُوْنَ শব্দার্থ: أَفَتُؤْمِنُونَ = তোমরা তবেকি বিশ্বাসকর, بِبَعْضِ = কিছু অংশের (ব্যাপারে) , الْكِتَابِ = কিতাবের, وَتَكْفُرُونَ = এবং অবিশ্বাস কর, بِبَعْضٍ = (অপর) কিছু অংশকে, فَمَا = সুতরাংকী (হতেপারে) , جَزَاءُ = প্রতিদান , مَنْ = যে, يَفْعَلُ = করবে, ذَٰلِكَ = এরূপ, مِنْكُمْ = তোমাদের মধ্যথেকে, إِلَّا = এছাড়াযে, خِزْيٌ = অপমান, فِي = মধ্যে, الْحَيَاةِ = জীবনের, الدُّنْيَا = পার্থিব, وَيَوْمَ = এবং দিনে, الْقِيَامَةِ = কিয়ামাতের, يُرَدُّونَ = তারা নিক্ষিপ্ত হবে , إِلَ...
- Get link
- X
- Other Apps
যার আমানাতদারী নেই তার ঈমানও নেই এবং যার ওয়া’দা-অঙ্গীকারের মূল্য নেই তার দীনও নেই। মিশকাতুল মাসাবিহ,৩৫: সহিহ وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَلَمَّا خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ ﷺ اِلَّا قَالَ : لَا إِيْمَانَ لِمَنْ لَا أَمَانَةَ لَه وَلَا دِيْنَ لِمَنْ لَا عَهْدَ لَه». رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরূপ খুৎবাহ্ খুব কমই দিয়েছেন যাতে এ কথা বলেননি যে, যার আমানাতদারী নেই তার ঈমানও নেই এবং যার ওয়া’দা-অঙ্গীকারের মূল্য নেই তার দীনও নেই। (বায়হাক্বী-এর শু’আবূল ঈমান)[১] ফুটনোটঃ [১] সহিহ/হাসান : আহমাদ ৩/১৩৫, সহীহুত্ তারগীব ৩০০৪, শু‘আবুল ঈমান ৪০৪৫। আমি (আলবানী) বলছিঃ اَلسُّنَنُ الْكُبْرى (আসসুনানুল কুবরা)-এর ৬ষ্ঠ খণ্ডের ২৮৮ নং পৃষ্ঠায় লেখক হাদীসটি এভাবেই বর্ণনা করেছেন। আর লেখকের হাদীসটি ইমাম বায়হাক্বী (রহঃ)-এর দিকে সন্বোধন করার ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকাটা ধারণা দেয় যে, হাদীসটি বায়হাক্বীর চেয়ে প্রসিদ্ধ এবং উঁচু স্তরের কেউ বর্ণনা করেনি। তবে বিষয়টি মোটেও এরূপ নয়। কারণ ইমাম আহমাদ (রহঃ) হাদীসটি তাঁর মুসনাদের ৩য় খণ্ডে...
- Get link
- X
- Other Apps
3 আল ইমরান :31) قُلْ اِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّوْنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوْنِیْ یُحْبِبْكُمُ اللّٰهُ وَ یَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ١ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ শব্দার্থ: قُلْ = (হেনবী) তুমি বল, إِنْ = যদি, كُنْتُمْ = তোমরা , تُحِبُّونَ = ভালবেসেথাক, اللَّهَ = আল্লাহকে, فَاتَّبِعُونِي = আমাকে তোমরা তবে অনুসরণ কর, يُحْبِبْكُمُ = ভালোবাসবেন তোমাদের কে, اللَّهُ = আল্লাহ, وَيَغْفِرْ = এবং মাফ করবেন , لَكُمْ = তোমাদের জন্য, ذُنُوبَكُمْ = গুনাহসমুহকে, وَاللَّهُ = এবং আল্লাহ, غَفُورٌ = বড় ক্ষমাশীল , رَحِيمٌ = মেহেরবান, অনুবাদ: হে নবী! লোকদের বলে দাওঃ “যদি তোমরা যথার্থই আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ মাফ করে দেবেন। তিনি বড়ই ক্ষমাশীল ও করুণাময়।”
- Get link
- X
- Other Apps
আবু জাহেল ছিল আমানতের খিয়ানতকারী,কাজী আবুল হাসান আল মাওয়ারদী তাঁর “আলামূন নুবুওয়াহ” কিতাবে একটি অদ্ভূত ঘটনা বর্ণনা করেছেন। ঘটনাটি হচ্ছেঃ আবু জেহেল ছিল একটি এতিম ছেলের অভিভাবক। ছেলেটি একদিন তার কাছে এলো। তার গায়ে এক টুকরা কাপড়ও ছিল না। সে কাকুতি মিনতি করে তার বাপের পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তাকে কিছু দিতে বললো। কিন্তু জালেম আবু জেহেল তার কথায় কানই দিল না। সে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর শেষে নিরাশ হয়ে ফিরে গেলো। কুরাইশ সরদাররা দুষ্টুমি করে বললো, “যা মুহাম্মাদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাছে চলে যা। সেখানে গিয়ে তাঁর কাছে নালিশ কর। সে আবু জেহেলের কাছে সুপারিশ করে তোর সম্পদ তোকে দেবার ব্যবস্থা করবে।” ছেলেটি জানতো না আবু জেহেলের সাথে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কি সম্পর্ক এবং এ শয়তানরা তাকে কেন এ পরামর্শ দিচ্ছে। সে সোজা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে পৌঁছে গেলো এবং নিজের অবস্থা তাঁর কাছে বর্ণনা করলো। তার ঘটনা শুনে নবী (সা.) তখনই দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে নিজের নিকৃষ্টতম শত্রু আবু জেহেলের কাছে চলে গেলেন। তাঁকে দেখে আবু জেহেল তাঁকে অভ্যর্থনা জানালো। ...
- Get link
- X
- Other Apps
শ্রেষ্টতম আমানতদার ছিলেন মুহাম্মদ সা, হিজরতের সময় নবীজি আমানতের মাল হযরত আলী রা,কে বুঝিয়ে দিয়েছেন,আমানত রক্ষা করা,কাফিরগণ যখন আমাদের নূর নবীর উপর অকথ্য অত্যাচার উৎপীড়নে তৎপর, এমন কি শত্রুগণ যখন তাঁহাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তখন সতরজন বিশিষ্ট পাহলোয়ান তরবারি হস্তে তাঁহার গৃহ পরিবেষ্টন করিয়া রাখিয়াছিল। আল্লাহর অপার মহিমা! ঐ রাত্রেই আল্লাহ তায়ালার হুকুম হইল- মক্কা হইতে মদীনায় হিজরত করিতে। তিনি আল্লাহর হুকুম পালনে বিলম্ব করিলেন না, করিতেও পারেন না। কাফিরদের অনেক টাকা-পয়সা তাঁহার নিকট আমানত ছিল। তিনি বালক আলীকে বলিলেন, প্রিয় বৎস! এই রাত্রে আমার বিছানায় শুইয়া থাকিবে। প্রাতে যাহার যে আমানত আছে, তাহা তাঁহাকে দিয়া দিবে। পারিবে তো? হযরত আলী নির্ভীক চিত্তে বলিলেন, আল্লাহ চাহেন ত পারিব। হযরত আলী (রাঃ) হযরতের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়া শুইয়া পড়িলেন। এইদিকে হযরত (সাঃ) শত্রুর বেড়াজাল ভেদ করিয়া গৃহ হইতে বাহির হইয়া গেলেন। তাঁহারা বিন্দুমাত্রও টের পাইল না। প্রত্যুষে কাফির দল গৃহে প্রবেশ করিয়া ফেলে। তাহারা চাদর আবৃত আলী (রাঃ) কে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মনে করিয়া কেহ কেহ বলিল, এক কোপেই শেষ করিয়া ফেল। কেহ কেহ...
- Get link
- X
- Other Apps
হজরত হুজাইফা বিন ইয়ামেন একজন প্রসিদ্ধ সাহাবি ছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশ্বস্ত ছিলেন। যখন তিনি এবং তার পিতা মুসলমান হয়ে মদীনায় আসছিলেন, পথিমধ্যে আবু জেহেলের বাহিনীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ ঘটে যায়। সে সময় আবু জেহেল তার বাহিনী নিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে যুদ্ধ করতে যাচ্ছিল।তারা হজরত হুজাইফা (রাদি.) এর পিতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তোমরা যাচ্ছ কোথায়? উত্তরে তারা বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাত করার উদ্দেশে মদীনায় যাচ্ছি। একথা শুনে আবু জেহেল বলল, তা হলে তো তোমাদের ছেড়ে দেয়া যাবে না। কেননা যেখানে গিয়ে তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। জবাবে তারা বললেন- আমরা তো কেবল তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব না। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করব না।আবু জেহেল তাকে বলল, তা হলে আমার সঙ্গে ওয়াদা কর মদীনাতে গিয়ে তোমরা লড়াইয়ে লিপ্ত হবে না। তখন তিনি এই ওয়াদা করলেন। তৎক্ষণাৎ আবু জেহেল তাদের ছেড়ে দিলো। হজরত হুজাইফা যখন মদীনা মুনাওয়ারাতে পৌঁছলেন দেখতে পেলেন- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা থেকে যুদ্ধের জন্য ব...
- Get link
- X
- Other Apps
৪৯: আল-হুজুরাত:আয়াত: ১২ یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِیْرًا مِّنَ الظَّنِّ١٘ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوْا وَ لَا یَغْتَبْ بَّعْضُكُمْ بَعْضًا١ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُكُمْ اَنْ یَّاْكُلَ لَحْمَ اَخِیْهِ مَیْتًا فَكَرِهْتُمُوْهُ١ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ١ؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِیْمٌ শব্দার্থ: يَاأَيُّهَا = হে, الَّذِينَ = যারা, آمَنُوا = ঈমান এনেছ, اجْتَنِبُوا = দূরেথাক, كَثِيرًا = অত্যাধিক, مِنَ = হতে, الظَّنِّ = অনুমানকরা, إِنَّ = নিশ্চয়ই , بَعْضَ = কিছু, الظَّنِّ = অনুমান, إِثْمٌ = পাপ, وَلَا = এবং না , تَجَسَّسُوا = তোমরা দোষখোঁজকরো, وَلَا = এবং না ,...
- Get link
- X
- Other Apps
وَحَدَّثَنِي شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ، - وَهُوَ ابْنُ مَيْمُونٍ - حَدَّثَنَا وَاصِلٌ الأَحْدَبُ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ رَجُلاً، يَنِمُّ الْحَدِيثَ فَقَالَ حُذَيْفَةُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ نَمَّامٌ " . আবূ ওয়ায়িল (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হুযাইফাহ্ (রাঃ)-এর নিকট খবর পৌঁছল যে, এক ব্যক্তি চোগলখোরী করে বেড়ায়। তিনি বললেন, আমি রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছি, কোন চোগলখোরই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। [৪৪] (ই.ফা. ১৯২; ই.সে. ১ ফুটনো [৪৪] একজনের কথা অন্যজনের সামনে এ জন্য বলে যে, তাদের মধ্যে যেন শত্রুতার সৃষ্টি হয় ও ঝগড়া-বিবাদ লেগে যায় তাকে ‘নাম্মাম’ বা চোগলখোর বলে। (নাবাবী সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১ হাদিসের মান: সহিহ হাদি Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IR Dস৯১) টঃ৯৮):ড অ্যাপ, IRD لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ ". হুযাইফাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ: তিনি বললেনঃ আমি...
- Get link
- X
- Other Apps
একবার এক ব্যক্তি দেখতে পেল বাজারে একজন নিজের দাস বিক্রি করছে। বিক্রেতা এভাবে হাকডাক করছে “এ গোলামের একটু চোগলখোরি ব্যতীত আর কোন ত্রুটি নেই”। লোকটি এ দোষটি গুরুত্ব না দিয়ে গোলামটিকে কিনে নিল। গোলামটি তার বাড়িতে অবস্থান করতে লাগল। কিছুদিন পর সে তার মনিবের স্ত্রীকে বলল, আমার মনিব আর একটি বিয়ে করতে চাইছেন, কেননা তিনি আপনার প্রতি আর তেমন অনুরক্ত নেই। আপনি কি এ বিয়ে ঠেকাতে চান আর আপনার স্বামী আপনাকে আগের মতই ভালোবাসুক এটা চান , তাহলে উনি যখন নিদ্রা যাবেন, তখন একটা ছুরি দিয়ে তার কন্ঠনালীর উপরের একটা পশম কেটে নিয়ে নিজের কাছে রাখবেন। অন্য দিকে মনিবকে সে বলল, আপনার স্ত্রী তলে তলে অন্য একজনের প্রতি আকৃষ্ট এবং তাকে তিনি ভালোবাসেন এবং তার সাথে চক্রান্ত করে তিনি আজ আপনাকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করবেন। আপনি যদি বাঁচতে চান তাহলে আপনি না ঘুমিয়ে কেবল ঘুমের ভান করে শুয়ে থেকে দেখবেন, আপনার স্ত্রী কিভাবে আপনার গলায় ছুরি চালায়। গোলামের কথামত মনিব ঠিক তাই করল, রাতে যেই তার স্ত্রী ছুরি দিয়ে তার গলার পশম কাটতে উদ্যত হল, অমনি মনিব উঠে তার হাত থেকে ছুরি নিয়ে স্ত্রীকে সাথে সাথে হত্যা করল। এরপর স্ত্রীর আত্মীয়রা...
- Get link
- X
- Other Apps
চোগলখোরীর জন্য কবরে আজাব হবে * حَدَّثَنَا يَحْيَى، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ مَرَّ بِقَبْرَيْنِ يُعَذَّبَانِ فَقَالَ " إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ أَمَّا أَحَدُهُمَا فَكَانَ لاَ يَسْتَتِرُ مِنَ الْبَوْلِ، وَأَمَّا الآخَرُ فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ ". ثُمَّ أَخَذَ جَرِيدَةً رَطْبَةً فَشَقَّهَا بِنِصْفَيْنِ، ثُمَّ غَرَزَ فِي كُلِّ قَبْرٍ وَاحِدَةً. فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، لِمَ صَنَعْتَ هَذَا فَقَالَ " لَعَلَّهُ أَنْ يُخَفَّفَ عَنْهُمَا مَا لَمْ يَيْبَسَا ". ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যে কবর দু’টির বাসিন্দাদের উপর আযাব দেয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেনঃ এদের দুজনকে আযাব দেয়া হচ্ছে অথচ তাদের এমন গুনাহর জন্য আযাব দেয়া হচ্ছে না (যা হতে বিরত থাকা) দুরূহ ছিল। তাদের একজন পেশাবের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না, আর অ...
- Get link
- X
- Other Apps
হজরত কাব ইবনে আহবার রা: বলেন, হজরত মুসা আ:-এর যুগে একবার প্রচণ্ড দুর্ভিক্ষ দেখা দিলো। হজরত মুসা আ: তিনবার জাতিকে নিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন, কিন্তু দোয়া কবুল হলো না। তখন তিনি আরজ করলেন, হে আল্লাহ! আমি আমার দলের সবাইকে নিয়ে আপনার দরবারে তিনবার দোয়া করলাম, কিন্তু আপনি তা কবুল করলেন না কেন? তখন মুসা আ:-এর প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি অবতীর্ণ হলো, হে মুসা! তোমার দলের মধ্যে একজন চোগলখোর আছে, যার কারণে তোমাদের কারো দোয়াই কবুল হলো না। হজরত মুসা আ: আরজ করলেন, হে আল্লাহ! কে সে ব্যক্তি? আমাকে তার সম্পর্কে বলুন, যাতে করে আমি তাকে শনাক্ত করে এ নিন্দনীয় কাজ থেকে ফেরাতে পারি। আর যদি সে এ কাজটি ত্যাগ না করে তাহলে আমার দল থেকে বের করে দিতে পারি। ইরশাদ হলো, হে মুসা, আমি চোগলখোরিকে নিষেধ করেছি আবার আমিই চোগলখুরি করব? এ কেমন কথা! এ জন্য তোমরা সবাই একত্র হয়ে তাওবা করো। তখন মুসা আ: দলের সবাইকে নিয়ে তাওবা করে আবারো আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। এবার আল্লাহ তায়ালা মুসা নবীর দোয়া কবুল করলেন। এরপরই দুর্ভিক্ষ বিদূরিত হলো। চোগলখোর সম্পর্কে রাসূল সা: ইরশাদ করেন, চোগলখোর কোনো দিন বেহেশতে যেতে পারবে না, যতক্ষণ...
- Get link
- X
- Other Apps
সালামের কত মূল্য তাদের কাছে ছিল: — حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ الطُّفَيْلَ بْنَ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّهُ كَانَ يَأْتِي عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ فَيَغْدُو مَعَهُ إِلَى السُّوقِ، قَالَ: فَإِذَا غَدَوْنَا إِلَى السُّوقِ لَمْ يَمُرَّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ عَلَى سَقَّاطٍ، وَلَا صَاحِبِ بَيْعَةٍ، وَلَا مِسْكِينٍ، وَلَا أَحَدٍ إِلَّا يُسَلِّمُ عَلَيْهِ. قَالَ الطُّفَيْلُ: فَجِئْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ يَوْمًا، فَاسْتَتْبَعَنِي إِلَى السُّوقِ، فَقُلْتُ: مَا تَصْنَعُ بِالسُّوقِ وَأَنْتَ لَا تَقِفُ عَلَى الْبَيْعِ، وَلَا تَسْأَلُ عَنِ السِّلَعِ، وَلَا تَسُومُ بِهَا، وَلَا تَجْلِسُ فِي مَجَالِسِ السُّوقِ؟ فَاجْلِسْ بِنَا هَاهُنَا نَتَحَدَّثُ، فَقَالَ لِي عَبْدُ اللَّهِ: يَا أَبَا بَطْنٍ، وَكَانَ الطُّفَيْلُ ذَا بَطْنٍ، إِنَّمَا نَغْدُو مِنْ أَجْلِ السَّلَامِ، نُسَلِّمُ عَلَى مَنْ لَقِيَنَا তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কাব (র) তিনি আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ)-এর নিকট যাতায়াত করতেন এবং তার ...
- Get link
- X
- Other Apps
সালাম ের প্রচলন শূরু হয়: — وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لَمَّا خَلَقَ اللهُ آدَمَ عليه السلام، قَالَ: اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولئِكَ ـ نَفَرٍ مِنَ المَلاَئِكَةِ جُلُوسٌ ـ فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ ؛ فَإنَّهَا تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيتِكَ . فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَقَالُوا: السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَزَادُوهُ: وَرَحْمَةُ اللهِ . متفقٌ عَلَيْهِ আবূ হুরাইরা (রাঃ) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ যখন আদম আলাইহিস সালাম -কে সৃষ্টি করলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘তুমি যাও এবং ঐ যে ফিরিশ্তামন্ডলীর একটি দল বসে আছে, তাদের উপর সালাম পেশ কর। আর ওরা তোমার সালাম ের কী জবাব দিচ্ছে তা মন দিয়ে শুনো। কেননা, ওটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্ততির সালাম বিনিময়ের রীতি।’ সুতরাং তিনি (তাঁদের কাছে গিয়ে) বললেন, ‘আস সালাম ু আলাকুম’। তাঁরা উত্তরে বললেন, ‘আস সালাম ু আলাইকা অরাহমাতুল্লাহ’। অতএব তাঁরা ‘অরাহমাতুল্লাহ’ শব্দটা বেশী বললেন।’’ রিয়াদুস সলেহ...
- Get link
- X
- Other Apps
কেমন ছিলেন সাহাবিরা? ছোট্ট এই ঘটনাটির মাধ্যমে তা জেনে নিন- হযরত আলী (রা.) সর্বদাই হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রা.) কে আগে সালাম দিতেন। আবু বকর ছিদ্দিক (রা.) অনেক চেষ্টা করেও আগে সালাম দিতে সক্ষম হতেন না। একদিন ব্যতিক্রম হলো। আলী (রা.) একদিন ইচ্ছে করেই আগে সালাম দিলেন না। আবু বকর (রা.) আগে সালাম দিয়ে দিলেন। যদিও বিষয়টি ওখানেই শেষ হয়ে গেলো। কিন্তু হযরত আবু বকর (রা.) ভাবলেন যে, হয়তো আলী (রা.) কোন কারনে তার উপর মনক্ষুন্ন হয়েছেন, তাই হয়ত আগে সালাম দেননি। আবু বকর (রা.) ঘটনাটি রাসূল ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ এর দরবারে পেষ করলেন। প্রিয় নবী ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ হযরত আলী (রা.) কে এর কারন জিজ্ঞেস করলেন। তখন হযরত আলী (রা.) বললেন – “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নে অতি সুন্দর একটি প্রাসাদ দেখেছি। আমাকে বলা হলো যে, সর্ব প্রথম অন্যকে সালাম দিবে তাকে এই প্রাসাদ দেয়া হবে। স্বপ্ন দেখে আমি ভাবলাম, হযরত আবু বকর ই এই প্রাসাদের যথার্থ অধিকারী। তিনি জ্ঞানে গুনে, মর্যাদায় ও আত্মত্যাগে আমার চেয়েও শ্রেষ্ঠ। সুতরাং তার আসন সব জায়গায় আমার উপর থাকা উচিত। তাই আমি আগে ইচ্ছে করেই আগে সালাম দেইনি, যেন তিনি আগে সালাম দিয...
- Get link
- X
- Other Apps
সালাম ের ফজিলত 40 নেকি عَن عِمْرَانَ بنِ الحُصَينِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، فَرَدَّ عَلَيْهِ ثُمَّ جَلَسَ، فَقَالَ النبيُّ صلى الله عليه وسلم: عَشْرٌ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ، فَقَالَ: عِشْرُونَ ثُمَّ جَاءَ آخَرُ، فَقَالَ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ الله وَبَركَاتُهُ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَجَلَسَ، فَقَالَ: ثَلاثُونَ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) তিনি বলেন, একটি লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল ‘আস সালাম ু আলাইকুম’ আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে গেলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য দশটি নেকী।’’ তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে ‘আস সালাম ু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম পেশ করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সালাম ের উত্তর দিলেন এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য বিশটি নেকী।’’ তারপর আর একজন এসে ...
- Get link
- X
- Other Apps
সালাম ের মাধ্যমে ভালবাসা সৃষ্টি হয়: — وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « لاَ تَدْخُلُوا الجَنَّةَ حَتَّى تُؤمِنُوا، وَلاَ تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا، أوَلاَ أدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ ؟ أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ ». رواه مسلم আবূ হুরাইরা (রাঃ) তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ না তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলে দেব না, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালবাসতে লাগবে? (তা হচ্ছে) তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’’ রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮৫২
- Get link
- X
- Other Apps
সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কী?’ وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، أنَّ رَجُلاً سَأَلَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: أَيُّ الإِسْلاَمِ خَيْرٌ ؟ قَالَ: « تُطْعِمُ الطَّعَامَ، وَتَقْرَأُ السَّلاَمَ عَلَى مَنْ عَرَفْتَ وَمَنْ لَمْ تَعْرِفْ ». متفقٌ عَلَيْهِ আব্দুল্লাহ ইবনে আম্র ইবনুল ‘আস (রাঃ) এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, ‘সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কী?’ তিনি বললেন, “(ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করবে এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে (ব্যাপকভাবে) সালাম পেশ করবে।’’ রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮৪৯
- Get link
- X
- Other Apps
এই বুযুর্গেরই আর একটা ঘটনা । একটাকুকুরের গায়ে খোস পাচড়া । সমস্ত মানুষ কুকুরটাকে ঘৃণা করছে । কিন্তু তিনি ঐ কুকুরটাকে ধরে নিয়ে এসেছেন । ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করিয়েছেন । চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর আপনজনদেরকে বলেছেন , তোমরা এই কুকুরটার দায়িত্ব নিয়ে নাও । কেউ তার দায়িত্ব নেয়নি । অবশেষে তিনি নিজের দায়িত্বে রেখেছেন । পরবর্তীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর কাছে এলহাম হয়েছে যে , তোমার যত মারেফাতের জ্ঞান , যত বুযুর্গী , তা ঐ কুকুরের খেদমত করার ওছীলায় । তিনি বলতেন । এই কুকুরটা আল্লাহর এক মাখলুক , আল্লাহর কাছে আমার যদি নাজাত না হয় , তাহলে আমার চেয়ে এই কুকুরটা বেশী দামী । দেখা গেল কোন মানুষকে নয় , একটা তুচ্ছ প্রাণী কুকুরকেও তিনি তুচ্ছ জানেননি । বুযুর্গানে দ্বীন বলেনঃ কোন মানুষকে তুচ্ছ মনে করার অবকাশ নেই । এমনকি আল্লাহর কোন প্রাণীকেও তুচ্ছ মনে করতে নেই । আল্লাহর কাছে কে দামী , তা আল্লাহ পাকই জানেন । কাজেই আমি আল্লাহর কোন মাঘলুক থেকে নিজেকে বড় মনে করতে পারি না
- Get link
- X
- Other Apps
একজন বুযুর্গের ঘটনা আছে তার মুখে ছিল নীচের দিকে সামান্য কয়েকটা দাড়ি । আমরা অনেকে এরকম দাড়িকে ছাগলে দাড়ি বলে থাকি । কিন্তু এটা ঠিক নয় । দাড়ি তো দাড়িই । দাড়ি একটা মর্যাদার জিনিস । সেটাকে ছাগলের মুখের পশমের সাথে উদাহরণ দিয়ে ছাগলে দাড়ি বলা ঠিক নয় । যাহোক একদিন এক লোক ঐ বুযুর্গের সাথে উপহাস করার জন্য একটা ছাগল নিয়ে এসে বলল হুজুর । আপনার দাড়ি বেশী দামী না আমার ছাগলের দাড়ি বেশী দামী । বুযুর্গ বললেন , আমি এখন মন্তব্য করতে আমাকে জিজ্ঞাসা করো । আমি যখন মৃত্যু বরণ করবো তখন আমাকে জিজ্ঞাসা করিও। মরার পরে যখন ঐ বুযুর্গের লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল , তখন সেই লোকটা হাজির হল । তখন লাশের যবান খুলে গেল যে , তোমার ছাগলের দাড়ির চেয়ে আমার দাড়ি বেশী দামী । কারণ আমার ঈমানের সাথে মৃত্যু হয়েছে , আমার নাজাতের ব্যবস্থা হয়ে গেছে । কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি বলেননি , আমার দাড়ি বেশী দামী । একটা ছাগলকেও তিনি তুচ্ছ জানেননি । এভাবে সব ক্ষেত্রে নিজেদেরকে তুচ্ছ জেনে এবং তাওয়ায় ’ প্রদর্শন করেই বড়রা বড় হয়েছেন । নিজেকে বড় মনে করলে এবং বড়ায়ী দেখালেই বড় হওয়া যায় না।
- Get link
- X
- Other Apps
মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে আছেন। সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময় মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের প্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসার সাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত জানা ছিল না অধিকাংশের। এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই সাহাবী। তৃতীয় দিন নবীজি (সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন। পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর, সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেই সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে। বিখ্যাত সাহাবী হজ...
- Get link
- X
- Other Apps
রাসূল ( সাঃ ) -এর সাথে তাঁর ছিল প্রেমের সম্পর্ক । একথা বলার পর রওযা শরীফ থেকে রাসুলের হাত উঠে আসে , তিনি সেই মোবারক হাতের সাথে মোসাফাহা করেছেন এবং চুমু দিয়েছেন । এর পরে সাথে সাথে মনে করেছেন এখন এই দরবারের সমস্ত মানুষ আমাকে বড় বুযুর্গ মনে করবে , আমার মনে অহংকার এসে যাবে , তাই সাথে সাথে তিনি মসজিদের দরজার উপরে শুয়ে পড়েন এবং বলতে থাকেন আমার ভিতরে অহংকার এসে গেছে , আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সবাই আমার উপর পাড়া দিয়ে পার হয়ে যান । এভাবে নিজের মধ্যে অহংকার আসার কোন সুযোগ দেননি । নিজেকে মানুষের সামনে তুচ্ছ করে রাখতে চেয়েছেন । সকলকে বড় মনে করেছেন , নিজেকে তুচ্ছ জেনেছেন । এই বুযুর্গেরই আর একটা ঘটনা । একটাকুকুরের গায়ে খোস পাচড়া । সমস্ত মানুষ কুকুরটাকে ঘৃণা করছে । কিন্তু তিনি ঐ কুকুরটাকে ধরে নিয়ে এসেছেন । ডাক্তার ডেকে চিকিৎসা করিয়েছেন । চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর আপনজনদেরকে বলেছেন , তোমরা এই কুকুরটার দায়িত্ব নিয়ে নাও । কেউ তার দায়িত্ব নেয়নি । অবশেষে তিনি নিজের দায়িত্বে রেখেছেন । পরবর্তীতে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর কাছে এলহাম হয়েছে যে , তোমার যত মারেফাতের জ্ঞান , যত বুযুর্গী ,...
- Get link
- X
- Other Apps
হযরত ওমর ( রাঃ ) যখন খলীফা ছিলেন , তখন তার পুত্র আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর ( রাঃ ) ছিলেন মলীফার ছেলে অর্থাৎ বাদশাহর ছেলে । আর হযরত হুসাইন ( রাঃ ) ছিলেন রাসূল ( সাঃ ) -এর নাতী । তাদের উভয়ের তখনও বয়স কম । একদিন হুসাইনের সাথে ইবনে ওমরের কথা কাটাকাটি হয়ে গেল । এক পর্যায়ে হুসাইন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরকে বললেন তুমি আমার নানার গোলামের পুত হয়ে আমাকে এমন বড় কথা বললে ? বোঝাতে চাইল যে , তোমার পিতা ওমর ছিল আমার নানা রাসুল ( সাঃ ) -এর গোলাম । তুমি সেই গোলামের ছেলে হয়ে এরকম কথা বললে ? একথা শুনে ইবনে ওমর রেগে গেল । এত বড় কথা ! আমি বাদশাহর ছেলে , আমাকে বলছ গোলামের পুত ! রেগে যেয়ে পিতার কাছে নালিশ দিল যে , হুসাইন আমাকে গোলামের পুত বলেছে । হযরত ওমর ( রাঃ ) সাহাবায়ে কেরামকে ডাকলেন যে , দরবার বসবে । এ কথার বিচার হবে । মানুষ মনে করল এবার বোধ হয় খলীফা হুসাইনকে শাস্তি দিবেন । যদি তাই হয় রাসুলের নাতিকে শাস্তি দেয়া হয় , তাহলে মদীনায় আল্লাহর গযব নেমে আসবে । ওমর এটা কী করতে যাচ্ছে । সাহাবায়ে কেরামের দরবার বসল । সকলে চিন্তা করছেন কী যেন ঘটতে যাচ্ছে । হযরত ওমর ( রাঃ ) হুসাইনকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি যে আম...
- Get link
- X
- Other Apps
৭: আল-আরাফ:আয়াত: ৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৫ قَالُوْا یٰمُوْسٰۤى اِمَّاۤ اَنْ تُلْقِیَ وَ اِمَّاۤ اَنْ نَّكُوْنَ نَحْنُ الْمُلْقِیْنَ তখন তারা মূসাকে বললোঃ “তুমি ছুড়ঁবে না, না আমরা ছুঁড়বো?” ৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৬ قَالَ اَلْقُوْا١ۚ فَلَمَّاۤ اَلْقَوْا سَحَرُوْۤا اَعْیُنَ النَّاسِ وَ اسْتَرْهَبُوْهُمْ وَ جَآءُوْ بِسِحْرٍ عَظِیْمٍ মূসা জবাব দিলোঃ “তোমরাই ছোঁড়ো।” তারা যখনই নিজেদের যাদুর বাণ ছুঁড়লো তখনই তা লোকদের চোখে যাদু করলো, মনে আতঙ্ক ছড়ালো এবং তারা বড়ই জবরদস্ত যাদু দেখালো। ৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৭ وَ اَوْحَیْنَاۤ اِلٰى مُوْسٰۤى اَنْ اَلْقِ عَصَاكَ١ۚ فَاِذَا هِیَ تَلْقَفُ مَا یَاْفِكُوْنَۚ মূসাকে আমি ইঙ্গিত করলাম, তোমর লাঠিটা ছুঁড়ে দাও। তার লাঠি ছোঁড়ার সাথে সাথেই তা এক নিমিষেই তাদের মিথ্যা যাদু কর্মগুলোকে গিলে ফেলতে লাগলো। ৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৮ فَوَقَعَ الْحَقُّ وَ بَطَلَ مَا كَانُوْا یَعْمَلُوْنَۚ এভাবে যা সত্য ছিল তা সত্য প্রমাণিত হলো এবং যা কিছু তারা বানিয়ে রেখেছিল তা মিথ্যা প্রতিপন্ন হলো। ৭: আল-আরাফ:আয়াত: ১১৯ فَغُلِبُوْا هُنَالِكَ وَ انْقَلَبُوْا صٰغِرِیْنَۚ ফেরাউন ও...
- Get link
- X
- Other Apps
রহমানের বান্দা কারা? সুরা ফুরকান : আয়াত ৬৩) وَ عِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِیۡنَ یَمۡشُوۡنَ عَلَی الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّ اِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا ‘আর রহমানের বান্দা তারাই যারা জমিনে বিনয়ী হয়ে নম্রভাবে চলাফেরা করে আর অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে সম্বোধন করলে তারা বলে- ‘শান্তি’।’ (সুরা ফুরকান : আয়াত ৬৩)
- Get link
- X
- Other Apps
ঘটনাটি - হজরত শায়খ আহমদ রেফয়ী ( রঃ ) ৫৫৫ হিজরী সনে হজ্জ সমাপন করিয়া নবীজির রওজা জিয়ারতের জন্য মদিনায় হাজির হন । সেখানে তিনি নিম্নোক্ত রওজার সামনে দাঁড়াইয়া নিম্নোক্ত দুটি বয়াত পড়েন । দূরে থাকা অবস্থায় আমি আমার রুহকে হুজুর সাঃ এর খেদমতে পাঠাইয়া দিতাম । সে ( রুহ ) আমার নায়েব হইয়া আস্তানা শরীফে চুম্বন করিত । আজ আমি শ্বশরীরে দরবারে হাজির হইয়াছি । কাজেই হুজুর আপন হস্ত বাড়াইয়া দেন যেন আমার ঠোট উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করে । বয়াত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কবর হইতে হাত মোবারক বাহির হইয়া আসে এবং হযরত রেফায়ী উহাকে চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করেন । রাসূল ( সাঃ ) -এর সাথে তাঁর ছিল প্রেমের সম্পর্ক । একথা বলার পর রওযা শরীফ থেকে রাসুলের হাত উঠে আসে , তিনি সেই মোবারক হাতের সাথে মোসাফাহা করেছেন এবং চুমু দিয়েছেন । এর পরে সাথে সাথে মনে করেছেন এখন এই দরবারের সমস্ত মানুষ আমাকে বড় বুযুর্গ মনে করবে , আমার মনে অহংকার এসে যাবে , তাই সাথে সাথে তিনি মসজিদের দরজার উপরে শুয়ে পড়েন এবং বলতে থাকেন আমার ভিতরে অহংকার এসে গেছে , আপনাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সবাই আমার উপর পাড়া দিয়ে পার হ...
- Get link
- X
- Other Apps
খোদাভীতির একটি দৃষ্টান্ত হযরত ওমর রা. তাঁর খেলাফতকালে লোকজনের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য রাতের বেলা মদীনা মুনাওয়ারায় টহল দিতেন। এক রাতে তাহাজ্জুদের পর টহল দিচ্ছিলেন। হঠাৎ লক্ষ করলেন, একটি ঘর থেকে কথাবার্তার শব্দ শোনা যাচ্ছে। সাধারণ অবস্থায় কারো ব্যক্তিগত কথা আড়ি পেতে শোনা জায়েয নয়। কিন্তু দায়িত্বশীল ব্যক্তির জন্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে অনুমতি আছে। তো কথাবার্তার ধরন শুনে তাঁর কৌতূহল হল। তিনি ঘরের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ালেন এবং শুনতে পেলেন, এক বৃদ্ধা তার মেয়েকে বলছে, ‘বেটি! আজ তো উটের দুধ কম হয়েছে। এত অল্প দুধ বিক্রি করে দিন গুজরান করা কষ্ট হবে। তাই দুধের সাথে একটু পানি মিশিয়ে দাও।’মেয়ে উত্তরে বলল, ‘মা! আমীরুল মুমিনীন তো দুধের সাথে পানি মেশাতে নিষেধ করেছেন?’ বৃদ্ধা বললেন, ‘আমীরুল মুমিনীন কি আমাদের দেখছেন? তিনি হয়তো নিজ ঘরে ঘুমিয়ে আছেন। তুমি নিশ্চিন্তে পানি মেশাতে পার।’ এবার মেয়ে বলল, ‘মা, আমীরুল মুমিনীন এখানে নেই এবং তার কোনো লোকও নেই। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তো আছেন! তিনি তো দেখছেন! তাঁর কাছে আমরা কী জবাব দেব?’ ওমর রা. দেয়ালের ওপাশ থেকে সব কথা শুনতে পাচ্ছিলেন। এতটুকু শুনেই তিনি চলে...
- Get link
- X
- Other Apps
"যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয়" যাদের হৃদয়ে আছে আল্লাহর ভয় তারা কভু পথ ভুলে যায় না, আল্লাহর প্রেম ছাড়া এই দুনিয়ায় কারো কাছে কোনো কিছু চায় না । রাতের আধারে যারা সেজদাতে রয় দু'চোখের অশ্রুতে নদী যেন বয় ছলনার হাতছানি যতই আসুক পেছনে ফিরে সে তাকায় না । দ্বীন কায়েমের পথে যারা অবিচল তারা হল আল্লাহর প্রিয়জন, বাতিলের কাছে যারা হার মানেনা সংগ্রাম করে যায় আমরণ। হেরার আলতে যার হৃদয় রঙ্গিন হাতে আল জিহাদের দৃপ্ত সঙ্গিন, সত্যের পথে যারা নিবেদিত পরান ।
- Get link
- X
- Other Apps
গ্রামের অনেক লোকেরা বলে নামায পড়িনা কি হইছে ঈমান ঠিক আছে কয়না? আল্লাহ কি বলেন শুনুন ৪৯: আল-হুজুরাত:আয়াত: ১৪ قَالَتِ الْاَعْرَابُ اٰمَنَّا١ؕ قُلْ لَّمْ تُؤْمِنُوْا وَ لٰكِنْ قُوْلُوْۤا اَسْلَمْنَا وَ لَمَّا یَدْخُلِ الْاِیْمَانُ فِیْ قُلُوْبِكُمْ١ؕ وَ اِنْ تُطِیْعُوا اللّٰهَ وَ رَسُوْلَهٗ لَا یَلِتْكُمْ مِّنْ اَعْمَالِكُمْ شَیْئًا١ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِیْمٌ এ বেদুইনরা বলে, “আমরা ঈমান এনেছি” তাদের বলে দাও তোমরা ঈমান আন নাই। বরং বল, আমরা অনুগত হয়েছি। ঈমান এখনো তোমাদের মনে প্রবেশ করেনি। তোমরা যদি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্যের পথ অনুসরণ করো তাহলে তিনি তোমাদের কার্যাবলীর পুরস্কার দানে কোন কার্পণ্য করবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু। বেদুইন কে? বেদুইন শব্দটি আরবি শব্দ থেকে আগত যার অর্থ "মরুভূমির বাসিন্দা। এই শব্দটি কেবল মরুভূমির উট-পালক যাযাবর জাতিদের বোঝায়, তবে ইংরেজিতে এটি সমস্ত যাযাবর আরব সম্প্রদায় বলতে বোঝায়। বেদুইন-আরব মূলত মিশর, ইস্রায়েল, জর্ডান, লেবানন, সৌদি আরব, সিরিয়া, মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বাস করে। ঐতিহ্যগতভাবে বেদুই...
- Get link
- X
- Other Apps
আমার নবী নিজের থেকে যদি বানাইয়া কোনো কথা বলতেন পরিনাম এমনটি হতো ৬৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৪ وَ لَوْ تَقَوَّلَ عَلَیْنَا بَعْضَ الْاَقَاوِیْلِۙ যদি এ নবী নিজে কোন কথা বানিয়ে আমার কথা বলে চালিয়ে দিতো ৬৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৫ لَاَخَذْنَا مِنْهُ بِالْیَمِیْنِۙ তাহলে আমি তার ডান হাত ধরে ফেলতাম ৬৯: আল-হাক্বাহ্:আয়াত: ৪৬ ثُمَّ لَقَطَعْنَا مِنْهُ الْوَتِیْنَ٘ۖ এবং ঘাড়ের রগ কেটে দিতাম। সুতরাং নবীর কথাই আল্লাহর কথা
- Get link
- X
- Other Apps
ইজত গোত্রের এক নারী যিনা করে ধরা দেয়, প্রথমে মা’ইয ইবনু মালিক আসলামী নবী (সা:)-এর নিকট এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! নিশ্চয়ই আমি আমার আত্মার উপর জুলুম করেছি, অর্থাৎ ব্যভিচার করেছি।চতুর্থবার সে আগমন করলো, তখন তার জন্য একটি গর্ত খনন করা হলো এবং তিনি (সা:) তার প্রতি (ব্যভিচারের শাস্তি প্রদানের) নির্দেশ প্রদান করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর গামিদী এক মহিলা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ব্যভিচার করেছি,সহিহ মুসলিম,৪৩২৪ সহিহ أَنَّ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ الأَسْلَمِيَّ، أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ ظَلَمْتُ نَفْسِي وَزَنَيْتُ وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ تُطَهِّرَنِي . فَرَدَّهُ فَلَمَّا كَانَ مِنَ الْغَدِ أَتَاهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي قَدْ زَنَيْتُ . فَرَدَّهُ الثَّانِيَةَ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى قَوْمِهِ فَقَالَ " أَتَعْلَمُونَ بِعَقْلِهِ بَأْسًا تُنْكِرُونَ مِنْهُ شَيْئًا " . فَقَالُوا مَا نَعْلَمُهُ إِلاَّ وَفِيَّ الْعَقْلِ مِنْ صَالِحِينَا فِيمَا نُرَى فَأَتَاهُ الثَّالِثَةَ فَأَرْسَلَ إِلَ...
- Get link
- X
- Other Apps
ফাঁসির আগ মূহুর্তে সায়্যিদ কুতুব (রাহিমাহুল্লাহ) কে কালিমা পড়ানোর জন্য জেলের ইমামকে পাঠানো হলো। জেলের ইমাম এসে সায়্যিদ কুতুবকে কালিমা পড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। -তাকে দেখে সায়্যিদ কুতুব জিজ্ঞেস করলেন, "আপনি কী জন্য এখানে এসেছেন?" -ইমাম বললেন, "আমি আপনাকে কালিমা পড়াতে এসেছি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে আসামীকে কালিমা পড়ানো আমার দায়িত্ব।" -সায়্যিদ কুতুব বললেন, "এই দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে?" -ইমাম বললেন, "সরকার দিয়েছে।" -সায়্যিদ কুতুব বললেন, "এর বিনিময়ে কি আপনি বেতন পান?" -ইমাম বললেন, "হ্যাঁ আমি সরকার থেকে বেতন-ভাতা পাই।" -তখন সায়্যিদ কুতুব রহ.বললেন, "কি আশ্চর্য! যেই কালিমা পড়ানোর কারণে আপনি বেতন-ভাতা পান, সেই কালিমার ব্যাখ্যা মুসলিম উম্মাহকে জানানোর অপরাধেই আমাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে! তোমার কালেমা তোমার রুটি যোগায়, আর আমার কালেমা আমাকে ফাঁসিতে ঝুলায়!" -------- (সংগৃহীত)
- Get link
- X
- Other Apps
আর মনে রাখতে হবে এই হাদীস- مَنْ أَحَبَّ لِلَّهِ، وَأَبْغَضَ لِلَّهِ، وَأَعْطَى لِلَّهِ، وَمَنَعَ لِلَّهِ فَقَدِ اسْتَكْمَلَ الْإِيمَانَ যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসে, আল্লাহর জন্য কারো প্রতি বিদ্বিষ্ট হয়, আল্লাহর জন্য কাউকে কিছু দেয়, আল্লাহর জন্যই দেওয়া থেকে বিরত থাকে- সে ঈমানকে পূর্ণ করল।-সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং : ৪৬৭১
- Get link
- X
- Other Apps
সুন্নাতের উপর আমলকারী ব্যক্তি রাসূলের নিকটবর্তী ইতিপূর্বে হয়ত আমি এই ঘটনা শুনিয়েছি, হযরত মুআয বিন জাবাল রা. একজন প্রসিদ্ধ ও প্রিয় সাহাবী ছিলেন। তার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মনের কথাও বলতেন। আবার কখনো কখনো তাকে শাসনও করতেন। সম্ভবত নবম হিজরীর ঘটনা। দ্বীনী কাজের প্রয়োজনে তাকে ইয়ামান পাঠানো হয়। সেখানে একজন শাসকের প্রয়োজন ছিল, যিনি শাসনকার্য পরিচালনা করবেন, আবার মুসলমানদের শিক্ষা-দীক্ষা দায়িত্বও আদায় করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনোনয়ন দৃষ্টি হযরত মুআয বিন জাবাল রা.-এর প্রতি পড়ল। ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি ইয়ামান চলে যাও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এ অবস্থায় মদীনা থেকে বিদায় দিলেন যে, হযরত মুআয বিন জাবাল রা. ঘোড়ায় সাওয়ার আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ঘোড়ার লাগাম ধরে দূর পর্যমত্ম বিদায় জানানোর জন্য যাচ্ছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওহীর মাধ্যমে এও জানতে পেরেছিলেন, তিনি আর অল্প দিনই দুনিয়াতে থাকবেন। এদিকে মুআয বিন জাবাল রা.-এর তাড়াতাড়ি ফেরার ...
- Get link
- X
- Other Apps
* বনি ইসরাইল গোত্রের এক আবেদ লোকজন যে গাছের পুজা করে তা কাটতে রায়,(ফাযায়েলে আমল,ফাযায়েলে জিকির-৫০) ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ এহইয়াউল উলুমে লিখেছেন যে, বনী ইসরাঈলে একজন আবেদ ছিলেন। তিনি দিনরাত সব সময় আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত থাকতেন। একদিন একদল লোক এসে তাকে বলল, হযরত আমাদের এখানে একদল লোক আছে, তারা একটি গাছের পূজা করে। এ কথা শুনে তিনি রাগান্বিত হয়ে একাটি কুড়াল কাঁধে করে গাছটি কাটার জন্য রওনা হলেন। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর শয়তান এক বৃদ্ধের আকৃতিতে তার সামনে এসে দাঁড়ায়। শয়তান আবেদকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি কাঁধে কুড়াল নিয়ে কোথায় যাচ্ছেন? আবেদ বললেন, অমুক বৃক্ষটি কাটার জন্য যাচ্ছি। শয়তান বলল, আরে আপনি একজন আবেদ মানুষ এ গাছের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কি? কুড়াল মেরে গাছ কাটা কি আপনার জন্য শোভা পায়? একটি অনর্থক কাজের জন্য আপনি ইবাদতের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে এলেন! যান, আপনি গিয়ে ইবাদত করতে থাকুন। জবাবে আবেদ বললেন, পথ ছাড়ুন গাছ আমি কাটবই। এ সময়ের জন্য এটাও ইবাদতের শামিল। কিন্তু শয়তান বেটাও ছাড়বার পাত্র নয় বলল, না আমি আপনাকে গাছ কাটতে দিব না। এই বলে দুজনের মধ্...
- Get link
- X
- Other Apps
জীবনের সব কিছু করবো আল্লাহর জন্য করবো কারণ আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব দমে দমে তনু মনে তারই অনুভব তোমার দুনিয়াতে আমি যেদিকে তাকাই অথৈ নিয়ামতে ডুবে আছি সবাই পাক-পাখালির গানে শুনি তাসবিহ্ কলরব আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব দমে দমে তনু মনে তারই অনুভব তোমার মদদ পেলে আমি আর না কিছু চাই তোমার প্রেমের অনল আমি কি দিয়ে নেভাই যার হয়েছো তুমি তার নেই যে পরাভব আল্লাহ আমার রব, এই রবই আমার সব দমে দমে তনু মনে তারই অনুভব
- Get link
- X
- Other Apps
বাহজাতুন — নুফূস ’ কিতাবে আছে , এক অত্যাচারী বাদশাহের জন্য জাহাজ ভর্তি করিয়া শরাব আনা হইতেছিল । এক বুযুর্গ ব্যক্তি সেই জাহাজের নিকট দিয়া যাইতেছিলেন । তিনি শরাবের মটকাগুলি ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন । কিন্তু একটি মটকা না ভাঙ্গিয়া ছাড়িয়া দিলেন । তাহাকে বাধা দেওয়ার মত সাহস কাহারও হয় নাই । কিন্তু সকলেই অবাক হইল যে , এই লোক কি করিয়া এমন অত্যাচারী বাদশার মোকাবেলা করার সাহস করিল ! বাদশাহকে জানানো হইল । বাদশাও অবাক হইল যে , একজন সাধারণ লোক এমন সাহস কিভাবে করিল ! আবার সবগুলি মটকা ভাঙ্গিয়া একটিকে ছাড়িয়া দিল কেন ? বাদশাহ তাহাকে ডাকাইয়া জিজ্ঞাসা করিল , কেন তুমি ইহা করিলে ? তিনি উত্তরে বলিলেন , আমার দিলে ইহার প্রবল ইচ্ছা সৃষ্টি হইয়াছে , তাই এইরূপ করিয়াছি । তোমার মনে যাহা চায় আমাকে শাস্তি দিতে পার । বাদশাহ জিজ্ঞাসা করিল , একটি মটকা কেন রাখিয়া দিলে ? তিনি বলিলেন , প্রথমে আমি ইসলামী জোশের কারণে ভাঙ্গিয়াছি । কিন্তু শেষ মটকাটি ভাঙ্গিবার সময় আমার মনে একধরনের খুশী আসিল যে , আমি একটি নাজায়েয কাজকে খতম করিয়া দিয়াছি । তখন আমার মনে খটকা হইল যে , হয়ত আমার মনের খুশীর জন্য ইহা ভাঙ্গিতেছি । কাজ...
- Get link
- X
- Other Apps
এক বিত্তবান আলেম ছিলেন । তিনি একদিন ক্লাসে বসে হাদীস পড়াচ্ছেন । এমন সময় খবর আসলো , ' আপনার সব কয়টি জাহাজ মাল সহ সমুদ্রে ডুবে গেছে । এই খবর শোনার পর তিনি নীচের দিকে মাথা নুইয়ে কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন । তারপর বললেন , ' আলহামদুলিল্লাহ্ ! ' তারপর আবার সবক পড়াতে লাগলেন । এর কিছুক্ষণ পর আবার খবর আসলো , ' আগের খবরটি ভুল । জাহাজগুলি আপনার ছিল না । আপনার জাহাজ ভাসমান অবস্থায় গন্তব্যে পৌছে গেছে । এই খবর শোনার পর তিনি মাথা নোয়ালেন এবং কিছুক্ষণ চিন্তা করলেন । তারপর বললেন , আলহামদুলিল্লাহ্ ! ' ছাত্রগণ আরজ করলো , “ হুযূর , হারানো জাহাজ ফিরে পেয়ে শুকরানা স্বরূপ ' আলহামদুলিল্লাহ্ ' বলেছেন এটা বুঝতে পারলাম । কিন্তু জাহাজ হারানোর খবর শুনে ' ইন্না লিল্লাহ্ ' না বলে ' আলহামদু লিল্লাহ্ ' বলেছিলেন কেন সেটা বুঝতে পারলাম না । " তিনি বললেন , “ জাহাজ ডোবার খবর শুনে মুরাকাবা করে মনকে পরীক্ষা করে দেখলাম , সেখানে কোন দুঃখ আছর করেছে কিনা । দেখলাম জাহাজ হারানোর কোন দুঃখ সেখানে উপস্থিত হয়নি । তখন ' আলহামদুলিল্লাহ্ ' বলে আল্লাহ্র শুকুর করলাম । তারপর জাহা...